চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন
2022-10-16 21:44:51

অক্টোবর ১৬: আজ (রোববার) চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিংশতম জাতীয় কংগ্রেস বেইজিংয়ে মহাসমারোহে শুরু হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাতে কর্ম-প্রতিবেদন পেশ করেছেন।

 

তিনি বলেন, এখন থেকে সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কর্তব্য হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সার্বিক সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠন, এবং দ্বিতীয় শতবার্ষিক লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং চীনা শৈলীর আধুনিকায়নের মাধ্যমে সার্বিকভাবে চীনা জাতির পুনরুত্থান বাস্তবায়ন করা।

 

এখন প্রশ্ন হল যে চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন আবার কী? অন্য আধুনিক দেশের সঙ্গে তার পার্থক্য কী? চীনের আধুনিক দেশে পরিণত হওয়ার সঙ্গে অন্য দেশের কী সম্পর্ক রয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, চীনের আধুনিকায়নের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সিপিসি’র বিংশতম জাতীয় কংগ্রেসে সি চিন পিং বলেছেন, চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন হল সিপিসি’র নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়ন। তাতে থাকবে বিভিন্ন দেশের আধুনিকায়নের বিভিন্ন রূপ। আরও থাকবে চীনের সামাজিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য। এটি সকল জনগণের অভিন্ন সমৃদ্ধি, বৈষয়িক সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক সভ্যতার সম্প্রীতি, মানব জাতি ও প্রকৃতির সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচল থাকার আধুনিকায়ন।

 

চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন কেবল চীনের জন্য নয়, বরং বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণ সৃষ্টি করবে। বিশ্বে দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়ক হবে। গত ৪০ বছরে চীনে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে ৮০ কোটি। এটি এ সময়কালে সারা বিশ্বে দারিদ্র্যবিমোচনের পরিমাণের ৭৫ শতাংশ।

 

চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন বিশ্ব খাদ্য সংকট লাঘবে সহায়ক হয়েছে।  সারা বিশ্বে বেশ কয়েকটি খাদ্য সংকট দেখা গেছে। বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে চীন বিশ্বের ৯ শতাংশ আবাদি জমি নিয়ে বিশ্বের ২৫ শতাংশ খাদ্য উত্পাদন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বিশ্বের ২০ শতাংশ জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটানো গেছে।

 

চীনা শৈলীর আধুনিকায়নের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অভিন্ন সমৃদ্ধি। চীনাদের মাঝে একটি কথা প্রচলিত আছে: যা হচ্ছে কাউকে বাদ দেওয়া যায় না। পৃথিবী একটি পরিবার, সবার জন্য একসঙ্গে সুন্দর জীবন কাটানোর সুবিধা সৃষ্টি করা চীনা শৈলীর আধুনিকায়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

 

চীনা শৈলীর আধুনিকায়নের মানে আরও উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ বাস্তবায়ন এবং বিশ্বের সঙ্গে চীনা বাজার শেয়ার করবে চীন। ফলে বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে আরও চালিকাশক্তি যোগাবে চীন।

তাছাড়া, পরিবেশ, হাইটেক এবং জনশক্তি আদান-প্রদানসহ নানা ক্ষেত্রে নানা সুযোগ সৃষ্টি করবে চীন।

 

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল: চীন বিশ্বের জন্য শান্তি বয়ে আনবে। আমরা বিশ্বাস করি যে উপনিবেশ, আগ্রাসন ও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আধুনিক দেশ গঠনের যাত্রায় সবার জন্য কল্যাণ সৃষ্টি হবেই।

(রুবি/এনাম/লাবণ্য)