অগাস্ট ৩: চীনের দৃঢ় বিরোধিতা উপেক্ষা করে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি গতকাল (মঙ্গলবার) তাইওয়ানে পা রেখেছেন। এ রাজনৈতিক উস্কানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সরকারি আদানপ্রদান উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তা গুরুতরভাবে ‘এক-চীন নীতি’ ও ‘চীন-মার্কিন তিনটি ইস্তাহারে’র লঙ্ঘন। তার এ সফর গুরুতরভাবে চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি নষ্ট করেছে এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। তার ফলাফল হবে অত্যন্ত গুরুতর। তার এ সফর আবারো প্রমাণ করেছে যে, ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের সমর্থন দেয়ার কতিপয় মার্কিন রাজনীতিক হচ্ছেন তাইওয়ান প্রণালীর ও বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী। দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য চীন অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
তাইওয়ান বিষয় চীনের মৌলিক স্বার্থের সাথে জড়িত। ১৯৪৩ সালের কায়রো ঘোষণা ও ১৯৪৫ সালের পটসড্যাম ঘোষণায় স্পষ্টভাবে বলা হয়, তাইওয়ান হচ্ছে চীনের একটি অংশ এবং এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের কোনো বিতর্ক নেই।চীন-মার্কিন তিনটি ইস্তাহারে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে স্বীকার করে যে, বিশ্বে একটিমাত্র চীন রয়েছে, আর তাইওয়ান হচ্ছে চীনের একটি অংশ, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সরকার হচ্ছে চীনের একমাত্র বৈধ সরকার।
স্পীকার হচ্ছেন মার্কিন সরকারের তিন নম্বর শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তাই তিনি অবশ্যই এসব স্পষ্টভাবে জানেন। তার পরেও তিনি সফরে এসেছেন। তাতে দেখা যায়, তার মাথা নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ভরপুর। তার এ বিপজ্জনক ও উস্কানিমূলক আচরণ দু’দেশের সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে বিপুল আঘাত এসেছে, তাকে তিনি একেবারে উপেক্ষা করেছেন। তাতে বিশ্ববাসী আরও স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছেন যে, তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনা বাড়ার মৌলিক উৎস হচ্ছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ, যারা যুক্তরাষ্ট্রের উপর ভরসা করে বিচ্ছিন্নতাকে অনুসরণ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় লোক ইচ্ছা করেই তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে চাপ দেয়া ও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
তবে,পেলোসির এবারের তথাকথিত সফর চীনের পুরোপুরি একত্রীকরণের ইতিহাসের বড় ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে অক্ষম। কেউ যদি তাইওয়ান বিষয়ে আগুন নিয়ে খেলা করে, তাহলে সেই আগুনে সে অবশ্যই দগ্ধ হবে।
(আকাশ/এনাম/রুবি)