চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মনে করেন, গ্রামাঞ্চলেগণস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করা না গেলে সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলা যাবে না। তাই তিনি দুর্গম অঞ্চল, পুরানো পবিত্র অঞ্চল, গ্রামবাসীদের বাড়িঘর ও ক্লিনিক ঘুরে দেখেন। এসময় চিকিৎসক দেখানো কঠিন কিনা এবং ওষুধের দাম কেমন? এসব বিষয়ে খুঁজ নেন প্রেসিডেন্ট সি।
২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর হ্য পেই প্রদেশের ফু পিং শহর পরিদর্শন করেন সি চিন পিং। তিনি লুও থুও ওয়ান গ্রামে দরিদ্র থাং রুং বিনের বাড়ি দেখতে যান। তাঁর বাড়িতে সি চিন পিং থাং রুং বিনকে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কি ওষুধ খাচ্ছেন? কি রোগের জন্য খাচ্ছেন? এখানকার গ্রামীণ সহযোগিতামূলক চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন?” তারপর স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি গ্রামবাসীদের শারীরিক সুস্থতার যত্ন নেওয়া এবং সবার চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল ছোং ছিং মহানগরের শি চু তু জাতির স্বায়ত্তশাসিত জেলার হুয়া সি গ্রামের দরিদ্র থান তেং চৌ পরিবারকে দেখতে যান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। থাং তেং চৌ দম্পতি ২০১৮ সালে রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দরিদ্র হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সি তাদের আয়ব্যয় ও চিকিৎসার খরচের হিসাব করেন। এসময় তিনি তাদের ‘মৌলিক নিশ্চয়তার ভর্তুকি কত? এবং মাটি হস্তান্তরে এক বছরে আয় কত? এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হু নান প্রদেশের ছেন চৌ শহরের ল্যু ছেং জেলার শা চৌ ইয়াও জাতির গ্রাম পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং স্থানীয় ক্লিনিকে প্রবেশ করেন এবং স্থানীয় চিকিৎসা নিশ্চয়তা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের বলেন, ‘চিকিৎসা নেওয়া কঠিন এবং খরচ বেশিসহ নানা সমস্যা সমাধান করতে হবে। গণ-হাসপাতালের সংস্কার গভীরতর করা, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালের সামর্থ্য নির্মাণ করা এবং মানদণ্ডের ক্লিনিক গঠন জোরদারসহ নানা গণস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত করতে হবে’।
কম খরচ, বাড়ির কাছে চিকিৎসা নেওয়া, রোগ সারানো এবং রোগকে ভয় না পাওয়া-এ চারটি বিষয় জনগণের প্রত্যাশা। বর্তমানে চীনে জেলা-থানায় অন্তর্ভুক্ত মূল স্তরের চিকিৎসা সেবা নেট গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা ও থানার ক্লিনিকের কারণে জনগণ ধীরে ধীরে উপকৃত হচ্ছে।
(রুবি/এনাম)