দেহঘড়ি পর্ব-৯১
2022-10-14 19:19:26

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভুবনে বাস’, খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’, এবং প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ও রোগমুক্তি নিয়ে আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’।

 

#ভুলের_ভুবনে_বাস

বিষণ্ণতা কি মানসিক রোগ?

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা একটি মানসিক রোগ। আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)’র হিসাব মতে, সারা বিশ্বে ২৬ কোটি ৪০ লাখ বিষণ্ণতায় ভুগছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী। সংস্থার ধারণা, বিশ্বে প্রতিবন্ধিতার ও নানা রোগব্যাধির অন্যতম কারণ বিষণ্ণতা এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বড় সংকটের তৈরি করতে যাচ্ছে এই রোগ। বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ঢাকায় পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, শিশু কিশোরদের ১৮ শতাংশের বেশি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত। গবেষক ও চিকিৎসকরা মনে করেন, সাধারণভাবে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তার জীবদ্দশায় কখনও না কখনও বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয় বা হতে পারে। বিষণ্ণতা অনেক সময় আত্মহত্যার দিকে ঢেলে দেয় মানুষকে। তবে এই রোগটি নিয়ে নানা রকমের ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে সমাজের বহু মানুষের মধ্যে।

মন খারাপের গল্প: যেহেতু এই রোগের লক্ষণ সবসময় প্রকটভাবে চোখে পড়ে না, তাই এটি বুঝে ওঠা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। সেকারণে বিষণ্ণতায় একজন একজন মানুষ যখন তার অবসাদগ্রস্ততার কথা বলে, তখন অনেকেই মনে করে বানিয়ে বানিয়ে মন খারাপের গল্প বলছে। এমন ধারণা একেবারে ঠিক না। কেউ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়েছে এটা জানা গেলে বরং তাকে মানসিক রোগের কাছে নেওয়া উচিৎ।

ভালোবাসায় বিষণ্ণতা সারে: এটা অনেকেরই ধারণা যে, পরিবার ও কাছের মানুষদের ভালোবাসা, সহায়তা ও যত্ন পেলে বিষণ্ণতা দেখা দেয় না, বা দেখা দিলেও সেরে যায়। এমন ধারণার কোনও ভিত্তি নেই। অবসাদগ্রস্ততার সঙ্গে ভালোবাসা বা যত্নের বিশেষ কোনও সম্পর্ক নেই। তবে একথা ঠিক ভালোবাসা ও যত্ন পেলে এই রোগে মোকাবিলা করা সহজ হয়ে ওঠে।

চারিত্রিক ও মানসিক দুর্বলতার জন্য হয়: অনেকে মনে করেন, বিষণ্ণতার মূল কারণ চারিত্রিক ও মানসিক দুর্বলতা। তারা বিশ্বাস করেন, কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো মানসিক ও চারিত্রিক দৃঢ়তা যাদের নেই, তারাই মূলত বিষণ্ণতার শিকার হয়। এই মনোভাবেরও কোনও ভিত্তি নেই। আসলে বিষণ্ণতারর সঙ্গে কারও মানসিক বা চারিত্রিক দৃঢ়তার সামান্যতম সম্পর্কই নেই।

কোনও দুর্ঘটনা দায়ী: বিষণ্ণতার ব্যাপারে এটাও একটি সাধারণ ভুল ধারণা যে, কোনও দুর্ঘটনা বা অপ্রিয় ঘটনার জন্যে কেউ মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এটা কোনও কোনও ক্ষেত্রে সঠিক হলেও, সবক্ষেত্রে নয়। বিষণ্ণতার কারণগুলোর মধ্যে প্রধান হলো জীনগত ত্রুটি ও মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা। এছাড়া জৈবিক বা অন্তর্গত নানা কারণে যে কেউ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারে।

বিষণ্ণতা সারে না: কেউ কেউ মনে করেন, কেউ একবার বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলে সে আর সুস্থ হয় না এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে না। এটি একটি ভুল ধারণা। সঠিক চিকিৎসা করালে বিষণ্ণতা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। বিষণ্ণতায় যে আক্রান্ত হয়েছে চিকিৎসার পাশাপাশি তার প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম। একজন আক্রান্ত মানুষ শারীরিকভাবে যত সক্রিয় থাকবে, এ সমস্যা মোকাবিলা তার জন্য তত সহজ হবে।

