আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু এনাম ও আকাশ।
আকাশ: বন্ধুরা, বেইজিংয়ে আমরা এখন গ্রীষ্মকালকে বিদায় জানিয়ে শরতকালে প্রবেশ করেছি। তাই গরমের আঁচ কমতে শুরু করেছে। চলে বর্তমান তাপমাত্রা কিছুটা আরামদায়ক। আবহাওয়াও অনেক সুন্দর। প্রায় প্রতিদিন রোদ থাকে। তবে, মাঝে মাঝে বৃষ্টির দেখাও মেলে। বৃষ্টির পর গরম আরও কমে যায়। তাই এ সময়ে বেইজিং অনেক সুন্দর।
এনাম, আপনি কী বলেন? আপনি কি এখনো আগের মত হাঁটাহাঁটি করেন?
এনাম:...
সঙ্গীত...
আকাশ: বন্ধুরা, গত ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক উ সু দিবস পালিত হয়েছে। এর আগে বিশ্ব উ সু ফাউন্ডেশন পঞ্চম বিশ্ব উ সু দিবস পালনের ঘোষণা দেয়।
‘উ সু: তারুণ্য ও ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে পালিত হয়েছে এবারের দিবস। উ সু ফাউন্ডেশন আশা করে, তরুণতরুণীরা একযোগে তাদের প্রাণশক্তিকে কাজে লাগিয়ে উ সু’র সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করবে।
প্রতিবছরই বিশ্ব উ সু দিবসের থিম ভিন্ন হয়। প্রতিটি দিবস বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয়। ইতোমধ্যে চার বার আয়োজিত বিশ্ব উ সু দিবস মোট ৮০টি দেশ ও অঞ্চলের উ সু-প্রেমীরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে উদযাপন করেছেন।
ফাউন্ডেশন এক ভিডিওতে জানায়, ‘তরুণতরুণীরা হচ্ছে উ সু উন্নয়নের আশা ও ভবিষ্যৎ। এ বছর অষ্টম বিশ্ব কিশোর উ সু চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হবে। যৌবনের চেতনার আলোকে আমরা একসাথে উ সু খেলাধুলার আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করব’।
বিশ্বে উ সু খেলাধুলার নেতৃত্ব দেয় আন্তর্জাতিক উ সু ফেডারেশন। গত ৩০ বছরের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের ১৫৬টি দেশ ও অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেছে এ ক্রীড়ার ফাউন্ডেশন । ২০২৬ সালের ডাকার যুব অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতার ইভেন্টের মর্যাদা লাভ করেছে উ সু ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১,২০০ কোটি লোক উ সু চর্চা করছেন। এর মধ্যে কিশোরদের পরিমাণ মোট পরিমাণের ৫০ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশেও উ সু চর্চা করার ঐতিহ্য রয়েছে। অনেক বাংলাদেশী উ সু চর্চা করতে পছন্দ করেন। ঢাকার অদূরে সাভারস্থ বিকেএসপিসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উ সু শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।
এনাম, আমি বাংলাদেশে থাকার সময় দেখেছি অনেকে উ সু শিখতে চায়। বাংলাদেশে উ সু শিক্ষক রয়েছেন, কিন্তু চীনা উ সু শিক্ষক নেই। এজন্য আমাদের কনফুসিয়াস ক্লাসরুম চীন থেকে একজন উ সু শিক্ষককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তখন থেকে কনফুসিয়াস ক্লাসরুমে স্থায়ীভাবে একটি উ সু কোর্স চালু হয়।
এছাড়া, আমরা বিকেএসপিসহ বাংলাদেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা চালিয়েছি। আমরা আমাদের উ সু শিক্ষক সেখানে পাঠিয়ে তাদেরকে সমর্থন দিয়েছি। আমরা নিজেরাও উ সু নিয়ে একাধিক কার্যক্রম আয়োজন করেছি। আশা করি, সবাই উ সু চর্চা করার আনন্দ পেতে এবং শরীরচর্চায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আরেকটি কথা আমি বলতে চাই, উ সুর অনেক কৌশল আপনারা সহজে অনলাইনে বিনামূল্যে শিখতে পারবেন।