খাদ্য নিরাপত্তায় মনযোগী সি চিন পিং
2022-10-08 15:08:22

খুব সকালে পেই তা হুয়াং গ্রুপের ছি সিং কৃষি খামার লিমিটেড তৃতীয় প্রশাসনের কৃষি সরঞ্জামের উপপরিচালক লু সিয়াং তাও ধানক্ষেতে চাষিদের কৃষি সরঞ্জাম পরীক্ষা ও মেরামত পরিচালনা করছেন। আসন্ন কৃষি ব্যস্ততার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

ছি সিং কৃষি খামারের হাজারের বেশি হেক্টরের ধানক্ষেত একটি সোনার ব্ল্যাঙ্কেটের মতো সুন্দর। এ দৃশ্য লু সিয়াং তাও-কে চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র কথা মনে করে দিয়েছে। সি চিন পিং গভীর আবেগ নিয়ে তখন বলেছেন, ‘এ জায়গা দেখার মতো যথেষ্ট সময় আমার হাতে নেই, তাই পরে আমি আবার আসবো এখানে’।

 

২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, চীনের প্রথম কৃষক ফসল উৎসব সমাপ্ত হওয়ার পরই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং হেই লুং চিয়াং প্রদেশের সান চিয়াং প্রশাসন দপ্তর পরিদর্শন করেন। তিনি ধানক্ষেতে গিয়ে সেখানকার ধান কাটা ঘুরে দেখেন। প্রেসিডেন্ট সিকে দেখতে পেয়ে যারা ধান কাটছিলেন তারা ধান কাটার সরঞ্জাম থেকে নেমে এসে প্রেসিডেন্টকে সালাম দেন।  প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সবার সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলেন। সে দৃশ্য এখনো লু সিয়াং তাও’র স্মৃতিতে পরিষ্কার হয়ে আছে।

 

 তিনি স্মরণ করে বলেন, “আমরা দৈনন্দিন জীবন নিয়ে কথা বলেছি। যেমন, ফসলের পরিমাণ, খাদ্যের দাম, পারিবারিক আয়, সন্তানদের কর্মসংস্থান ইত্যাদি। প্রেসিডেন্ট সি সব ক্ষুদ্র বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন। তিনি আমাদের কৃষি খামারের তথ্যায়ন ও যান্ত্রিকী-করণের প্রশংসা করেছেন। এ খামারের তৃতীয় প্রজন্মের একজন হিসেবে আমি খুব গর্ব বোধ করি। অতীতের মরুভূমি থেকে বর্তমানে চীনের সবচেয়ে খাদ্য বাণিজ্যের সমৃদ্ধ ভিত্তিতে পরিণত হয়েছে পেই তা হুয়াং। চীনাদের পেট ভরে খাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এ অঞ্চল।

 

কৃষক চৌ তে হুয়াং বলেন, “আগে চাষ করতে অনেক ক্লান্ত লাগত। বর্তমানে নতুন প্রযুক্তির কারণে আর আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয় না।”

 

এক সময় চৌ তে হুয়া চাষ করতে চাইত না। বর্তমানে তিনি স্থানীয় খাদ্য চাষিদের দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছেন। প্রতিবছর তিনি ১.৫ লাখ ইউয়ান আয় করতে পারেন। তার জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে চাষ থেকে ফসল পর্যন্ত বর্তমানে মানব বিহীন এবং দূরে থেকে প্রশাসন করা সম্ভব হয়েছে। যা কৃষির আধুনিকায়নের প্রাণবন্ত উদাহরণ।

 

প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতা বাড়িয়েছে ছি সিং কৃষি খামার। এ খামার সুষ্ঠু, সমৃদ্ধ ও কার্যকর কৃষি পথে এগিয়েছে। ২০২১ সালে খামারের খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭২.৫ কোটি কেজি, যা থেকে আয় হয়েছে ১৩৮ কোটি ৫০ লাখ ইউয়ান। মাথাপিছু আয় ছিল ৩২ হাজার ইউয়ান।  স্মার্ট কৃষি থেকে ব্যাপক ফলন হয়েছে।

 

এ শরতকালের সুন্দর বাতাসে ভাসছে ধানের শীষ। এ দৃশ্য দেখে লু সিয়াং তাও শরীরের ঘাম মুছে বলেন, “আমরা আস্থাবান যে চীনের খাওয়ার পাত্রে আরও ভালো খাদ্য দিতে পারবো।”