চীনা জাতির দারিদ্র্যবিমোচনে যেভাবে লড়েছেন সি চিন পিং
2022-09-16 15:35:21

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একসময় আবেগ নিয়ে বলেছিলেন, ‘গত চার দশকের বেশি সময় ধরে আমি চীনের বিভিন্ন জেলা, শহর, প্রদেশ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কাজ করেছি। দারিদ্র্যবিমোচন বরাবরই আমার কাজে প্রাধান্য পেয়েছে এবং তাতে আমি অনেক সময় ব্যয় করেছি।’

 

আজকের এ অনুষ্ঠানে আমরা সি চিন পিং’র দারিদ্র্যবিমোচনের কিছু প্রচেষ্টা সবার কাছে তুলে ধরবো।

 

ছোং ছিং শহরের শি চু টু জাতির স্বায়ত্তশাসিত জেলার হুয়া সি গ্রাম দুটি পাহাড়ের মধ্যে একটি গিরিখাতে অবস্থিত। এ গ্রাম সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক বেশি উঁচুতে অবস্থিত। আবাদি জমির পরিমাণ অনেক কম। চীনের দরিদ্র পার্বত্যাঞ্চলের অন্যতম এটি।

 

২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিং থেকে এ গ্রাম দেখতে যান। প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে গ্রামটিতে পৌঁছাতে সি চিন পিং তিন ধরণের পরিবহন ব্যবহার করেন। তখন তাঁর ও তাঁর সফর সঙ্গীদের কানে ভেসে আসে সুন্দর সংগীত এবং চোখে পড়ে শিক্ষার্থীদের স্থানীয় নৃত্য পরিবেশনা।

 

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ওপর খুব গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “দুটি দুশ্চিন্তা-মুক্ত বিষয় ও তিনটি নিশ্চয়তার বিষয়ের নীতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাধ্যতামূলক শিক্ষার নিশ্চয়তা। জীবনে ঝুঁকি নিয়ে হলেও শিশুদের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে হবে এবং গরিব হলেও শিক্ষার অভাব দূর করতে হবে। দরিদ্র পবর্তাঞ্চলে শিশুদের শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে এবং তাদের জন্য সুখী ও আনন্দময় শৈশব সৃষ্টি করতে হবে।

 

মা পেই ছিং’র পরিবার সে সময় মাত্র দারিদ্রমুক্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর বাড়িতে সাশ্রয়ী খাদ্যের পরিমাণ দেখে খুবই আনন্দিত হন। মা পেই ছিং’র বাড়ির সামনের খালি মাঠে কয়েকটি টেবিল ও চেয়ার বসিয়ে অস্থায়ী আড্ডার স্থান তৈরি করা হয়। সি চিন পিং গ্রামবাসীদের প্রতিনিধি, দারিদ্র্য-মুক্তির কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং গ্রামীণ চিকিৎসকের সঙ্গে সেখানে আলোচনায় বসেন। তিনি বলেন, “আমি বিশেষভাবে আপনাদের দেখতে এসেছি। আমি মূলত ‘দুটি দুশ্চিন্তা-মুক্ত বিষয় ও তিনটি নিশ্চয়তার বিষয়ের নীতি বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাই।”

 

দারিদ্র্যমুক্তি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র দৃষ্টিতে একটি বড় কাজ। সি চিন পিং’র উদ্যোগে ২০১৯ সালের শেষ দিকে এ গ্রাম সম্পূর্ণভাবে দারিদ্রমুক্ত হয়েছে। গ্রামবাসীদের জীবন-যাপন দিন দিন সুন্দর হয়েছে।