দেহঘড়ি পর্ব-৮৯
2022-09-30 20:39:17

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভুবনে বাস’ সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’, এবং প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ও রোগমুক্তি নিয়ে আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’।

#ভুলের_ভুবনে_বাস

কিডনি সম্পর্কিত যত ভুল ধারণা

প্রচুর পানি পান করলে কি দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়?

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে কমপক্ষে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করুন -- এমন কথা আমরা বহুবার শুনেছি। কিন্তু এ বক্তব্যের সমর্থনে তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির কিডনি বিশেষজ্ঞ স্ট্যানলি গোল্ডফার্বের (Stanley Goldfarb) মতে, প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে প্রস্রাবের পরিমাণও বেড়ে যায়। তার মতে, “কিডনি একটি জটিল ফিল্টার। পানি পান করার পরিমাণের সঙ্গে এই ফিল্টারটি কতটা ভাল কাজ করে তার তেমন সম্পর্ক নেই।"

 


তবে এর কিছু ব্যতিক্রমও আছে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালের রবিন ল্যাংহাম (Robyn Langham) বলেন, “যদি আপনার কিডনিতে কখনও পাথর হয়ে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে ব্যথা প্রতিরোধে প্রচুর পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি চরম আবহাওয়ায় থাকেন, তবে আপনাকে বেশি পানি খেতে হবে যাতে আপনার পানিশূন্যতা না হয়। তবে স্বাভাবিক পরিস্থিতেতে বেশি পানি পান আপনার কিডনিকে আরও ভাল বা খারাপ কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও সাহায্য করবে না।"

তাহলে এই জনপ্রিয় ভুল ধারণাটি কোথা থেকে শুরু হয়েছিল? ল্যাংহাম বলেন, "আমি মনে করি এই ভুল তথ্যটি বোতলজাত পানি শিল্পের বিক্রি বাড়ানোর প্রয়োজন থেকে উদ্ভুত হয়েছে।    

উচ্চ-ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে কি কিডনিতে পাথর হয়?

বেশিরভাগ কিডনি-পাথর ক্যালসিয়াম থেকে সৃষ্ট। তাই এটা আশ্চর্যের কিছু নয় যে, আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন দুধ বা ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চললে কিডনিতে পাথর হওয়ার যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা থেকে দূরে থাকা যায়। তবে মনে রাখা দরকার, ক্যালসিয়ামের অভাব আমাদের যে সমস্যায় ফেলতে পারে, তার চেয়ে বেশি ফেলতে পারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম।

ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের ম্যাথিউ স্পার্কস (Matthew Sparks) বলেন, "খাদ্যের ক্যালসিয়াম আসলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে। সবচেয়ে সাধারণ ধরনের কিডনি পাথর দুটি উপাদান দিয়ে গঠিত -- ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট যা অনেক শাকসবজি ও ফলের মধ্যে পাওয়া যায়। অক্সালেট যখন প্রস্রাবে জমা হয়, তখন এটি রক্ত প্রবাহ থেকে ফিল্টার করা ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। আমাদের খাদ্যের ক্যালসিয়াম এটি ঘটতে বাধা দেয়। খাদ্যের ক্যালসিয়াম অক্সালেটের সাথে অন্ত্রের মধ্যেই আবদ্ধ হতে পারে এবং তারপর শরীর থেকে নিরাপদে মলের মধ্য দিয়ে বের করে দিতে পারে। ফলে অক্সালেট আর রক্তের প্রবাহে শোষিত হতে, কিডনিতে প্রবেশ করতে এবং পাথর তৈরি করতে পারে না।

কিডনি রোগ থাকলে কি প্রকাশ পাবেই

কিডনি রোগ প্রতারণামূলক হতে পারে। কিডনি রোগের শারীরিক লক্ষণগুলো খুব সূক্ষ্ম, যেমনটি হৃদরোগের ক্ষেত্রে নয়। ল্যাংহাম বলেন, আপনার কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণ না থাকলে কিডনি খুব কমই আপনাকে জ্বালাবে। তাছাড়া, আপনি কতটা প্রস্রাব করেন, তা থেকেও আপনার কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। কিডনি বিকল হওয়ার পরেও প্রস্রাব করার ক্ষমতা দীর্ঘ সময় ধরে ঠিক থাকতে পারে। তাই আপনার প্রস্রাব এখনও ঠিক মানে আপনার কিডনির কার্যকারিতাও ঠিক এমন নিশ্চয়তা নেই।

