গত ১০ বছরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে শিক্ষা কার্যক্রমের সংস্কার ও উন্নয়ন প্রসঙ্গ
2022-09-05 00:00:00

আগের কোনো কোনো অনুষ্ঠানে আমরা বিভিন্ন দিক থেকে চীনের শিক্ষা-কার্যক্রমের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরেছি। এ ব্যাপক পরিবর্তনের সাথে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে, গত ১০ বছরে চীনের শিক্ষা খাতের ব্যাপক উন্নতি অন্যান্য সময়ের তুলনায় ছিল অধিক দ্রুত ও কার্যকর। আজকের আসরের শুরুতে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

২০১৩ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদরদপ্তরে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঘোষণা করেন, চীনের ১৩০ কোটি মানুষকে (বর্তমানে ১৪০ কোটি) আরও ভালো ও সমমানের শিক্ষার সুযোগ দিতে চেষ্টা করবে চীনের সরকার। সেটি প্রত্যেক চীনার সুখী জীবনের স্বপ্ন পূরণের আরম্ভ বলা যায়। এ আত্মবিশ্বাসের সাথে দেশের উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেটি ছিল তখনকার চীনের নতুন সরকারের প্রতিশ্রুতি।

২০১২ সালের নভেম্বর মাসে যখন নতুন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় সরকারের পলিট ব্যুরোর স্থায়ী সদস্যরা চীনাদের সামনে এসে দাঁড়ান, তখন চীনা প্রেসিডেন্ট সি ‘১০টি আরও ভালো উদ্যোগ’ পেশ করেন। এগুলোর মধ্যে ‘আরও ভালো শিক্ষা’ ছিল শীর্ষস্থানে।

প্রশ্ন হচ্ছে: কী ধরনের শিক্ষা সবচেয়ে ভালো? এ সম্পর্কে সি বলেন, ‘সবার সমান শিক্ষার সুযোগ পাওয়া, চমত্কার জীবন কাটানো, সভ্যতার উত্তরাধিকার করা, পরিষেবা খাতে নব্যতাপ্রবর্তন, এবং জাতির উন্নয়নে নবচেতনার যোগান’ যে-শিক্ষায় নিশ্চিত করা যায়, সেটাই সবচেয়ে ভালো শিক্ষা।

গত ১০ বছরে চীনা প্রেসিডেন্ট সি’র নেতৃত্বে চীনের বৈশিষ্ট্যময় ও বিশ্বমানের আধুনিক শিক্ষা-কার্যক্রম সামনে এগিয়ে গেছে; সমান ও গণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য সৃজনশীলতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে শিক্ষা খাতের সংস্কার ও উন্নয়ন বাস্তবায়িত হয়েছে। পাশাপাশি, গণজীবিকার চাহিদা বিবেচনা করেও শিক্ষার উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।

শিক্ষা চীনের উন্নয়নের ভিত্তি। জ্ঞান ও প্রতিজ্ঞাসমৃদ্ধ চীনারা আরও সুন্দরভাবে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম। সেটি চীনা জাতির সুন্দর স্বপ্ন বাস্তবায়নের ভিত্তি।

শিক্ষার্থীদের দক্ষতা জোরদার করতে চাইলে অবশ্যই শিক্ষকদের পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা মানবজাতির বর্তমান ও ভবিষ্যতের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। তাই পুরনো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষকদের নতুন জ্ঞান ও তথ্য জানতে হবে। এভাবে আরও ভালো করে বিশ্বকে জানতে হবে, পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।

আসলে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহুমুখী শক্তির প্রতিযোগিতার মূল বিষয় দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। দক্ষ ব্যক্তি সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নের মূল সম্পদ। চীনের দুটি ‘শতাধিক বছরের লক্ষ্যমাত্রা’ বাস্তবায়নের মূল পদ্ধতিও দক্ষ ব্যক্তি ও গুণগত মানের শিক্ষার ওপর নির্ভর করে।

আজকের চীনে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা-কার্যক্রম। এ দেশে জনগণের জন্য আরও ভালো ও সমান শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির কাজ এগিয়ে চলেছে।

