অগাস্ট ১: ২০২২ সালের পহেলা অগাস্ট হলো চীনা গণমুক্তি ফৌজের ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই গণ-বাহিনী শান্তি রক্ষাকে নিজের দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আত্মরক্ষামূলক প্রতিরক্ষার নীতি পালন করে আসছে এবং কখনও একটি যুদ্ধও সৃষ্টি করে নি বা অন্য দেশের এক ইঞ্চি ভূমিও দখল করে নি।
এখন চীনের সামরিক বাহিনী শুধু দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ রক্ষায় ইস্পাতের মহাপ্রাচীর নয়,বরং বিশ্ব শান্তি রক্ষার একটি দৃঢ় শক্তিও বটে। চীন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেনা পাঠানো দেশ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে দ্বিতীয় বৃহত্তম অবদানকারী। চীনকে ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং একটি মূল শক্তি’ হিসেবে সমাদর করা হয়। চীনা সামরিক বাহিনী অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক সমাজে শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা দেওয়া, মানবিক সহায়তা এবং মহামারী প্রতিরোধে সহযোগিতাসহ জননিরাপত্তার পণ্য প্রদান করছে এবং বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির ধারণা ব্যাখ্যা করেছে। চীনের গণ-বাহিনী বড় একটি দেশের দায়িত্বের বহিঃপ্রকাশ।
বর্তমানে সারা বিশ্বে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের চিন্তাধারা, আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতি স্রোতের বিপরীতে বেড়ে উঠছে। প্রথাগত এবং অপ্রচলিত নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিচ্ছে। দাঙ্গহাঙ্গামার সামনে চীনা গণ-বাহিনী বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে এবং বিশ্ব শান্তিতে নিশ্চয়তা যুগিয়েছে।
লিলি/তৌহিদ