দেহঘড়ি পর্ব-৮৬
2022-09-09 20:06:35

দেহঘড়ি পর্ব-৮৬

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ‘সুস্বাস্থ্যের জন্য’।

 

# ঐতিহ্যবাহী_চিকিৎসাধারা

হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় টিসিএম

ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি বা টিসিএম-এ হার্ট হৃদযন্ত্রকে সামগ্রিক শারীরিক স্বাস্থ্যের কেন্দ্রবিন্দু মনে করা হয়। প্রাচীন চীনা গ্রন্থ যেমন তাওবাদী ক্লাসিক গ্রন্থ হুয়াইনানচি ও কুয়ানচিতে স্পষ্টভাবেই হৃদযন্ত্রকে ‘পাঁচটি প্রধান অঙ্গের নেটওয়ার্কের শাসক’ ও ‘মানবদেহের সম্রাট’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে হৃৎপিণ্ড পাঁচটি চাং বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একটি। অন্য চাং অঙ্গগুলো হলো প্লীহা, ফুসফুস, কিডনি ও লিভার। ইয়িন অঙ্গ হিসাবেও পরিচিত এসব অঙ্গ রক্ত, শারীরিক তরল ও ‘ছি’ বা শক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ উৎপাদন, সঞ্চয় ও নিয়ন্ত্রণ করে। চাং অঙ্গগুলো শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে বলে বিশ্বাস করা হয়।

প্রতিটি চাং অঙ্গ একটি ‘ফু’ অঙ্গ বা ‘ইয়াং’ অঙ্গের সাথে জোড়া থাকে। ‘ইয়াং’ অঙ্গ, যেগুলোর মধ্যে অন্যতম পিত্তথলি, ক্ষুদ্র অন্ত্র, পাকস্থলী, বৃহৎ অন্ত্র ও মূত্রাশয়, খাদ্য হজম, পুষ্টি শোষণ এবং শারীরিক বর্জ্য বের করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে ‘ফু’ অঙ্গগুলো বাহ্যিক কার্য সম্পাদন করে।

চাং অঙ্গ হিসাবে হৃৎপিণ্ড ক্ষুদ্র অন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যদিও হৃদযন্ত্র শরীরে আরও সাধারণভাবে বড় ভূমিকা পালন করে। ‘হৃদযন্ত্র সম্পর্কে শেন শি জুনশেং শু’তে বলা হয়েছে, "[হৃদযন্ত্র হলো] জীবনের মূল, শেন বা আত্মার আসন, রক্তের কর্তা এবং রক্তনালীর সেনাপতি। শেন-এর সর্বব্যাপী উপস্থিতির কারণেই [হৃদযন্ত্রের] এই উন্নত অবস্থান: ‘শেন’ ‘ছি’র মধ্যে থাকে এবং ‘ছি’ ‘চিং;-এর মধ্যে থাকে। কেবলমাত্র হৃৎপিণ্ডের ‘চিং’ সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে এবং এটি অন্য চারটি ‘চাং’ অঙ্গে শেন প্রেরণে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ডের ‘ছি’ও সব সময় প্রচুর থাকে এবং এটি ছয়টি ‘ফু’ অঙ্গে শরীরের ‘চিং’ টেনে আনতে সাহায্য করে।"

অন্যভাবে বলা যায়, আপনি যদি আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখেন তবে আপনার শরীরও সুস্থ থাকবে। এবং যে অঙ্গগুলো হৃদযন্ত্র থেকে ‘ছি’ নেয় এবং যেগুলো হৃদযন্ত্রে ‘চিং’ পাঠায় আপনি যদি সেই অঙ্গগুলোর ভাল যত্ন নেন, তাহলে আপনার হৃদযন্ত্র পুষ্ট ও সুরক্ষিত থাকবে।

পশ্চিমা চিকিৎসাব্যবস্থায় দেহের অঙ্গগুলোকে পৃথক শারীরিক একক হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসাব্যবস্থায় অঙ্গগুলোকে শরীরের ভিতর বিশাল নেটওয়ার্কের বিমূর্ত ও আন্তঃসম্পর্কিত দিক হিসাবে দেখা হয়। টিসিএম-এ ইয়িন-ইয়াং ভারসাম্য নীতি মতে, যদি আপনার কোনও অঙ্গ রোগাক্রান্ত হয় বা ঠিকমতো কাজ না করে, তবে অন্তত অন্য একটি অঙ্গও এর ফলে প্রভাবিত হবে।

টিসিএম অনুসারে কীভাবে হৃদয়কে সুস্থ রাখবেন?

