সেপ্টেম্বর ১৬: চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) এবং চায়না সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামের যৌথ আয়োজনে ‘স্পেস ড্রিমস’ পেইন্টিং কালেকশন এবং ‘স্পেসের প্রশ্ন’ নামের ইন্টারেক্টিভ কার্যক্রম গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে চায়না সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
তাতে ২০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলের কিশোর-কিশোরীদের ছয় শ’রও বেশি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়। মহাকাশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ কার্যক্রমও সেখানে অনুষ্ঠিত হয়।
চীনের প্রথম প্রজন্মের মহাকাশচারী এবং চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ প্রকল্পের উপ-প্রধান ডিজাইনার ইয়াং লি উই জানিয়েছেন, শেনচৌ-১৪ মহাকাশযানের ক্রুদের মধ্যে দুজন পুরুষ মহাকাশচারী দ্বিতীয় আউট বোর্ড কার্যক্রম শুরু করবে।
‘অতিথি হিসেবে চীনা মহাকাশ স্টেশনে স্বাগতম!’
গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনা মহাকাশ স্টেশনে কর্মরত শেনচৌ-১৪ মহাকাশযানের ফ্লাইট ক্রুরা, মহাকাশচারী ছেন তোং, লিউ ইয়াং এবং ছাই সুই চে ভিডিওর মাধ্যমে এবারের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশী তরুণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের জুন মাসে ‘স্পেস ড্রিমস’ পেইন্টিং কালেকশন এবং ‘স্পেসের প্রশ্ন’ ইন্টারেক্টিভ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে মঙ্গোলিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, তুরস্ক ও কেনিয়াসহ অনেক দেশের তরুণ বন্ধুরা তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। কার্যক্রমের মাধ্যমে ছয় শতাধিক পেইন্টিং এবং হাজার হাজার প্রশ্ন সংগ্রহ করা হয়।
শেনচৌ-১৪ মহাকাশযানের ক্রুরা বলেছেন যে এসব চিত্রকলা কল্পনায় পূর্ণ এবং খুব আকর্ষণীয়। মহাকাশচারী লিউ ইয়াং বলেন,
‘আমরা পেইন্টিং থেকে মহাকাশের প্রতি সবার আগ্রহ এবং আকাঙ্ক্ষা অনুভব করতে পারি। কেউ পাখির মতো মহাকাশে উড়ে যাওয়ার আশা করে, কেউ আন্তঃনাক্ষত্রিক ভ্রমণের স্বপ্ন দেখে এবং কেউ কল্পনা করে যে অন্য গ্রহে ভিন্ন ত্বকের রঙের শিশুরা গাছ লাগায় এবং একসাথে খেলাধুলা করে। আর কেউ কেউ আমাদের তিনজনের শেনচৌ-১৪ মহাকাশযান যোগে মহাকাশে চলে আসার দৃশ্য আঁকে। প্রত্যেকেই একটি দুর্দান্ত কাজ করেছে।’
চীনের প্রথম প্রজন্মের মহাকাশচারী এবং চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ প্রকল্পের উপ-প্রধান ডিজাইনার ইয়াং লি উই একইদিন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। মহাকাশের জীবন সংক্রান্ত অনেক দেশি-বিদেশির প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন,
‘অজানা বিষয়ে শিশুদের কৌতূহলকে ব্যবহার করে বিজ্ঞানের প্রতি তাদের ভালবাসাকে উদ্দীপিত করার জন্য বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তোলার শিক্ষা চালানো হয়। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি মনোযোগ দিতে এবং যত্ন নিতে আরও বেশি লোককে উত্সাহ দেওয়া হয়। আমি মনে করি, আমাদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত অর্থপূর্ণ অনুষ্ঠান।’
চলতি বছরের জুলাই মাসে চীন সাফল্যের সঙ্গে ওয়েনথিয়ে পরীক্ষামূলক কেবিন নিক্ষেপ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সামনের অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক কেবিন, মোং থিয়েন, নিক্ষেপ করা হবে। এরপর চীনে জাতীয় মহাকাশ গবেষণাগার তৈরি হবে। তখন মহাকাশ স্টেশনে যাওয়া ৬ জন মহাকাশচারীর একসাথে কাজ করার দৃশ্য দেখা যাবে। মহাকাশে চীনের প্রথম মানুষ হিসেবে ইয়াং লি উই খুব গর্বিত। তিনি বলেন,
‘প্রথমে মহাকাশ এবং পৃথিবীর যাতায়াত, কেবিনের বাইরে যাওয়া, তারপরে মহাকাশ স্টেশনের নির্মাণের সাক্ষী হিসেবে বলতে চাই, আমরা মহাকাশে অনেক অর্জন করেছি, এবং আমাদের দেশকে মহাকাশের শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছি। আমাদের জন্য বিশেষ করে মহাকাশচারীদের জন্য এটা খুবই গর্বের ব্যাপার। আমি মনে করি, এটি সারাদেশের জনগণের ব্যাপক সমর্থনে অর্জিত ফলাফল।’
লিলি/এনাম/রুবি