#কী_খাবো_কী_খাবো_না

ওট খান, সুস্থ থাকুন

ওট পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর খাদ্যশষ্যগুলোর মধ্যে একটি। ওট খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরের জন্য এর উপকারিতাও অনেক। এটি গম পরিবারের অন্তর্ভূক্ত একটি শষ্য, তবে খাদ্যমানে এর অবস্থান সমগোত্রীয় অন্য যে কোনও শষ্যের অনেক ওপরে।

অন্যান্য খাদ্যশষ্যের তুলনায় ওটে বেশি পরিমাণে আঁশ থাকায় এটা তূলনামূলক ধীরে হজম হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। গষেষণায় দেখা গেছে, ওটে রয়েছে উচ্চামাত্রায় দ্রবণীয় বেটা-গ্লুকান, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এ খাদ্যশষ্যে রয়েছে আলফা-টোকোটেরিওনল এবং আলফা-টোকোফেরল, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।

এছাড়া ওটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বিসহ বেশ কতগুলো পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন বি যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। ওটে আরও রয়েছে ভাল পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ইত্যাদি।

আসুন জেনে নিই ওটের উপকারিতা সম্পর্কে:

কোলেস্টেরল কমায়: ওটে রয়েছে বিটা গ্লুকোন নামক বিশেষ ধরনের আঁশ, যা মানব দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ৩ গ্রাম ওট খেলে সেটা প্রায় ৮-১০ শতাংশ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।

হার্ট ভালো রাখে: ওটে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যাল ও প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর লিগনান্স হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও বিটা গ্লুকোন হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ওজন কমায়: প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ ওট দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। ২০১৩ সালে আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশনের এক গবেষণায় দেখা যায়, অন্য যেকোনো খাদ্যশস্যের তুলনায় ওটমিল বেশিক্ষণ পেট ভরা রাখে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তারা প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে এক বাটি ওটমিল দিয়ে নাস্তা করুন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: ওটমিল রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে অধিক পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ধীরগতিতে হজম হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণকে সীমিত রাখে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা প্রমাণিত যে, সপ্তাহে ৫-৬ বার ওটমিল গ্রহণ করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ৩৯ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তবে ওট খেতে হবে দই বা স্কিমড মিল্কে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমায় ওট।

ইমিউনিটি বাড়ায়: ওটের বিটা-গ্লুকোন শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। শরীরে ব্যাক্টিরিয়াজনিত ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে ওট।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ওটমিলে থাকা আঁশ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, মলের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।

ত্বক ভাল রাখে: ওট খুব সহজেই ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে পারে। এর ফলে ব্রণ দূর হয়। এছাড়া ওট ত্বকের চিকেন পক্স, ফুসকুড়ি ও সানবার্ন দূর করতেও সাহায্য করে এবং ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখে।

# আপনার ডাক্তার

 দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি মলদ্বার বা পায়ুপথের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। পায়ুপথে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। আমরা সাধারণত পাইলস ও ফিস্টুলা সম্পর্কে শুনি। কিন্তু পায়ুপথে ফিসার, এবসেস, প্রোলাপস ও হেমাটোমাও হয়ে থাকে। পায়ুপথের সমস্যা নিয়ে বিব্রতবোধ করেন অনেকে। সে কারণে কেউ কেউ সময়মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না। এতে জটিলতা বাড়ে, সঙ্গে বাড়ে ভোগান্তিও। অথচ পায়ুপথের বেশিরভাগ সমস্যা প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করলে জটিলতা এড়ানো যায়। এসব সমস্যা নিয়ে কথা বলতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আরিফ হোসেন। জনাব সহকারী আরিফ হোসেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক।

 