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, দেশটিতে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে নিষ্ক্রিয়তা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, ধূমপান, অপর্যাপ্ত বা নিম্নমানের ঘুম এবং অনিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ। সৌভাগ্যের বিষয় হলো টিসিএম-এর নীতি অনুসারে প্রতিটি ঝুঁকিই মোকাবেলা করা যায়। এখন আমরা আলোচনা করবো এসব ঝুঁকি মোকাবিলা করা সম্ভব সেগুলো নিয়ে।

ঝুঁকি-১: নিষ্ক্রিয়তা

সমাধান: থাইচি, ছিকুং ও যোগ ব্যায়াম। থাইচি ব্যায়ামের এই মৃদু ধরণ। এটি শারীরিক শক্তি, নমনীয়তা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং একটি সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করতে পারে। থাইচিকে সাধারণত ‘গতির মধ্যে ধ্যান’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। তবে এটিকে "গতির মধ্যে ওষুধ" বলেই ভাল। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিক যে, মন ও শরীরের এই অনুশীলন অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময় ও প্রতিরোধ করতে পারে। ছিংকুং হলো শারীরিক-ভঙ্গিমা, নড়াচড়া, শ্বাস-প্রশ্বাস ও ধ্যানের একটি ব্যবস্থা যা স্বাস্থ্য, আধ্যাত্মিকতা ও মার্শাল-আর্ট প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে যোগ ব্যায়াম বা ইয়োগা হলো মনঃসংযোগ করার মাধ্যমে একটি নিদিষ্টি নিয়মে অবস্থান করা এবং পদ্ধতিমাফিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনা করা। মনকে সুস্থ্য রাখতে নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নাই। সুস্থ থাকতে নিয়মিত এসব শরীরচর্চা করুন। রুটিকে কিছুটা বৈচিত্র আনতে কখনো থাইচ, কখনো ছিংকুং আবার কখনো যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।

ঝুঁকি-২: অস্বাস্থ্যকর খাবার

সমাধান: টিসিএম-এ মনে করা হয় লাল খাবার অর্থাৎ টমেটো, চেরি, লাল মটরশুটি, তরমুজ, আপেল, স্ট্রবেরি, গরুর মাংস ইত্যাদি শরীরে ইয়াং বা উষ্ণ শক্তির ক্ষতি পূরণ করে হৃৎপিণ্ডকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। লাল খাবার প্রস্তুত করার জন্য সৃজনশীল উপায়গুলো সন্ধান করুন।

ঝুঁকি-৩: ধূমপান

সমাধান: আশপাশের মানুষদের জানান যে, আপনি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যাতে করে আপনার পরিকল্পনায় স্থির থাকা সহজ হয়। ধূমপান ছাড়ার পরে আসা উদ্বেগগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে এমন উপায়গুলো সম্পর্কে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ধুমপান ছেড়েছেন এমন ব্যক্তিদের গোষ্ঠীতে যোগ দিন।

ঝুঁকি-৪: অপর্যাপ্ত বা নিম্নমানের ঘুম

সমাধান: টিসিএম-এ মনে করা হয় খারাপ ঘুমের জন্য দায়ী ইয়িন ও ইয়াং শক্তির ভারসাম্যহীনতা। আপনার ঘুমের সমস্যার ভিত্তিতে আপনার টিসিএম চিকিৎসক আপনার প্রয়োজন অনুসারে একটি ভেষজ সূত্র দিতে পারেন। এছাড়াও, ভাল ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, যেমন সময়সূচি মেনে ঘুমোতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন, ঘুমানোর আগে আপনার টিভি/কম্পিউটার/মোবাইল ডিভাইস বন্ধ করুন, আপনার বিছানা ও শয়নকক্ষকে আরামদায়ক ঘুমের উপযোগী করুন। একটি নোট রাখুন যা আপনাকে ভাল ঘুমের অভ্যাস অনুশীলন করার কথা মনে করিয়ে দেয়।

ঝুঁকি-৫: স্ট্রেস বা অনিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ

সমাধান: থাইচি, ছিকুং ও ধ্যান অনুশীলন করুন। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শরীর শান্ত করার চা পান করুন। ওচিন্তা আপনার মনকে আবিষ্ট করার আগে একটি গভীর শ্বাস নিন। মানসিক চাপ অনুভব করার কারণে নিজেকে শাস্তি দিবেন না। স্ট্রেস হলো বাস্তব ও অনুভূত হুমকির প্রতি আপনার শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। স্ট্রেস তখনই ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে যখন আপনি হুমকি অতিক্রম করার অনেক পরেও ‘ফাইট বা ফ্লাইট’ মোডে থাকেন। হুমকিটি ঝেড়ে ফেলে একটি গভীর শ্বাস নিন এবং বারবার নিজেকে নিজে বলুন ‘আমি ঠিক আছি’। এছাড়া বিশ্রাম নেওয়ার কথা মনে রাখবেন। একটি চাপপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারার জন্য নিজেকে ধন্যবাদ দিন। - রহমান

