স্যুই সোং
2022-08-10 16:53:51

স্যুই সোং ১৯৮৬ সালের ১৪ মে চীনের আনহুই প্রদেশের হ্যফেই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূভাগের একজন পপ-সঙ্গীত গায়ক ও প্রযোজক। তিনি আনহুই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। বর্তমানে তিনি থাই হ্য মিউজিক গ্রুপের সঙ্গীত সুপারভাইজার। 

২০০৬ সালের শুরুতে তিনি ছিলেন আনহুই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন  দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র । অতিরিক্ত সময় তিনি ছোটবেলায় পিয়ানো ও ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত শিখা থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজে রচনা ও বিন্যাস এবং মিশ্রণ উৎপাদন শিখেন। তারপর তিনি সঙ্গীত শিল্প-কর্ম সৃষ্টি শুরু করেন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি একটি ব্র্যান্ড মোবাইল-ফোনের জন্য থিম সং সৃষ্টি করেন। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে তিনি একটি অনলাইন খেলার জন্য থিম সং সৃষ্টি করেন এবং তিনি নিজেই গানটি গান। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রথম একক অ্যালবাম “সংজ্ঞা” প্রকাশ করেন। অ্যালবামের লেখা, রচনা, সাজানো, রেকর্ডিং এবং মিশ্রণসহ সবকাজ তিনি নিজেই করেন। কিন্তু প্রচারের অভাবে প্রধান মিডিয়া অ্যালবামটি জেনে নেয়নি। 


২০১০ সালের জানুয়ারিতে স্যুই সোং দ্বিতীয় একক স্বাধীন সৃষ্ট অ্যালবাম “কুয়াশা খুঁজছি” প্রকাশ করেন। অ্যালবামে মোট ৯টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়। গানের স্টাইল আর অ্যান্ড বি প্রধান হিসেবে রক, র‍্যাপ, খাঁটি পিয়ানো সঙ্গীত, চীনা স্টাইল এবং ইলেক্ট্রনিক সঙ্গীতসহ বিভিন্ন স্টাইল আছে। এর মধ্যে “ধূসর প্রোফাইল ছবি” এবং “ফ্রি মাস” দু’টো গান আলাদাভাবে গোল্ড সং পুরস্কার জিতে। 


“তলাবিহীন সুঘ্রা” হলো স্যুই সোংয়ের ২০১১ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত তৃতীয় অ্যালবামের নাম। এতে মোট ১০টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়। আগের মতো অ্যালবামের অনেক কাজ তিনি নিজেই সম্পন্ন করেন। অ্যালবামটি নবম এশিয়া প্যাসিফিক সঙ্গীত চার্টে—সেরা বিক্রিত ডিজিটাল অ্যালবাম পুরস্কার জিতে। “কল্পনা” গানটি স্যুই সোং-এর শিল্প-কর্ম। আর অ্যান্ড বি স্টাইলের গানটি অ্যালবামের প্রধান গানে পরিণত হয়। 


২০১২ সালের বসন্ত উৎসবে তিনি সিসিটিভি’র ইন্টারনেট গালায় অতিথি হিসেবে পরিবেশন করেন। একই বছরের জুলাই মাসে তিনি তাঁর চতুর্থ অ্যালবাম “স্বপ্নচারিতা” প্রকাশ করেন। অ্যালবামের সৃষ্টি একটি স্বপ্ন থেকে আসে। তিনি মানুষ-মানুষ, বিষয়-বিষয় সম্পর্ক আলোচনা থেকে বর্তমানে মানুষের হৃদয় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। 


২০১৪ সালের অগাস্টে স্যুই সোং তাঁর পঞ্চম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের শিরোনাম খুব মজার “আমি বরং চা খেতে চাই”। অ্যালবামের প্রধান গান “পাহাড় ও জলের মধ্যে” সৃষ্টি করার লক্ষ্য হলো শহুরে সভ্যতার কোলাহল থেকে দূরে যাওয়া। অ্যালবাম সৃষ্টি করার জন্য তিনি দু’বছর সময় নেন। তিনি অনেক মনোযোগ দিয়েছেন, তাইনা? 


 (প্রেমা/এনাম)