অগাষ্ট ৬: মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সম্প্রতি তাইওয়ানে তাঁর বিতর্কিত সফরের সময় বলেন, তাঁর উদ্দেশ্য হলো আঞ্চলিক শান্তি জোরদার করা। এদিকে, জি-সেভেন-এর সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। তাঁরা দাবি করেন যে, শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে চীনের দু’তীরের মধ্যে বিদ্যমান মতভেদ দূর করতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, সংঘর্ষের সৃষ্টিকারী কিভাবে ‘শান্তিরক্ষী’ হতে পারে? এসব দেশ যৌথভাবে মিথ্যা কথা বলে এবং তাইওয়ান প্রণালীর দু’তীরের সম্পর্কের অবনতির দায় চীনের ওপর চাপিয়ে দে। তবে, শতাশিক দেশ আবারও ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলার কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিবও পুনরায় ‘এক চীন নীতি’-র কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ ১৯৭১ সালে গৃহীত চীনসম্পর্কিত ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাবে অবিচল থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের চীন-মার্কিন গবেষণা কেন্দ্রের উচ্চ পর্যায়ের গবেষক সৌরভ গুপ্ত বলেছেন, জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিও এক ধরণের উত্তেজক।
আসলে, পেলোসির তাইওয়ানে কথিত সফরের আসল উদ্দেশ্য হলো, তাইওয়ানকে ইস্যু বানিয়ে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অজুহাত খোজা। এটি গুরুতরভাবে চীনের সার্বভৌমত্বকে লঙ্খন।
শান্তি হলো মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্য। শান্তি হলো আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ। শান্তি আধিপত্যবাদের হাতিয়ার হতে পারে না। চীনা জনগণ দেশের সর্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় এবং আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তি সুরক্ষায় সংকল্পবদ্ধ। চীনের মূল স্বার্থ নষ্ট করা এবং আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই মূল্য দিতে হবে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)