আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৯৫
2022-10-13 19:03:20

কী রয়েছে এবারের পর্বে

১. নারী যেন উন্মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারে: মৌ মধুবন্তী, লেখক ও সমাজকর্মী

২. নারী উদ্যোক্তাদের শরৎমেলা

৩. সময়ের অঙ্গীকার, কন্যাশিশুর অধিকার

৪. গ্রামকে গড়ে তুললেন নারী

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।

বাংলাদেশের নারীরা প্রবাস জীবনেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। তারা যেমন নিজেদের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন তেমনি সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডও করছেন। আজ আমাদের অনুষ্ঠানে এসেছেন এমনি একজন প্রবাসী বিশিষ্ট নারী মৌ মধুবন্তী। তিনি একজন সমাজকর্মী এবং নারী অধিকারকর্মী ও লেখক। আমাদের অনুষ্ঠানে তাকে স্বাগত জানাই।

নারী যেন উন্মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারে: মৌ মধুবন্তী, লেখক ও সমাজকর্মী

সাক্ষাৎকার

কবি মৌ মধুবন্তী দীর্ঘদিন ধরে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি প্রবাসের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে নারীর প্রতি সংঘটিত বিভিন্ন রকম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করার জন্য কাজ করেন। মৌ মধুবন্তী বলেন,অনেক সময় কালচারের দোহাই দিয়ে নারীকে নির্যাতন মেনে নিতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু আমি বলি, ‘কোনো অবস্থাতেই ভায়োলেন্স সহ্য করা ঠিক নয়। ’ কোভিড মহামারীর সময় নারীর উপর পারিবারিক নির্যাতন অনেক বেশি বেড়েছিল বলেও জানান তিনি।

মৌ মধুবন্তী তার কবিতার মাধ্যমে নারীদের সচেতন করার জন্য কাজ করছেন বলেও জানান। তার ১৩টি কবিতার বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে এবং স্প্যানিশ ভাষাতেও বই রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নারী যেন উন্মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারে’।

তিনি মাকে নিয়ে লেখা একটি কবিতা পাঠ করেন।

 

নারী উদ্যোক্তাদের শরৎমেলা

শরৎ মানে শুভ্রতা আর নীলের ছড়াছড়ি। এই ঋতুকে কেন্দ্র করে গেল সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে নারী উদ্যোক্তাদের মেলা বসেছিল। এতে রঙ বেরঙের পোশাকসহ ছিল নানা পণ্যের সমাহার। মেলায় প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়ায় খুশি আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারীরা। মেলার অঙ্গন ঘুরে এসে বিস্তারিত জানাচ্ছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিবেদক ।

 

বাহারী রঙের পোশাক, গয়নাগাটি ও প্রসাধনী সামগ্রিসহ খাবারের আয়োজন

রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি মিলনায়তনে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজন করা হয় শরৎ মেলার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৫০ জনের বেশি নারী উদ্যোক্তা এতে অংশ নেন। বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলেন তাদের ছোট ছোট স্টল।  ছিল বাহারি সব আয়োজন। উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন।  

তবে এ মেলায় অংশ নেয়া বেশির ভাগ উদ্যোক্তাই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন। আর যারা অনলাইনে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাদের পরিচিতি বেশি।  তাই তাদের বেচাকেনাও অন্যদের তুলনায় বেশি বলে জানান মেলায় অংশ্রগহণকারী বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা। 

নারীদের সুযোগ তৈরিতে এই মেলা কিছুটা সহায়ক হতে পারে বলে মনে করেন আয়োজক হুর নসরাত এর স্বত্বাধিকারী নুসরাত আকতার লোপা। 

অক্টোবরের ৭ ও ৮ তারিখ দুই দিনব্যাপী চলে এই শরৎ মেলা।

সময়ের অঙ্গীকার, কন্যাশিশুর অধিকার

আজকের শিশু কালকের ভবিষ্যত। কন্যাশিশুকে সঠিক পরিচর্যা ও শিক্ষা দিয়ে বড় করতে পারলে তবেই ভবিষ্যতে অগ্রগামী নারী পাওয়া সম্ভব। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদনে।

‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যা শিশুর অধিকার’- এ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ পালিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০২২।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য  অংশ হচ্ছে কন্যা শিশু। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কন্যা শিশুদের যথাযথ শিক্ষা, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। 

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন (দমন) আইন-২০০০ এ নতুন ধারা সংযোজন এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনেও মেয়েরা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। অতিসম্প্রতি সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ নারী ফুটবল টিম চ্যাম্পিয়ন হয়ে পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপরেই নির্ভর করে বাংলাদেশের নারীদের এগিয়ে যাওয়াকে সুগম করা।

 

গ্রামকে গড়ে তুলেছেন যে নারী

চীনের ২০তম ন্যাশনাল কংগ্রেসে প্রতিনিধিরা আসছেন বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চল থেকে। এমনি একজন প্রতিনিধি লিউ কুইচেন। শানসি প্রদেশের এই নারী কমিউনিস্ট পার্টির একজন একনিষ্ঠ কর্মী ও গ্রাম উন্নয়নের দিক নির্দেশনাদানকারী। কিভাবে তিনি নিজের গ্রামকে গড়ে তুললেন চলুন সেই গল্প শোনা যাক।

উত্তর চীনের শানসি প্রদেশের একটি গ্রাম তুয়ানচিয়াওয়ান। পর্যটনশিল্পকে ব্যবহার করে ২০১৭ সালে এই গ্রাম দারিদ্র্য মুক্তি নিশ্চিত করে। আর গ্রামের এই উন্নয়ন ও দারিদ্র্যমুক্তিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন গ্রামপ্রধান এবং কমিউনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী লিউ কুইচেন।