দেশকে শক্তিশালী করতে চাইলে তার বাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে এবং বাহিনী শক্তিশালী হলে দেশ নিরাপদ হতে পারে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে নতুন যুগে সি চিন পিংয়ের চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা ও সি চিন পিংয়ের বাহিনী শক্তিশালী করার চিন্তার নেতৃত্বে চীনের গণমুক্তি ফৌজ দৃঢ়ভাবে নতুন যুগে রাজনীতির মাধ্যমে বাহিনী নির্মাণের কৌশলে অবিচল রয়েছে। সেনাবাহিনী সিপিসির নেতৃত্বকে অটলভাবে মেনে চলে। বাহিনীর সার্বিক বিপ্লবী পুনঃউদ্ভাবন বাস্তবায়ন হয় এবং সকল অফিসার ও সৈনিক প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের প্রতি বিশ্বাস এবং সমর্থন পোষণ করে আসছে। সিপিসির নির্দেশ মেনে চলে এবং চীনা বৈশিষ্ট্যের বাহিনী শক্তিশালী করার পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যায়।
প্রতিবার যখন গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য পালন করে, তখন ৭৫তম আর্মির একটি ব্রিগেডের চতুর্থ কোম্পানির সকল অফিসার ও সৈনিক ‘লং মার্চ’ লেখা অর্ধেক বেল্টের গল্প স্মরণ করেন। ৮৬ বছর আগে, ১৯৩৬ সালে লং মার্চে চতুর্থ কোম্পানির পূর্বসূরি বাহিনীর সৈনিক ক্ষুধা চেপে রেখে অর্ধেক বেল্ট নিয়ে চেয়ারম্যান মাও সে তুংকে দেখতে গেলেন। ২০১৬ সালের শুরুতে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ বাহিনী পরিদর্শন করেছেন এবং এ অর্ধেক বেল্ট দেখে বলেছেন, এটা বিশ্বাসের শক্তি এবং বাহিনীর সিপিসিকে অনুসরণ করার প্রতিফলন।
৭৩তম আর্মির একজন ব্রিগেডিয়ার সেং লি চুন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেছেন, আমাদের বাহিনী নানা কষ্ট অতিক্রম করে বার বার জয় লাভ করতে পারে; তার মূল কারণ হল সিপিসির নেতৃত্বকে মেনে চলা। এটা চীনা বাহিনীর আত্মা। আর তা কখনও ভুলে যেতে বা পরিবর্তন করতে পারবে না।
২০১৪ সালের শরৎকালে ফু চিয়ান প্রদেশের কু থিয়ানে অনুষ্ঠিত হয় বাহিনীর রাজনৈতিক কর্ম-সম্মেলন। সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, বাহিনীর ওপর সিপিসির সার্বিক নেতৃত্ব হল বাহিনী শক্তিশালী করার মূল কথা এবং এ ভিত্তিকে স্থিতিশীল করা হল চীনা বাহিনীর রাজনৈতিক কাজের কেন্দ্রীয় কর্তব্য। আর যে কোন সময়ে এটা নড়ে যাবে না।
বিমান বাহিনীর এয়ারবর্নের একটি ব্রিগেডের প্রশিক্ষক ইয়ু হাই লং বলেন, এ সম্মেলনের পর শুরু হয় নতুন যাত্রা। প্রেসিডেন্ট সি দাবি জানিয়েছেন যে, আদর্শ এবং বিশ্বাস, পার্টির চেতনা, যুদ্ধ করার দক্ষতা এবং রাজনৈতিক কাজের প্রতিপত্তি--এ চার ক্ষেত্রে মানদণ্ড স্থাপন করা হবে। আমরা কোথায় থেকে আসি, আর আমরা কোথায় যাব--তা আরও নিশ্চিত করা হয়।
নতুন যুগে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রতিরক্ষা ও বাহিনীর সংস্কারের মাধ্যমে দেশ ও বাহিনী শক্তিশালী করার কৌশল হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাঁর উদ্যোগে সংস্কারের মাধ্যমে বাহিনী শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া এগিয়ে যায়। গণবাহিনীর নেতৃত্ব এবং কমান্ড ব্যবস্থা, আধুনিক সামরিক শক্তি ব্যবস্থা ও সামরিক নীতি ব্যবস্থা পুনরায় তৈরি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সির নেতৃত্বে গণবাহিনীর রাজনৈতিক আবহাওয়া, সাংগঠনিক ফর্ম, ক্ষমতা ব্যবস্থা এবং শৈলী চিত্রের পুনর্নির্মাণ বাস্তবায়ন হয় এবং চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বাহিনী শক্তিশালী হবার পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
নতুন ব্যবস্থা, কাঠামো, প্যাটার্ন এবং চেহারা হল আজকের চীনা বাহিনী। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে ১৫টি পদ-গঠন এবং ৩২টি সরঞ্জাম-গঠন যথাক্রমে প্রদর্শন করেছে এই বাহিনী। সেবার তারা সংস্কারের পর প্রথম বারের মতো সবার সামনে হাজির হয়।
তিব্বত সামরিক অঞ্চলের এক রেজিমেন্টের প্রধান উ রুই বলেছেন, গত এক দশকে চীনা বাহিনী যে সফলতা অর্জন করেছে- তার সব প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দৃঢ় নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়েছে। অনুশীলন প্রমাণ করে নতুন যুগে মহান লড়াইয়ে জয় লাভ করতে চাইলে দুটি নিশ্চয়তা লাগবে। দুটি নিশ্চয়তা হল: কমরেড সি চিন পিংকে সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটি ও সিপিসির কেন্দ্র এবং নতুন যুগে সি চিন পিংয়ের চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার নির্দেশকের অবস্থান নিশ্চিত করা। (শিশির/এনাম/রুবি)