#ভালো_থাকাার_আছে_উপায়

ঘামাচি দূর করুন সহজে

বাংলাদেশের মতো আবহাওয়ার দেশে অতি পরিচিত একটি সমস্যার নাম ঘামাচি। এ সমস্যা দেখা দেয় মূলত গ্রীষ্মকালের উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায়। ঘামাচি যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে সহজে বাঁচা যায় এ সমস্যা থেকে। জেনে নিন ঘামাচির সমস্যা থেকে বাঁচবেন কিভাবে – সে উপায়।

আলু থেরাপি: আলুর রস ঘামাচির এক মহৌষধ। পাতলা পাতলা করে আলু কেটে ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে মিনিট পাঁচেক ঘষুন। এভাবে দিনে অন্তত ২ বার আলুর ফালি ঘষুন ত্বকে। ঘামাচি চলে যাবে সহজে, সেই সঙ্গে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।

আইচ থেরাপি: ঘামাচির যম বরফ। তিন-চার টুকরো বরফ পাতলা সুতির কাপড়ে পেচিয়ে পুঁটলি বানান। এবার সে পুঁটলি আলতো করে ঘামাচি-আক্রান্ত ত্বকে ঘষুন। দিনে তিন-চার বার এমন করলে ঘামাচি সমস্যায় ফল পাওয়া যাবে ম্যাজিকের মতো।

অ্যালোভেরা থেরাপি: অ্যালোভেরার রস উন্নতমানের প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ঘামাচি উপশমে অ্যালোভেরা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে তার রস ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে ঘষুন। এভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকে অ্যালোভেরার রস লাগান। ঘামাচি দ্রুত দূর হয়ে যাবে।

নিমপাতা ট্রিটমেন্ট: নিমপাতা ঘামাচির আরেক যম। এ পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ঘামাচি নিরাময় করে। নিমপাতা বেটে বা ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচি-আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং মিনিট বিশেক  পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে চার-পাঁচ বার ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ মুক্তি মিলবে ঘামাচি থেকে। নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে শরীরে লাগালেও ঘামাচি দূর হয়।

ছোলার ডালের পেস্ট:  ঘামাচি সারাতে আরেকটি মহৌষধ ছোলার ডালের পেস্ট। পাঁচ থেকে সাত ঘন্টা ছোলার ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভাল করে বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন। তারপর সেই পেস্ট ঘামাচির ওপর লাগিয়ে পনেরো মিনিটের মতো রাখুন এবং তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঘামাচি কমে যাবে সহজেই।

 মসুর ডাল ও কাঁচা হলুদের পেস্ট: দুই থেকে চার ঘন্টা মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে তার সঙ্গে ডালের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ কাঁচা হলুদ নিয়ে বেটে বা ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর সে পেস্ট ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক রাখুন। দূর হবে ঘামাচি।

বেসন-মধু থেরাপি: ঘামাচির জ্বালা থেকে বাঁচতে দারুণ কার্যকরী এই থেরাপি। বেসন, গোলাপজল ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগান। মিনিট কুড়ি পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এতে সহজেই ঘামাচি কমে যাবে।

মুলতানি মাটি: ঘামাচি সমস্যা উপশমে মুলতানি মাটি বেশ কার্যকর। চার চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চামচ গোলাপজল ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সে পেস্ট ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট বিশেক রাখুন এবং তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে দিনে বার দুয়েক লাগালে ঘামাচি থেকে সহজে মুক্তি মিলবে।

বেকিং সোডা: বেকিং সোডা ঘামাচি সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে। এক কাপ ঠাণ্ডা পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় সে পানিতে ভিজিয়ে ঘামাচি-আক্রান্ত স্থানে লাগান। বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

শসা থেরাপি: ঘামাচির চুলকানি দূর করতে শসা বেশ কার্যকরী। শসা পাতলা পাতলা করে কেটে ভাল করে ঘামাচি-আক্রান্ত স্থানে ঘষুণ। মিনিট ত্রিশেক পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ফিটকিরি: ফিটকিরি আরেকটা উপাদান যেটি ঘামাচির জ্বালা উপশমে ভাল কার্যকর। খানিকটা পানির মধ্যে ফিটকিরি গুলিয়ে তারপর সে মিশ্রণটিতে এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে গায়ে লাগান। ঘামাচি দূর হবে সহজে।

 

‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।