অগাস্ট ১০: চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল (মঙ্গলবার) শানতোং প্রদেশের ছিনতাও শহরে সফরে আসা দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক চিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠককালে ওয়াং ই বলেন, চলতি বছর হলো চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৩০তম বার্ষিকী। কনফুসিয়াসের ধারণার কথা উল্লেখ করে ওয়াং ই বলেন, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠে আরো পরিপক্ব, আরো স্বতন্ত্র এবং আরো স্থিতিশীল হওয়া উচিত্। ইতিহাস ও অনুশীলন প্রমাণ করে যে, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দু’পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, সমর্থন এবং নির্ভরশীলতা দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ অর্জন ছাড়াও, এই অঞ্চলের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য স্থিতিশীলতা দিয়েছে বলে ওয়াং ই উল্লেখ করেন।
ওয়াং ই আরও বলেন, আগামী ৩০ বছরে দু’পক্ষের কার্যকর অভিজ্ঞতা সারসংকলন করা এবং দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া এবং সামষ্টিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করে তোলা উচিত্। স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্র অবস্থায় অবিচল থাকা এবং বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ এড়ানো উচিত্; সুপ্রতিবেশীসূলভ বন্ধুত্বে অবিচল থাকা এবং একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত্; উন্মুক্তকরণ ও অভিন্ন কল্যাণে অবিচল থাকা এবং শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা উচিত্; সমতা ও সম্মান দেখানো উচিত্ এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হস্তক্ষেপ করা উচিত্ না; বহুপক্ষবাদে অবিচল থাকা এবং জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নিয়ম মেনে চলা উচিত্। এ পাঁচটি ‘উচিত্’ হলো দু’দেশের জনগণের অভিন্ন ইচ্ছা এবং যুগের প্রয়োজনীয় দাবি। এসব বিষয়ে জোর দেন ওয়াং ই।
বৈঠকে পার্ক চিন বলেন, বিশ্বের দাঙ্গাহাঙ্গামা তীব্রতর হওয়া এবং বড় আকারের পরিবর্তনের সামনে চীন-দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০তম বার্ষিকীতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো পরিপক্ব ও সুষ্ঠু করতে হবে। এজন্য দু’দেশের কৌশলগত সহযোগী অংশীদারি সম্পর্কের ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে কল্যাণ অর্জন করা, পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো এবং সহনশীল সহযোগিতা চালানো উচিত।
লিলি/তৌহিদ/শুয়ে