বিদেশির চোখে আজকের চীন হল উদ্ভাবনের চীন
2022-10-04 18:55:50

অক্টোবর ৪: বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন হল মানবজাতির উন্নয়নের শক্তিশালী ভিত্তি। বিগত দশ বছরে চীন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছে, সক্রিয়ভাবে বিশ্বের উদ্ভাবনী নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে, সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী সহযোগিতা জোরদার করেছে। চীন শুধু বিশ্বের উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারি হয়নি, বরং চীন যৌথভাবে বিশ্বের সমস্যা সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। চীনে অনেক বছর ধরে কর্মরত এবং জীবনযাপন করা বিদেশি বন্ধুরা চীনে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনে সৃষ্ট পরিবর্তন গভীরভাবে উপভোগ করেছেন।

 

সম্প্রতি বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব সংস্থার প্রকাশিত ২০২২ সালের বিশ্বের উদ্ভাবন সূচক থেকে জানা যায়, চীনের স্থান ২০১২ সালের ৩৪তম থেকে চলতি বছরে ১১তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। টানা ১০ বছর ধরে চীনের উদ্ভাবনী শক্তি বাড়ছে। চীনের থিয়ানচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিটিশ অধ্যাপক পিটার টাইলার এর আগে ইউরোপের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করতেন। তিনি বলেন, চীনের উদ্ভাবনী কর্মসংস্থান অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশের চেয়ে বেশি প্রাণচঞ্চল।

তিনি বলেন, তাঁর মতে, অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনের উদ্ভাবনী প্রবণতা বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশের চেয়ে বেশি প্রাণচঞ্চল। চীনের টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সবাই দেখতে পায় উত্পাদন ও গবেষণা আরো গভীরভাবে সংযুক্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সম্প্রসারণের সঙ্গে চিকিত্সা, প্রকল্প নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চীনের উত্পাদন ও উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

 

টাইলার থিয়ানচিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাত্ত্বিক এবং কম্পিউটেশনাল কেমিস্ট্রি প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলেন, চীনের উন্নত মানের গবেষণা ব্যবস্থা, পেশাদার এবং দক্ষ সহযোগিতা দলের কারণে চীনের বৈজ্ঞানিক গবেষণার পরিবেশ আরো ভালো হচ্ছে।

চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ জিওলজিক্যাল সায়েন্সেসে কর্মরত ইউরোপ থেকে আসা অধ্যাপক মেরি-লুস শেভালিয়ার বলেন, চীনের পরীক্ষাগারে সবচেয়ে ভালো যন্ত্র আছে। সত্যিই তা বিশ্বের সবচেয়ে নতুন, সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে দ্রুত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। থিয়ানকুং মহাকাশ প্রকল্প, দ্রুত গতির ট্রেন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনের সুফল দেখা যাচ্ছে। চীনের বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে এসব সাফল্য সম্পর্কে বেইজিং ইউনিভার্সিটি অফ কেমিক্যাল টেকনোলজির ব্রিটিশ অধ্যাপক ডেভিড জি ইভান্স বলেন, চীনে বিজ্ঞান খাতে আকাশপাতাল পরিবর্তন ঘটেছে। অনেক খাতে চীন বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে।

 

দশ বছরে চীনের বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী সামর্থ্যের উন্নয়ন একই সঙ্গে চিকিত্সা খাতে দেখা যায়। যা জনস্বাস্থ্য রক্ষা, করোনা ভাইরাসের মহামারির প্রতিরোধে শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক সমর্থন দিয়েছে।

চীনে বসবাসকারী বিদেশি বন্ধুরা চীনা জনগণের পাশাপাশি নিজেদের জীবনে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির নানা সুবিধা উপভোগ করছেন। সুদান থেকে আসা আবদুলআজম ফাদোল মোহাম্মদ বলেন, চীনের ইন্টারনেট অর্থনীতির সমৃদ্ধ উন্নয়নের কারণে তিনি আরো বেশি সময় বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দিতে পারছেন। তিনি বলেন,

আসলে চীনে একটি স্মার্ট মোবাইলফোন হাতে থাকলে সব কিছুই করা যায়। চীনে আসার পর আমার মোবাইলফোনে চ্যাট করা, পেই করা এবং কেনাকাটার বিভিন্ন এপিপি ইন্সটল করেছি।

চীনের এই উদ্ভাবনী জমিতে, বিদেশি বন্ধুরা প্রাণবন্ত উন্নয়ন উপভোগ করেছেন। উদ্ভাবনী চীন আরো বেশি বিদেশি বন্ধুদের আকর্ষণ করছে। আরো বেশি বিদেশি মানুষ চীনকে দ্বিতীয় জন্মস্থান হিসেবে দেখছে।

(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)