 

যদি কারও কিডনি বিকল হয়, তবে কিডনির কার্যকারিতার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত তারা এটি সম্পর্কে জানতেও পারেন না। স্পার্কসের মতে, এ বিষয়টি কিডনি রোগ নির্ণয়কে কঠিন করে তোলে। তবে আপনার কিডনির রোগ পরীক্ষা করার উপায় আছে। একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে দূষিত উপাদান ও বর্জ্য পদার্থের মাত্রা পরিমাপ করা যায়, যেটা থেকে চিকিৎসকরা বলতে পারেন, কিডনি কতটা দক্ষতার সাথে কাজ করছে।

একইভাবে, একটি প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্রাবের কিছু প্রোটিন সনাক্ত করা ও পরিমাপ করা যায়, যেটার উপস্থিতি থাকলে বোঝা যায় কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না। ল্যাংহামের মতে, রক্তচাপও কিডনি রোগের ঝুঁকির একটি ভাল সূচক। কিডনির অনেক কাজের মধ্যে একটি হলো হরমোন নিঃসরণ করা, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তিনি বলেন, "কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সাথে সাথে আপনার উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়, এবং আপনার উচ্চ রক্তচাপ হলে আপনার কিডনির ক্ষতি হতে পারে।”

কিডনির রোগ কি প্রতিরোধ করা যায়?

একটি প্রচলিত সাধারণ ভুল ধারণা হলো কিডনির রোগ প্রতিরোধ করা যায় না। ল্যাংহাম বলেন, এমন ভুল ধারণা অনেক চিকিৎসকের মধ্যেও আছে। বাস্তবতা হলো অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায় বা অন্তত রোগের গতি ধীর করা যায়, যদি কিডনিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ বেশিরভাগ কিডনি রোগের সাথে সম্পর্কিত। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য বলছে, ডায়াবেটিস আছে এমন ৩ জনের মধ্যে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ৫ জনের মধ্যে  ১ জন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত৷ গোল্ডফার্ব বলেন, “তাই কেউ যদি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তবে এটি কিডনি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে।"

বার্ধক্য, ধূমপান ও স্থূলতা মানুষকেও ঝুঁকিতে ফেলে। স্পার্কস মনে করেন, কিডনি রোগ প্রতিরোধে ব্যায়াম, সঠিক মাত্রায় পানি গ্রহণ এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আপনার যদি কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তবে নিয়মিত কিডনি পরীক্ষার করাতে হবে যাতে ক্ষতি প্রতিরোধ করা যায়। - রহমান

 

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি   অন্ধত্বের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের চোখ কিভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে। শিশু অন্ধত্বের প্রধান কারণ রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি বা আরওপি। আরওপি হলো চোখের রেটিনার এমন একটি অস্বাভাকিতা যাতে কোনো শিশু আক্রান্ত হতে পারে ৩৪ সপ্তাহের আগে জন্মালে। একটি শিশু আরওপিতে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য জন্মের ৩০ দিনের মধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ সনাক্ত করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু না করা গেলে অন্ধত্ব এড়ানো যায় না। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৩০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করে। এদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ বা ৬ লাখ শিশুর জন্ম হয় অপরিণত অবস্থায়। অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া এসব শিশুদের মধ্যে আবার ২০ থেকে ২২ শতাংশ আরওপি বা অপরিণত শিশু অন্ধত্বের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন ডাক্তার ফেরদৌস আক্তার জলি। তিনি কর্মরত ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে।

 

#ভালো_থাকাার_আছে_উপায়

থাইরয়েড সমস্যারও আছে সমাধান

থাইরয়েড সমস্যা একটি ব্যাপক-বিস্তৃত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনুমান, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। এর মধ্যে ৩ কোটি মানুষ জানেন না তারা এ সমস্যায় আক্রান্ত। থাইরয়েড গ্রন্হির অবস্থান গলায়। এখান থেকে বেশ কয়েকটি হরমোন তৈরি হয়। যখন এ গ্রন্হি থেকে হরমোনের উত্পাদন অস্বাভাবিক হয়, তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। থাইরয়েড গ্রন্হি থেকে অতিরিক্ত হরমোন তৈরি হলে সেটি হাইপারথাইরয়েডিজম আর অপর্যাপ্ত হরমোন তৈরি হলে সেটি হাইপোথাইরয়েডিজম।

