সেপ্টেম্বর ১৭: চীনা জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর গতকাল (শুক্রবার) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত অগাষ্টে জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি ছিল সন্তোষজনক। এ সময় প্রধান সূচকগুলো বেড়েছে। এর মধ্যে গাড়ি উত্পাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৯ শতাংশ এবং অটোমোবাইল শিল্পে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন হয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি।
বিদেশী গণমাধ্যমগুলো গত অগাষ্টে চীনের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা বর্ণনা করতে গিয়ে ‘প্রত্যাশার চেয়ে ভালো’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছে। যে-সূচকগুলো নিয়ে তারা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন সেগুলোর মধ্যে আছে সামাজিক ভোগ্যপণ্যের মোট খুচরা বিক্রির পরিমাণ, নির্ধারিত আকারের উপরের শিল্পে সংযুক্ত মূল্য, স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ, ইত্যাদি। প্রথম দুটি সূচক অগাষ্ট মাসে যথাক্রমে ৫.৪ ও ৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ বেড়েছে ৫.৮ শতাংশ।
অগাষ্টে চীনা অর্থনীতিতে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন সহজ ছিল না। জটিল আন্তর্জাতিক পরিবেশে, চীন কোভিড-১৯ ও চরম আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। তবে, এমন সব প্রতিকূলতার মধ্যেও, চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার অব্যাহত ছিল ও আছে।
বিশ্ব ব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত সর্বশেষ বহুমুখী গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করতে, সুদের হার বাড়িয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাও প্রবল। এ অবস্থায়, গত জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কমিয়ে দেয়।
এমন নেতিবাচক পরিস্থিতিতেও চীন নিজের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি বিশ্বের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। সম্প্রতি চীনা জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের গড় অবদান ছিল ৩০ শতাংশের বেশি। এ ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান বিশ্বে প্রথম। সম্প্রতি আয়োজিত চীনের ২২তম আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য মেলায় ৪৮০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মোট আর্থিক মূল্য ৩৪২ বিলিয়ন ইউয়ান।
চীনা বাজার বিশ্বের বাজার ও অভিন্ন বাজারে পরিণত হবে—এটি চীনের প্রতিশ্রুতি। চীন এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশাল বাজার ও জনগণের ওপর আস্থার ভিত্তিতে, চীন অব্যাহতভাবে নিজের ও বিশ্বের জন্য সাফল্য বয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)