আরও বেশি দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘চীনের সঙ্গে ব্যবস্থা করতে’ চায়: সিআরআই সম্পাদকীয়
2022-10-13 14:57:32


অক্টোবর ১৩: সম্প্রতি জার্মানির রাজধানী বার্লিনে যন্ত্র-প্রকৌশল  বিষয়ক শীর্ষসম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা ‘চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বজায় রাখার’ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ এতে স্পষ্টভাবে বিশ্বায়নের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে ‘ব্যবসা করতে হবে’। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যিক কমিশনার সরাসরি বলেছেন, ইইউ’র শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চীনের সঙ্গে ‘সম্পর্ক ছিন্ন করার’ পথে হাঁটবে না। চীন হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান বাজার ও সরবরাহকারী দেশ।


কিছু কিছু দেশ চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করার ধারণা প্রচার করছে। এদিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে, এ সব ইউরোপের কর্মকর্তাদের যৌক্তিক কণ্ঠস্বর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কথায় বোঝা যায়, ‘চীনের সঙ্গে ব্যবসা করা’ এখন আরও বেশি দেশের সিদ্ধান্ত। এর কারণ হলো চীন হচ্ছে ‘বিশ্বের বাজার’ ও ‘বিশ্বের কারখানা’। 


চীনা বাজারের আকার অনেক বড় হয়েছে। চীনের অর্থনীতির মোট পরিমাণ ১১৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান হয়েছে। তার ভোগের পরিমাণও অনেক। চীন ইতোমধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোগ বাজারে পরিণত হয়েছে। এর পাশাপাশি এ বাজারের আকার দিন দিন বাড়ছে। যা চীনাদের জীবনমান উন্নত করেছে; এ ছাড়া তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের জন্য আরো বেশি উন্নয়নের সুযোগ দিয়েছে।


সেই সঙ্গে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী হিসেবে, চীনকে প্রতিস্থাপন করা যায় না। স্পেনের জনৈক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘বিশ্বের উৎপাদন খাতে শক্তিশালী দেশ ও শক্তিশালী বাণিজ্যের দেশ হিসেবে, চীনের দীর্ঘমেয়াদী সুষ্ঠু প্রবণতা অপরিবর্তনীয়। বিশ্বের সরবরাহ চেইনে চীনের অবস্থান ধীরে ধীরে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।’


চীনের উন্মুক্তকরণ অব্যাহতভাবে বাড়ছে, চীনের বাণিজ্যিক পরিবেশও দারুণ উন্নত হচ্ছে। ‘সহযোগিতামুলক ও উভয়ের জয়ের’ ধারণায় চীন বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অব্যাহতভাবে ‘চীনা শক্তি ও বুদ্ধি’ যুগিয়েছে। 

(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)