আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আকাশ এবং তৌহিদ।
আকাশ: তৌহিদ ভাই, আপনার চীনা ভাষা শেখার কী অবস্থা? আমি জানি আপনার চীনা ভাষা ইতোমধ্যে কিছুটা উন্নত হয়েছে।
তৌহিদ:...
আকাশ: ভাই, অনেকে ভাবছেন, চীনা ভাষা শেখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। বিশেষ করে চীনা শব্দ উচ্চারণ ও লেখা। আপনি কি মনে করেন? চীনা ভাষা শিখার খাতে আপনার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা, অনুভূতি বা কৌশল আমাদের শ্রোতাবন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন?
তৌহিদ:...
সংগীত
আকাশ: বন্ধুরা, যদি আপনার জীবনযাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার সময় স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা চালানোর সময়, অবশ্যই অনেক কষ্টকর সময় রয়েছে। অবশ্যই আপনার একা লাগত, দুর্বল লাগত। সমস্যা নাই, আমরা আছি এবং আমাদের অনুষ্ঠানের এসব খেলোয়াড়দের গল্প ও চেতনা আছে। আশা করি আমরা, এসব গল্প ও এসব মহান খেলোয়াড়দের চেতনা আপনাদেরকে সঙ্গ দিতে পারবে শক্তি যোগাতে পারবে। আপনি কি বলেন তৌহিদ ভাই?
তৌহিদ:..
আকাশ: তাহলে আজকে আমরা আগের মতই অলিম্পিক গেমসের খেলোয়াড়দের গল্প আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
বন্ধুরা, আমরা নারীদের ১০ মিটার ডাইভিং টাওয়ার ইভেন্টে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন চীনের বিখ্যাত নারী ছুয়ান হং ছানের গল্প আপনাদেরকে জানাবো।
ছুয়ান হং ছানের বয়স তখন ছিল মাত্র ১৪ বছর। এত ছোট বয়সে তিনি জীবনের অনেক কঠোর অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন।
তাঁর জন্মস্থান মাই হ্য গ্রামে। গ্রামে ৩৮টি দরিদ্র পরিবার ছিল। এর মধ্যে তাঁর পরিবার একটি।
কয়েক বছর আগে, তাঁর মা একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হন। কয়েকবার হাসপাতালে চিকিত্সা নেওয়া পরিবারের অর্থ সংকট দেখা দেয়।
১৪ বছর বয়সী ছুয়ান হং ছান অনেক স্বনির্ভর ও সাহসী। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “মা এখন অসুস্থ। আমি প্রতিযোগিতা জয় করতে চাই, যাতে অর্থ উপার্জন করতে পারি। এ টাকা দিয়ে মা’র চিকিত্সা করতে পারব।”
তিনি জানেন, এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চাইলে, কঠোর প্রশিক্ষণ ছাড়া আর কোনোই পথ নেই। এজন্য তিনি অন্যদের চেয়ে আরো বেশি প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। প্রতিদিনের কঠোর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন এবং পরিবারের ভারী দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।
সত্যিকারের শক্তিশালী মানুষ, তাদের যতই সমস্যা হোক না কেন, তারা তা অতিক্রম করতে পারে। এসব গল্প সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন?
তৌহিদ:...
বন্ধুরা, অনুষ্ঠান শেষে আমরা ‘জাম্প, আসিন’ চলচ্চিত্রটির একটি গান শুনবো, কেমন? এ চলচ্চিত্র চীনের একজন জিমনাস্টিক খেলোয়াড় জীবন লড়াইয়ের সম্পর্কে। এ গানটির নাম হচ্ছে ‘জাম্প’।
হ্যান্ডস্ট্যান্ড করে বিশ্বকে দেখি, যাতে চোখের পানি না ঝরে
পৃথিবী আকাশ হয়ে যায়,
পৃথিবী উল্টে যায়,
কিন্তু আসলে বিশ্ব পরিবর্তন হয়নি।
আমি আমার স্বপ্নের পিছনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি
দিগন্ত বরাবর
সব প্রচেষ্টায় সামনে এগিয়ে যাও
এই পৃথিবীতে কোন জিনিস থাকতে পারে?
প্রচেষ্টার ঘামের পানি এবং পরিশ্রম
এখন কি এটার কোনো পরিবর্তন আছে?
আমি আমার স্বপ্নের পিছনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি,
দিগন্ত বরাবর
সব প্রচেষ্টায় অব্যাহতভাবে সামনে এগিয়ে যাও
জাম্প- সুন্দর ঘূর্ণায়মান বিশ্ব
জোর দিয়ে জাম্প
যাই ঘটুক না কেন
জাম্প- উষ্ণ রক্ত ব্যবহার করে নীল আকাশে উড়তে
জাম্প- তারপর আমরা পৃথিবীর আকাশ পরিবর্তন করতে পারবো।
(আকাশ/তৌহিদ)