বন্ধুরা, জনস্বাস্থ্য ও মৌলিক চিকিত্সা সেবা হলো গ্রাম পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়ার একটি গুরত্বপূর্ণ কাজ। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সা বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার পর গ্রামে গিয়ে চিকিত্সাসেবা দিচ্ছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি হুপেই প্রদেশের ইছাং শহরের উফেং থুচিয়া জাতির স্বায়ত্তশাসিত জেলার যুব-চিকিত্সকদের গল্প তুলে ধরবো।
গ্রামীণ যুব-চিকিত্সকরা নিয়মিতই গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কঠিন রোগে আক্রান্তদের চিকিত্সাসেবা দেন। উফেং জেলার ১০৮টি গ্রামের মোট আয়তন ২৩০০ বর্গকিলোমিটার। সেজন্য প্রতিটি পরিবারে গিয়ে চিকিত্সাসেবা দেওয়া সহজ না। তবে আরো বড় কঠিন কাজ হলো গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যের ধারণা পরিবর্তন করা। গ্রামবাসীরা সাধারণত হালকা অসুস্থতাকে গুরুত্ব দেন না। রোগ প্রতিরোধের ধারণা তাঁদের নেই।
চিকিত্সক লিউ চেং ২০১৮ সালে উফেং জেলায় কাজ শুরু করেন। তিনি গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যধারণা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে থাকেন। তিনি গ্রামবাসীদেরকে চিকিত্সা দেয়ার পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট জ্ঞান প্রচার করেন। এ ছাড়াও তিনি দেশের চিকিত্সানীতি ও ব্যবস্থা সম্পর্কে গ্রামবাসীদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
যুব-চিকিত্সক চু সু ইউয়ান ২০১৮ সালে ইয়ৌছাইফিং গ্রামের হাসপাতালে কাজ শুরু করেন। তাঁর বাবা-মা তাকে একটি গাড়ি কিনে দিয়েছেন। তিনি গাড়ি দিয়ে গ্রামবাসীদেরকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনে সহায়তা করেন।
একদিন রাতে গ্রামবাসী ছেন ইয়ং খাই’র ৮০ বছর বয়সী মাতা হঠাত্ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চু সু ইউয়ান দ্রুত নিজের গাড়িতে ছেন’র মাতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এতে রক্ষা পায় বৃদ্ধার জীবন।
২০১৯ সালে উফেং জেলায় রোগের কারণে দারিদ্র্যের কবলে পরা লোকসংখ্যা ছিল ৩৭.৫ শতাংশ। যুব-চিকিত্সকদের যৌথ প্রচেষ্টায় এ হার কমেছে।
বর্তমানে উফেং জেলার প্রতিটি গ্রামে অন্তত একজন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক চিকিত্সক আছেন। তাঁরা গ্রামীণ চিকিত্সার মান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেন। গ্রাম পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়ায় অবশ্যই চিকিত্সাব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। যুব-চিকিত্সকরা নিজেদের স্বপ্নকে জাতীয় পরিকল্পনার সাথে সংযুক্ত করেছেন। (ছাই/আলিম)