 

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি   বাংলাদেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা সুবিধা ও অবকাঠামো নিয়ে। কিডনি রোগ এখন বিশ্বে ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্য সমস্যা। দিন দিন কিডনি রোগীর সংখা বেড়ে চলেছে। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বে ৮৫ কোটি মানুষ অর্থাৎ প্রতি ১০ জনে একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ১৭ লাখ মানুষ এ রোগে মারা যায়। প্রতিদিনের হিসাবে এ সংখ্যা ৪,৬৫৭। ১৯৯০ সালে কিডনি রোগ মানব মৃত্যুর ২৭তম শীর্ষ কারণ ছিল। ২০১৩ সালে সেটা এসে দাঁড়ায় ১৩তম অবস্থানে। আর বর্তমানে এটা বিশ্বব্যাপী মানব মৃত্যুর ছয় নম্বর কারণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২০ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীব্যাপী ৩০ বছরে বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যে ১৯৯০-২০১০ সালের কিডনি রোগে আক্রান্তদের হার ছিল ১৩ দশমিক ২ থেকে আর ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৪ শতাংশে। বাংলাদেশে ১০ বছর আগে কিডনি রোগী ছিল মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ; ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২০ শতাংশে, অর্থাৎ প্রতি পাঁচজনে একজন কিডনি রোগে ভুগছে। উদ্বেগের কথা হলো দেশের দুই কোটি মানুষই জানে না তারা কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি রোগ মহামারী রূপে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ তিনটি দীর্ঘদিন রোগের উপসর্গ প্রকাশ না পাওয়া, মানুষের অসচেতনতা এবং জীবনযাত্রা বা লাইফস্টাইলের পরিবর্তন, যেমন ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত হওয়া, শরীর চর্চা না করা এবং ধূমপান, মদ্যপান, ইত্যাদি। রোগের এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা সুবিধা ও অবকাঠামো কেমন, চিকিৎসকের সংখ্যা পর্যাপ্ত কিনা – এ সম্পর্কে আলোচনা করাতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শেখ মইনুল খোকন। তিনি কর্মরত কিডনি ফাউন্ডেশনে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুর রহমান অভি।

 

# ‘সুস্বাস্থ্যের_জন্য’

চোখ ভালো রাখতে যা যা খেতে পারেন

মানবদেহের গুরত্বপুর্ণ অঙ্গের অন্যতম হলো চোখ। তবে অনেকেই ভোগেন চোখের নানা সমস্যায়। আমাদের নিত্যদিনের জীবনযাপনের প্রভাব পড়তে পারে দৃষ্টিশক্তিতে। জীবনযাপন স্বাস্থ্যকর না হলে চোখসহ শরীরের অন্যান্য অংশেও প্রভাব পড়ে। তাই সবার আগে নজর দিতে হবে খাবারের প্রতি।

এমন কিছু সবজি ও ফল আছে যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব সবজি ও ফল সম্পর্কে:

পেঁপে: পেঁপে খাওয়া যায় কাঁচা এবং পাকা দুইভাবেই। কাঁচা অবস্থায় এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয় আর পাকলে ফল হিসেবে। যেভাবেই খান না কেন, পেঁপের উপকারিতা অনেক। এই ফলে আছে ভিটামিন এ। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে।

গাজর: অনেক ধরনের পুষ্টিগুণে ভরা গাজর। গাজরের সবচেয়ে বড় গুণ হলো, নিয়মিত এই সবজি খেলে চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ। এই ভিটামিন শিশুদের অন্ধত্বের মতো জটিল সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে গাজরে আরও রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে।

মিষ্টি আলু: উপকারী একটি সবজি হলো মিষ্টি আলু। এই আলু নিয়মিত খেলে ভালো থাকে চোখ। সেইসঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকারিতাও। মিষ্টি আলুতে আছে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই দুই উপকারী উপাদান আমাদের চোখ সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকরী।

আনার: রসালো ফল আনার আমাদের চোখ ভালো রাখতে কাজ করে। এটি প্রদাহ কমাতে কার্যকরী। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত আনার খাওয়ার অভ্যাস করুন। বেদানার আস্ত দানা বা রস করে খেতে পারেন। যেভাবেই খান না কেন, উপকারিতা কিন্তু কম নয়!

পুষ্টিকর সবজি ও ফলমূল: চোখ ভালো রাখতে কাজ করে চেরি, জাম, তরমুজ জাতীয় ফল ও মেথি, পালং শাক ইত্যাদি। এ ধরনের খাবার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। এতে চোখ নিয়ে সমস্যায় ভুগতে হবে না। ভালো থাকবে দৃষ্টিশক্তি। - অভি/রহমান

 

 ‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।