একটি জনতানির্ভর রাজনৈতিক পার্টি হিসেবে সিপিসি কিভাবে শিক্ষার আধুনিকায়নে দক্ষ ব্যক্তিদের কাজে লাগাতে পারে? কিভাবে বিশ্বের পাঁচ ভাগের এক ভাগ লোকসংখ্যার সৃজনশীলতাকে উত্সাহিত করা যায়? কিভাবে পাশ্চাত্যের সামাজিক ব্যবস্থার সাথে ভিন্ন উন্নয়নের পথ খুঁজে পাওয়া যায় এবং এ প্রক্রিয়ায় চীনাদের চেতনা ও আধ্যাত্মিকতার চর্চা অব্যাহত রাখা যায়? সিপিসি-কে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে হয়েছে।

শিক্ষার স্কেল উন্নত করার পর শিক্ষার মান কিভাবে নিশ্চিত করা যায় এবং শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পর কিভাবে সমতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যায়? উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীর সংখ্যা যত বাড়বে শিক্ষা-কাঠামোতে সমন্বয়ও তত জরুরি ব্যাপার হবে। দ্রুত শহরায়নের ফলে শিক্ষিত লোকজনের শহরমুখী অভিবাসনও অনেক বেড়েছে। তা ছাড়া, অর্থনীতির বিশ্বায়নে বৈদেশিক বিনিময় ও সহযোগিতাও জরুরি বিষয়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের বিস্তারিত সংস্কার ও সুবিধাজনক নীতিমালা প্রয়োজন।

চীনের শিক্ষার মান বিশ্বমানের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ২০১৪ সালে চীনের প্রাথমিক স্কুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বিশ্বের উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর গড় হারের চেয়ে বেশী ছিল। তা ছাড়া, শিক্ষা সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চীনের কারিগরি শিক্ষা খাতে প্রতিবছর বিভিন্ন পেশার এক কোটি লোক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। গত ৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পেশাদার দক্ষ ব্যক্তি সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি। তারা চীনের উচ্চ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং নবোদিত শিল্পের উন্নয়নে প্রাণশক্তি যুগিয়েছেন।

শিক্ষা খাতে চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাবও বেড়েছে। চলতি বছরের ১৮ই ফেব্রুয়ারি বিশ্বের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার এক জরিপ থেকে জানা গেছে, চীনের শাংহাই মহানগরের শিক্ষকদের যোগ্যতা বিশ্বমানের। তাদের পেশাগত মান, শিক্ষাগত বৈচিত্র্য, আন্তর্জাতিক গড় মানের চেয়ে বেশি। শাংহাইয়ের মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরাও দু’বার বিশ্বের শীর্ষস্থানে উঠে আসে। চীনে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটাও চীনের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের প্রতীক।

আরেকটি গল্প এখানে শেয়ার করতে চাই। গত ১০ বছরের মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কমপক্ষে ১৫ বার বিভিন্ন খাতের সাধারণ মানুষের সাথে চিঠিপত্র আদানপ্রদান করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুব শিক্ষার্থী, তৃণমূলের সিপিসি’র সদস্য, সীমান্ত এলাকার চীনা সৈন্য, এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

চীনের মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের চিঠির জবাবে সি চিন পিং ছাত্রছাত্রীদেরকে বিভিন্ন জাতির সেরা সংস্কৃতি মনোযোগ দিয়ে শেখার তাগিদ দেন।

বেইজিং নোর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে কুইচৌ প্রদেশের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে সি আশা করেন যে, শিক্ষকরা দেশের পশ্চিমাঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখবেন।

সার্বিকভাবে সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলার সন্ধিক্ষণে শিক্ষার সমতার ওপর গুরুত্ব দেন সি। ২০২০ সালে তিনি বলেছিলেন, চলতি বছর চীনকে সার্বিকভাবে মধ্যমমানের সচ্ছল সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে দরিদ্র এলাকার মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে। আর এর জন্য দরিদ্র এলাকার বাচ্চাদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা দারিদ্র্যমুক্তির গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।

