জাং শাও হান
2022-09-18 16:15:09

জাং শাও হান বা অ্যাঞ্জেলা জাং ১৯৮২ সালের ১৯ জানুয়ারি চীনের তাইওয়ান প্রদেশের থাও ইউয়ান শহরের চৌং লি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হচ্ছেন চীনা ভাষার একজন জনপ্রিয় পপসঙ্গীত শিল্পী এবং টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি কানাডার স্যার উইনস্টন চার্চিল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।

ছোটবেলা থেকে তিনি গান গাইতে ভালোবাসেন। কিন্তু শুরুর দিকে ভালোভাবে গাইতে পারতেন না। যখন তাইওয়ানে কেটিভি জনপ্রিয় হয়ে উঠে, তখন তিনি প্রতি সপ্তাহে দুই বার কেটিভি-তে গেতে যেতেন। আস্তে আস্তে তাঁর কণ্ঠ ভাল হয়। এছাড়া তাঁর মা উল্লাস ক্লাবের সদস্য ছিলেন এবং সব সময় পিয়ানো বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জন্য গান গেয়েছেন। এটা তাঁর মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। যখন তাঁর বয়স ১৭ বছর, তখন তিনি কানাডায় একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর তিনি তাইওয়ানে গিয়ে প্রতিযোগিতার সাধারণ ফাইনালে অংশ নিয়েছেন। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি জুরি—লিন লুংস্যুয়ানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর করার পর তিনি কানাডায় ফিরে গিয়ে আরও দু’বছর লেখাপড়া করেছেন। লেখাপড়া চলাকালে তিনি গায়িকা হবার পেশাগত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে তিনি তাইওয়ানে ফিরে এসে লিনফেয়ার রেকর্ডস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে পেশাদার শিল্পী হন। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে অ্যাঞ্জেলা তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম “অভার দ্য রেইনবো” প্রকাশ করেন। অ্যালবামে ‘রূপক-কাহিনী’ ও ‘হারানো সুন্দর’সহ ১২টি গান অন্তর্ভূক্ত হয়। 

 

একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাঞ্জেলা উইলবার পানের সঙ্গে “সুখের উপাসনা” গানটি গেয়েছেন এবং ডিসেম্বর মাসে তিনি তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম “ঊষা” প্রকাশ করেন। এতে প্রধান গান ‘ঊষা’সহ ১১টি গান অন্তর্ভূক্ত হয়। এছাড়া, তিনি অ্যালবাম দিয়ে ১৬তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা ম্যান্ডারিন গায়িকা পুরষ্কার জিতেন। এর মধ্যে “ঊষা” গানটি মিউজিক রেডিও চীনের টপ তালিকায় হংকং ও তাইওয়ান বার্ষিক গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডস জিতে। এছাড়া তিনি আমন্ত্রিত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এসবিএস টিভি স্টেশনের “কিম ইউন এ’স মিউজিক ওয়েব” পরিবেশন করেছেন। ফলে এসবিএস সঙ্গীত অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা প্রথম চীনা গায়িকায় পরিণত হন তিনি। বন্ধুরা, যেহেতু দু’টো গান এতো বেশি পুরষ্কার জিতে, তা অবশ্যই অনেক সুন্দর। 

 

২০০৬ সালের জানুয়ারিতে অ্যাঞ্জেলা তৃতীয় অ্যালবাম “প্যান্ডোরা” প্রকাশ করেন। এতে অন্তর্ভূক্ত হয় ‘অদৃশ্য পাখা’ ও ‘সুগন্ধি লিলি’সহ ১১টি গান। অ্যালবামটি দিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি সেরা গায়িকা পুরষ্কার জিতেন। আচ্ছা বন্ধুরা, অ্যাঞ্জেলার অনেক গান খুব সুন্দর, এখন আমরা একসঙ্গে তাঁর অন্যতম দু’টো “প্যান্ডোরা” এবং “অদৃশ্য পাখা” শুনবো। 

 

(প্রেমা/এনাম)