সেপ্টেম্বর ২৯: স্থানীয় সময় গত ২৭ সেপ্টেম্বর জলবায়ু পরিবর্তন আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি)-র ৫৭তম পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন জুইজারল্যাণ্ডের জেনিভায় শুরু হয়। এবারের সম্মেলন হচ্ছে কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর এই সংস্থার প্রথম অফলাইন সম্মেলন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে।
চীনের আবহাওয়া ব্যুরোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক চাং সিং ইংয়ের নেতৃত্বে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীনের আবহাওয়া ব্যুরোর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি চীনা প্রতিনিধিদল এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।
সম্মেলনে ১২টি আলোচ্যবিষয় রয়েছে। এতে বিভিন্ন পর্যালোচনা-প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হবে, পর্যবেক্ষক সদস্যসংস্থার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে, আইপিসিসি’র তহবিল ব্যবহারের পরিকল্পনা ও বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে।
আইপিসিসি’র ৫৭তম পূর্ণাঙ্গ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী চীনা প্রতিনিধিদলের প্রধান ও চীনের আবহাওয়া ব্যুরোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক চাং সিং ইং চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র সংবাদদাতাকে বলেন, এবারের সম্মেলন অতীতের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। এতে দুটো আলোচ্যবিষয়কে বেশ গুরুত্ব দিবে চীনা প্রতিনিধিদল। এই সম্পর্কে তিনি বলেন
“এবারের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এবারের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আইপিসিসি’র ষষ্ঠ পর্যালোচনামূলক রিপোর্টের প্রথম কর্ম-গ্রুপের যৌথ চেয়ারম্যান এবং চীনের আবহাওয়া বিজ্ঞান একাডেমির গবেষক চাই ফান মাও সিএমজিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ষষ্ঠ পর্যালোচনামূলক রিপোর্টে মূলত জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু ও জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’ বাস্তবায়ন, দুর্যোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, এবং মানবজাতির অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের সম্ভাবনাকে যুক্ত করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় এই রিপোর্ট তৈরীতে চীনা বিজ্ঞানীরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন
“আইপিসিসি’তে চীনা বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি। এর অনেক লেখক হচ্ছেন চীনারা। সুতরাং, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চীনা বিজ্ঞানীদের অবদান তুলনামূলকভাবে বেশি। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথম দিকে আছে চীন। তাই বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বেশ অবদান রেখেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।”
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বিশ্বের সম্মুখীন কঠোর চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীন আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চাই ফান মাও এর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,
“আইপিসিসি শুধু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সুপারিশ করে। মূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বিভিন্ন দেশের সরকার ও নীতিনির্ধারকরা। বিভিন্ন দেশের সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সার্বিকভাবে চিন্তা করতে হবে। চীনের সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনা খাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে চীন।” (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)