সিপিসি’র নেতৃত্ব জাতীয় উন্নয়নের নিশ্চয়তা
2022-10-12 14:26:20

অক্টোবর ১২: সম্প্রতি বেলজিয়ামের সুপরিচিত কৃষি বিশেষজ্ঞ ফ্রাঁসোয়া সার্নেল চায়না মিডিয়া গ্রুপের সাংবাদিকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব চীনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাফল্য নিশ্চিত করার মূল চাবিকাঠি; গত দশ বছরে দারিদ্র্যবিমোচন এবং অন্যান্য খাতে চীনের সাফল্য বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং অনেক দেশ এ থেকে শেখার সুযোগ পেয়েছে।

ফ্রাঁসোয়া সার্নেল একজন বেলজিয়ামের আলুর পচন রোধ বিশেষজ্ঞ। ২০০২ সাল থেকে, সার্নেল প্রতি বছর চীনে এসে আলু প্রকল্পে সহযোগিতা করেছেন এবং চীনা সিস্টেমের সুবিধাগুলি বিশেষ করে, প্রকল্পের দক্ষ বাস্তবায়ন দেখেছেন। যা তার মনের ওপর গভীর ছাপ ফেলেছে। সার্নেল বলেন, যদি চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে বর্ণনার জন্য তিনি একটি শব্দ ব্যবহার করেন, তবে তিনি ‘নেতৃত্ব’ শব্দটি ব্যবহার করবেন। তিনি বলেন,

“ফরাসি ভাষা ও ইংরেজি ভাষায় নেতৃত্বের দু’টি অর্থ রয়েছে। প্রথমটি হল লক্ষ্য নির্ধারণ করা। যেমন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি দারিদ্র্য দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি হল নির্ধারিত লক্ষ্য; নেতৃত্বের আরেকটি স্তরের অর্থ হল লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি দলকে নেতৃত্ব দেওয়া। আমি চীনের যেখানে গিয়েছি, ১০ বছর আগের তুলনায় জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত দেখেছি। চীন যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, কাজের ফোকাস হল দরিদ্রদের দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা, তাহলে সবাই সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করে। আমি মনে করি, দারিদ্র্যবিমোচনের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর চীন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।”

 

২০ শতাব্দীর ৯০ দশকে সার্নেল ও তার দল সফলভাবে একটি "আলুর পচন রোধ পূর্বাভাস মডেল" চালু করেন, যা তিন বা চার দিন আগে পচনের প্রাদুর্ভাবের পূর্বাভাস দিতে পারে। ১৯৯৯ সালে, তিনি এই মডেলটি বিনামূল্যে চীনের ছংছিংয়ে ব্যবহার করেন। চীন-বেলজিয়াম আলু প্রকল্পে সহযোগিতা তখন থেকেই শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে চীনের গ্রামাঞ্চলে কাজ করা এবং বসবাস করা সার্নেল চীনের উন্নয়ন এবং পরিবর্তন নিয়ে ব্যক্তিগত গভীর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। সার্নেল বলেন,

“প্রথমবার ছংছিং শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে উ’সি যেতে আমার দুই দিন লেগেছিল। ছংছিং থেকে ইয়াংসি নদীর ধারে যাত্রা করার জন্য একটি নৌকা নিয়েছিলাম, এক দিন সময় লেগেছিল। তারপরে একটি ছোট রাস্তা দিয়ে একটি জিপ গাড়ি ড্রাইভ করেছিলাম, এতেও একদিন সময় লেগেছিল। অবশেষে আমি উ’সি পৌঁছাতে পারি। আর এখন যদি উ’সি যেতে চান, আপনি ওয়ানচৌ পর্যন্ত উচ্চ-গতির রেল উঠতে পারেন, সময় লাগবে দুই থেকে তিন ঘন্টা। তারপর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সেখানে যেতে ২ ঘন্টা। অর্থাত্ ৬ ঘন্টারও কম সময় লাগে। গত দশ বছরে, ছংছিংয়ের সব গ্রাম এবং শহরে ৬ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়। যা সত্যিই একটি অসাধারণ অর্জন! যা মানুষের যাতায়াত ও উপকরণ প্রবাহের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সুবিধা প্রদান করেছে।”

 

সার্নেল সাক্ষাত্কারে অনেকবার বলেছেন, গত দুই দশক ধরে, তিনি নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন যে চীনের আধুনিকীকরণ উন্নয়নের ফলে সবাই উপকৃত হয়েছে এবং চীনের সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষ উন্নয়নের ফল পুরোপুরি উপভোগ করেছে। তিনি বলেন,

“আমি ২০ বছরেরও বেশি সময় ছংছিংয়ে কাজ করেছি, এবং আমিও কুইচৌ ও ইয়ুননানসহ বিভিন্ন প্রদেশে কাজ করেছি। এই জায়গাগুলি জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেমন, আমি প্রায়শই যে থুচিয়া ও মিয়াও জাতির গ্রামে যেতাম- সেখানে স্থানীয় সামাজিক উন্নয়ন খুব ভালভাবে একীভূত করা হয়েছে।”

 

(জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই)