সেপ্টেম্বর ২৮: গতকাল (মঙ্গলবার) চীনের জাতীয় কম্পিউটার ভাইরাস মোকাবিলা কেন্দ্র এবং ‘৩৬০ কোম্পানি’র যৌথ উদ্যোগে, চীনের নর্থওয়েস্ট পলিটেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সাইবার হামলা তদন্ত-প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন নিরাপত্তা ব্যুরোর আওতাধীন অ্যাক্সেস অপারেশন অফিস (টিএও) গত কয়েক বছর ধরে নর্থওয়েস্ট পলিটেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সহস্রাধিক বার সাইবার হামলা চালিয়েছে। প্রতিবেদনে এসব হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টিএও সাইবার হামলার মাধ্যমে চীনের অবকাঠামো খাতের তথ্য এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের গোপন তথ্য চুরি করেছে।
বস্তুত, দীর্ঘকাল ধরে সাইবার চুরি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি এখন ওপেন সিক্রেট। ফরাসি গণমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন সাইবার মনিটরের মূল উদ্দেশ্য গোটা বিশ্বের তথ্য ট্যাপিং করা; মিত্রদেশগুলোও এর বাইরে নয়। এডওয়ার্ড স্নোডেন ২০১৩ সালে ‘প্রিজম’ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। আর এর মাধ্যমে ইমেইল, ফেসবুক তথ্য, গুগল চ্যাটসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরোর গোয়েন্দাগিরি ফাঁস হয়।
প্রকাশিত তদন্ত-প্রতিবেদনে যথেষ্ট প্রমাণ আছে যে, মার্কিন পক্ষের ১৩ জন সাইবার হামলাকারীর আইডি শনাক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধী আচরণ এতে ফুটে ওঠে।
চীন বরাবরই বলে আসছে যে, সাইবার নিরাপত্তা রক্ষায় কোনো দ্বৈত মানদণ্ড থাকা উচিত নয়। কোনো দেশ অন্য দেশের নিরাপত্তার বিনিময়ে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অবিলম্বে চীনের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা বন্ধ করা এবং চীনের প্রকাশিত তদন্ত-প্রতিবেদনের দায়িত্বশীল জবাব দেওয়া। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)