বর্তমানে চীনের পশ্চিমাঞ্চল, গ্রামাঞ্চল এবং সীমান্ত ও দরিদ্র এলাকার শিক্ষার অবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, যা আরও বেশি সহায়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব। গত কয়েক বছরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার মোট ১১০ বিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের স্কুলের অফিসভবন ও হোস্টেল নির্মাণ করেছে এবং দরিদ্র এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের মাসিক বেতন বাড়িয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া, দরিদ্র এলাকায় অবস্থিত ৩ কোটি ২০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের শিক্ষার সাথে দেশের উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। চীনের সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে বলেই, প্রতিটি শিশুর জন্য উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে।

 

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের তৃণমূলের স্কুলে শিক্ষক হওয়া

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যেমন সংকটে পড়েছে, তেমনি কর্মসংস্থান বাজারের ওপরও পড়েছে ব্যাপক চাপ। এ প্রেক্ষাপটে চলতি বছর, চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে, বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অগাস্ট মাস পর্যন্ত চীনের ৩১টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও মহানগরে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয় ৬৮০টিরও বেশি। এতে স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের তথ্যাদি দেওয়া হয়। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বেশি স্নাতক শিক্ষার্থীর তৃণমূল পর্যায়ের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

 

চলতি বছর চীনের হুপেই প্রদেশে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলে ২০ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। ওয়েবসাইটে নিবন্ধন এবং প্রকাশ্য সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে এসব পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেরা শিক্ষক নিয়োগের এটি একটি পদ্ধতি। চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিও সম্প্রসারিত হয়েছে। যারা প্রদেশ পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাঙ্কিংয়ে প্রথম ২০ শতাংশের মধ্যে আছেন, তারা বিনা পরীক্ষায় কেবল মৌখিক সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। শাআনসি নোর্মল বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমাঞ্চলের বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান সহায়তা প্রকল্পে চীনের পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি প্রদেশ ও শহর এবং হাইনান প্রদেশের ১৪৯টি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এভাবে পশ্চিমাঞ্চলের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সহায়তা করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। জুলাই মাসের শেষ দিকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী  বিভিন্ন স্কুলে নতুন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

 

‘বিশেষ কর্মসংস্থান পরিকল্পনা’ গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকের চাহিদা মেটানোর গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। ২০২২ সালে ‘বিশেষ কর্মসংস্থান পরিকল্পনা’য় শিক্ষকদের নিয়োগ সংখ্যা ৬৭ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, চীনের দারিদ্র্যমুক্ত জেলা ও অঞ্চল এবং সংখ্যালঘু জাতিঅধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পর, দূরবর্তী গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকের চাহিদা মেটানো সহজতর হয়েছে। ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের ৪৩ শতাংশ তৃণমূলের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সাউথওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচেষ্টায় ইয়ুননান, সিনচিয়াং, তিব্বত ও কুইচৌসহ বিভিন্ন এলাকায় ১২টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু হয়েছে। গত ৮ বছরের মধ্যে এক লাখেরও বেশি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করেছেন। এর কোর্সের লক্ষ্য ছিল ইয়ুননান, ছোংছিং, সিছুয়ান, কুইচৌসহ বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরের ৫ সহস্রাধিক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং চীনের মধ্যাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের অনুন্নত এলাকায় তৃণমূলের শিক্ষকদের মান উন্নত করা।

 

প্রশিক্ষণ কোর্সের পাশাপাশি বিশেষ কর্মসংস্থান পরিকল্পনার আওতায় শিক্ষকদের দীর্ঘকালীন উন্নয়নে ধারাবাহিক সুবিধাজনক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যেমন, চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভর্তুকি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এমন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত শিক্ষকদের বেতনের পাশাপাশি ভর্তুকিও দেওয়া হয়। কোনো শিক্ষক ৩ বছর শিক্ষক হিসেবে কাজ করার পর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন।  এভাবে সেরা স্নাতক শিক্ষার্থীরা কাজের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ও লাভের অনুভূতি পেতে পারে। এতে তাদের শিক্ষকতার কাজের প্রতি আরো বেশি আগ্রহও সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যবস্থা দেশের দূরবর্তী এলাকার বাধ্যতামূলক শিক্ষার মান উন্নয়নেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)