সেপ্টেম্বর ১৮: সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার এক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সম্মেলনে চীন তিন দেশের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন খাতে সহযোগিতার সাতটি সমস্যা তুলে ধরে। এসময় চীন বলেছে, উক্ত সহযোগিতা বিপজ্জনক ও বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক।
এক বছরে আগে এই দিনে যুক্তরাস্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া, গোটা বিশ্বের বিরোধিতা উপেক্ষা করে, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন খাতে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন অস্ট্রেলিয়াকে আটটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন উত্পাদনে সহায়তা দেবে। এ কারণে অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের সাথে করা ৯০ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার মূল্যের ১২টি প্রচলিত শক্তিচালিত সাবমেরিন ক্রয়ের চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করে দেয়। ফ্রান্স এর জবাবে অস্ট্রেলিয়াকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘মিথ্যাবাদী’ বলে আখ্যায়িত করে।
এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করেন, তিন দেশের মধ্যে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন খাতে সহযোগিতার আসল উদ্দেশ্য হলো পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ঘটানো, যা গোটা বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তিনটি দেশই পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু দৃশ্যত পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের চেষ্টাও করে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব এমনিতেই অশান্ত। পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, পরমাণু নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখা সকল দেশের অভিন্ন দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার আচরণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তিও বিনষ্ট করবে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সমাজের বসে থাকা উচিত নয়। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)