পাঠক-লেখক-প্রকাশক ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনকেন্দ্র বাতিঘর: দীপঙ্কর দাশ
2022-09-02 20:59:35

আপন আলোর ৮৪তম পর্বের অতিথি বাতিঘরের প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ

এক.

একসময় চট্টগ্রামে বইয়ের বড় দোকান ছিল কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি। ঢাকা, সিলেট ও করাচিতে এটির শাখা ছিল। প্রতিষ্ঠানটি এখনো আছে, তবে নিষ্প্রাণ বলা যায়।

চট্টগ্রামে বইঘরের মতো প্রতিষ্ঠান ছিল। বইঘর কিন্তু দুই বাংলার একটা সেরা প্রকাশনা সংস্থা। সেখান থেকে শামসুর রাহমানের বই যেমন বেরিয়েছে, সৈয়দ শামসুল হকের বই বেরিয়েছে, কলকাতা থেকে লীলা মজুমদারের বই বের হয়েছে, বঙ্কিম রচনাবলী প্রকাশিত হয়েছে। নান্দনিক বই ছিল ওগুলো; ডিজাইন করেছেন খালেদ চৌধুরী। পুর্ণেন্দু পত্রীর মতো শিল্পী কাজ করেছেন; কাইয়ূম চৌধুরী চট্টগ্রামে গিয়ে কাজ করেছেন। ফলে চট্টগ্রামের একটা ঐতিহ্য ছিল। নানা কারণে হারিয়ে যায় সেটা।

 

ছবি: রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বাতিঘর, ঢাকার নান্দনিক ইন্টেরিয়র

দুই.

চট্টগ্রাম ও দেশের ঐতিহ্যবাহী অনেক বইয়ের দোকান যখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তখন আমরা বাতিঘর শুরু করি। চট্টগ্রামে খুবই ছোট পরিসরে শুরু করে আমরা আজ চারটি শহরে বাতিঘরকে নিয়ে গেছি। অনেক দূর যাওয়ার স্বপ্ন আমাদের। পর্যায়ক্রমে সব বিভাগীয় শহর এবং কোনো কোনো জেলা শহরেরও নিয়ে যেতে চাই বাতিঘরকে।

তিন.

বাতিঘর দেশের প্রথম সাকসেসফুল বড় বইয়ের দোকান। তবে বাণিজ্যিক দিক বিবেচনা করলে বাতিঘর সেভাবে কোনো ব্যবসায় নয়। আসলে অনেক বেশি লাভ করার আশা নিয়ে আমরা এটা করিনি। বাতিঘর আমাদের একটা কমিটমেন্টের জায়গা। পাঠক ঠিক কোন ধরনের বইটি চান- সেটি বুকশপে রাখা, পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে পাঠকের পছন্দের বইটি সংগ্রহ করে দেওয়া। আমাদের প্রকাশনাও তাই- পাঠক কী ধরনের বই চাইছেন- সেটি প্রকাশ করা। এটিও আমাদের আরেকটি কমিটমেন্ট।

বাতিঘর শুরু হওয়ার পর অনেক বইয়ের দোকান পুনরায় চালু হয়েছে। তরুণরা উৎসাহিত হয়েছে, প্রকাশনায় আসছে, বুকশপ করছে- এটা আমাদের আশাবাদী করে। বাতিঘর আজ দেশ-বিদেশের পাঠক-লেখক-প্রকাশক ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনকেন্দ্র।

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে দেশের, বিশেষ করে চট্টগ্রামের পুস্তক ব্যবসায় ও প্রকাশনার বিষয়ে বলেছেন দেশের প্রথম সফল চেইন বুকশপ বাতিঘরের প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ। জানালেন বাতিঘর নিয়ে তার স্বপ্ন ও কমিটমেন্টের কথা।

 

 

অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম।

 

অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।