অগাস্ট ১১: গতকাল (বুধবার) চীন কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত ‘তাইওয়ান সমস্যা এবং নতুন যুগে চীনের একীকরণ খাত’ শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে: চীনাদের ব্যাপার চীনা জনগণকে নির্ধারণ করা উচিত। সহজ ও সরল স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, তাইওয়ান সমস্যা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়; যা চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থ ও চীনা জনগণের জাতিগত আবেগের সঙ্গে জড়িত, এখানে বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের অনুমোদন দেওয়া হবে না।
অনেক বিদেশি গণমাধ্যম খেয়াল করেছে যে, শ্বেতপত্র প্রকাশ উপলক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান অঞ্চল সফরের ফলে তাইওয়ান প্রণালীর দু’পারের পরিস্থিতি উত্তেজিত এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাত গুরুতর হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে চীন শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে, আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে তাইওয়ান সমস্যা ব্যাখ্যা করেছে, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ অনুযায়ী দু’পারের শান্তিপূর্ণ একীকরণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নকশা করেছে, যা পেলোসি’র তাইওয়ান অঞ্চল সফরের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পাল্টা ব্যবস্থা নয়, বরং নতুন যুগে চীনের তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের সামষ্টিক কৌশল তুলে ধরেছে। সেই সঙ্গে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক শক্তি যুগিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে তাইওয়ানের কাছে সামরিক অস্ত্র বিক্রি করে আসছে, ‘আন্তর্জাতিক জায়গা’ সম্প্রসারণে তাইওয়ানকে সাহায্য করে আসছে। এবারে পেলোসিকে তাইওয়ান অঞ্চল সফরের অনুমোদন দিয়েছে। চীনের একীকরণ বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে বাধা সৃষ্টি করে আসছে এবং তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি নষ্ট করেছে। এর জবাবে চীনের নেওয়ার ধারাবাহিক শক্তিশালীর পাল্টা ব্যবস্থা যৌক্তিক, বৈধ ও প্রয়োজনীয়; যা আন্তর্জাতিক সমাজের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে ১৪০ কোটি চীনা জনগণ শান্তিপূর্ণ একীকরণে বিশাল জায়গা সৃষ্টি করতে চায়। তবে নানা ধরনের ‘স্বাধীন তাইওয়ানবাদীদের’ বিচ্ছিন্নতামূলক তত্পরতার কোনো সুযোগ নেই।
লিলি/তৌহিদ/শুয়ে