দু দে ওয়েই বা অ্যালেক্স টু ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে চীনা, স্প্যানিশ এবং ফিলিপিনো বংশধর। তিনি চীনা ভাষার পপসঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীতজ্ঞ এবং অভিনেতা। তিনি টরন্টো কলেজ অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক হন।
১৯৮৫ সালে তিনি লেখাপড়া শেষ করে কানাডা থেকে হংকংয়ের চতুর্থ টিভিবি ৮ ইন্টারন্যাশনাল চাইনিজ নিউ ট্যালেন্ট সিঙ্গিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। তারপর তিনি শোবিজে প্রবেশ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি তাঁর প্রথম ক্যান্টনিজ অ্যালবাম “শুধু থাকতে চাই” প্রকাশ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি আরও একটি ক্যান্টনিজ অ্যালবাম “বিস্মৃতি” প্রকাশ করেন। ক্যারিয়ারে আরও ভালো করার জন্য ১৯৯০ সালে তিনি তাইওয়ানে গিয়ে প্রথম ম্যান্ডারিন ভাষার অ্যালবাম “রোমান্স” প্রকাশ করেন।
১৯৯১ সালে অ্যালেক্স প্রকাশিত “তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসি” গানটি তাঁর প্রতিনিধিত্বশীল শিল্প-কর্মগুলির অন্যতমে পরিণত হয়। একই বছর তিনি স্যালি ইয়ে’র সঙ্গে গাওয়া “নিজেকে বিশ্বাস করা” গানটি দিয়ে সেরা দশ গোল্ডেন মেলোডি পুরস্কার জিতেন।
১৯৯২ সালের জুলাই মাসে অ্যালেক্স ম্যান্ডারিন ভাষার অ্যালবাম “প্রচণ্ড বাতাস” প্রকাশ করেন। এর মধ্যে “বিশ্বকে নিরাময় করা” এবং “অযৌক্তিক আবেগ অপেক্ষা” তাঁর আরও দুটি প্রতিনিধিত্বশীল শিল্পকর্ম। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে তিনি প্রথম একক ইংরেজি অ্যালবাম “চেরিশ” প্রকাশ করেন। পরের বছর তথা ১৯৯৩ সালে তিনি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
১৯৯৩ সালের এপ্রিলে অ্যালেক্স “আরও একবার” নামক ক্যান্টনিজ অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ম্যান্ডারিন ভাষার অ্যালবাম “অ্যাডভেঞ্চার গেম” প্রকাশ করেন। অ্যালবামে “একসাথে চাঁদ দেখা” তাঁর একটি প্রতিনিধিত্বশীল গান।
২০০১ সালের জানুয়ারিতে অ্যালেক্স “আমি বিশ্বাস করি” নামক ম্যান্ডারিন ভাষার অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এতে মোট ১২টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়। “রংধনু” অ্যালবামের একটি গান। গানটি খুবই জনপ্রিয় ছিল এবং চায়না অরিজিনাল মিউজিক পপ চার্ট সাধারণ নির্বাচন গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার জিতে।
আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের শেষ গান হিসেবে আমি আপনাদের অ্যালেক্সের আরও একটি গান শোনাব। গানের নাম “আমি তোমার সবচেয়ে প্রিয়তম”। (প্রেমা/এনাম)