থাইরয়েড সমস্যা হলে অনেকগুলো শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। যেমন ঘুম ঘুম ভাব আর সেই সাথে আলস্য আসে শরীরে। এছাড়া ধীরে ধীরে রক্তচাপ বাড়তে থাকে, ত্বকের কোমলতা কমে গিয়ে খসখসে হয়ে যায়, খাবারে অরুচি আসে, হঠাৎ ওজন বেড়ে বা কমে যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়, পা ফুলে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, চুল পড়তে শুরু করে, কোষ্ঠকাঠিন্যের দেখা দেয়, এবং মহিলাদের পিরিয়ডে সমস্যা হয়। হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথাও দেখা  দেয় থাইরয়েড সমস্যার কারণে। তবে কতগুলো ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই সমস্যা। জানিয়ে দিচ্ছি উপায়গুলো:

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত ফল ও শাক-সবজি খান: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাইরয়েড সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেকারণে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় একটু বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত ফল ও শাক-সবজি রাখুন। লাল আঙ্গুর, নাসপতি, স্ট্রবেরি, ডুমুর, পিচ, পেয়ার, কমলা, আম, তরমুজ, পেপে ও টমেটোতে ভাল পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

বেশি প্রোটিন গ্রহণ করুন: থাইরয়েডক নিয়ন্ত্রণ করতে প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকা প্রয়োজন। সেজন্য পাতে নিয়মিত মুরগির মাংস, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন। উচ্চমানের টাইরোসিন আমিষযুক্ত খাবারও থাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব দরকারি। টাইরোসিন পেতে খান মাংস, মাছ, ডিম, কলা ও মিষ্টি কুমড়ার বিচি। এছাড়া গম, শস্যদানা, যব ও বার্লির মতো গ্লুটেন প্রোটিনযুক্ত খাবারও খেতে হবে নিয়মিত। এটা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে।

ভিটামিন-বি১২যুক্ত খাবার খান: থাইরয়েড গ্রন্হিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে ভিটামিন-বি ১২যুক্ত খাবার। পনির, দুধ, দই ও ডিম ভিটামিন-বি১২’র ভাল উৎস। তাই নিয়মিত এ ধরনের খাবার খান।

আয়োডিনযুক্ত খাবার খান নিয়মিত: দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন না থাকলে থাইরয়েড হরমোন তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়, যা থেকে হাইপোথাইরয়েডিজম হয়। তাই নিয়মিত আয়োডিন যুক্ত খাবার খান।

পরযাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: থাইরয়েড সমস্যা মোকাবিলা করতে হলে ঘুমের খুবই প্রয়োজন। ঘুমের ঘাটতি হলে এ সমস্যা বাড়ে। সেকারণে চেষ্টা করুন রাত না জাগতে। তবে যাদের রাতে কাজ করতে হয়, তারা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি মেটাতে পারেন।

পরযাপ্ত পরিমাণে আয়রন গ্রহণ করুন: শরীরে আয়রন বা লৌহের পরিমাণ কমে গেলে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আয়রনযুক্ত খাবার খান। গাজর, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, শাকসবজি ও মৌসুমি ফলগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।

ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খান: থাইরয়েড ঠিকভাবে কাজ করছে, এটা নিশ্চিত করাতে লিভারের সুস্থতা প্রয়োজন। ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই যেসব খাবারে ফ্যাটি অ্যাসিড আছে -- যেমন তেলযুক্ত মাছ, কাঁচা বাদাম, অলিভ অয়েল – সেগুলো বেশি খান।

শরীরচর্চা করুন: মানসিক চাপ থাইরয়েড সমস্যা বাড়ায়। তাই মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।

চিনি এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ পরিহার করুন। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে টি-থ্রি ও টি-ফোর নামের দুটি হরমোন উত্পন্ন হয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব খারাপ। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিন।

কীটনাশক ও ভারী ধাতু থেকে দূরে থাকুন: কীটনাশক ও ভারী যেমন পারদ, ক্যাডমিয়াম ও দস্তা থাইরয়েড গ্রন্হির স্বাভাবিক কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। সেকারণে এগুলো ব্যবহারের ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্ক হোন।

গয়ট্রোজেনাস খাবার কমান: থাইরয়েডে সমস্যা বাড়ায় গয়ট্রোজেনাস খাবার যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, চিনাবাদাম, সয়াসস, ইত্যাদি। সেকারণে থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে বেশি পরিমাণে এসব খাওয়া যাবে না; যখন খাবেন, রান্না করে খাবেন, কাঁচা নয়।

‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।