চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গ্রামাঞ্চল পরিদর্শনের সময় স্থানীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চাষাবাদের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছেন; মাশরুমসহ নানা ক্ষুদ্র খাদ্যশস্যকে দারিদ্র্যবিমোচন ও সমৃদ্ধ হওয়ার বড় শিল্পে পরিণত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
২০২০ সালের ১১ মে, সান সি প্রদেশের তা থোং শহরের ইয়ুন চৌ অঞ্চলে জৈব হলুদ ফুলকপির মানদণ্ড রোপণ ক্ষেত পরিদর্শনের সময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, ‘গত মাসে আমি সায়ান সি প্রদেশের ছিন লিং পর্বতাঞ্চলের চিন মি গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে অ্যারিকুলারিয়া চাষাবাদের শিল্পায়ন করা হয়েছে। আমি তাদের প্রশংসা করে বলেছি, ছোট অ্যারিকুলারিয়া হচ্ছে বড় শিল্প। আপনাদের এখানেও বলা যায়, ছোট হলুদ ফুলকপি হল বড় শিল্প। এতে উন্নয়নের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।’। এ ক্ষেত পরিদর্শনের সময় প্রেসিডেন্ট সি কর্মরত কৃষকদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথাবার্তা বলেন।
ক্যাপশন: ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল সায়ান সি প্রদেশে অ্যারিকুলারিয়া খামারে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন সি চিন পিং।
২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর হু নান প্রদেশ পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং বলেন, কৃষি সরবরাহের কাঠামোগত বিন্যাস গভীরতর করতে হবে। স্থানীয় জমি অনুযায়ী, সুবিধাজনক ও বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিল্প লালন ও শক্তিশালী করতে হবে; যাতে গ্রামাঞ্চলে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পের মিশ্র উন্নয়ন সাধিত হতে পারে।
ক্যাপশন: ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিয়াং সি প্রদেশের কাই চৌ শহরে সবজি বাগান পরিদর্শন করেন সি চিন পিং।
ক্যাপশন: ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল, কুয়াং সি অঞ্চলের কুই লিন শহরের মাও চু শান গ্রামে আঙ্গুর বাগানে প্রযুক্তিবিদ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন সি চিন পিং।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় গ্রাম-বিষয়ক কর্মসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় সি চিন পিং বলেছেন, গ্রামীণ শিল্প উন্নয়ন দ্রুততর করতে হবে, শিল্প উন্নয়নের নিয়ম মেনে স্থানীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সম্পদ কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ শিল্পকে শক্তিশালী করতে হবে; যাতে কৃষকরা শিল্পের বৃদ্ধিতে আরও উপকৃত হতে পারেন।
ক্যাপশন: ২০২১ সালের ২২ মার্চ, ফুন চিয়ান প্রদেশের নান পিং শহরের উ ই পাহাড়ের চা বাগানে বসন্ত চা দেখতে যান সি চিন পিং।
ক্যাপশন: গত ১৩ জুলাই সিনচিয়াং-এ পিচ বাগান পরিদর্শন করেন সি চিন পিং।
স্থানীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিল্প গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের জন্য পাখা স্থাপন করেছে। বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র খাদ্যশস্য চাষের মাধ্যমে বড় শিল্প তৈরি হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের মানও অনেক উন্নত হয়েছে।