রোববারের আলাপন-চীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে বাইসাইকেল
2022-07-31 06:36:36

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু এনাম ও আকাশ।


এনাম: আকাশ, আপনি কীভাবে প্রতিদিন অফিসে আসেন?

আকাশ: আমি প্রতিদিন সাইকেলে করে আসি। 

এনাম:... 

আকাশ: প্রায় আধা ঘণ্টা লাগে। আমার বাসা থেকে সিআরআই অফিসের দূরত্ব ৭ কিলোমিটারেরও বেশি। 

এনাম:... 

আকাশ: হ্যাঁ। অবশ্যই আছে, অনেক সুবিধাজনক। তবে আমি সাইকেল বেশি পছন্দ করি। এটি অনেক স্বাধীন। বাতাসে সূর্যের নিচে আমার সাইকেল চালাতে অত্যন্ত ভাল লাগে। 

এনাম:... 

আকাশ: আসলে আমার ছোটবেলায় শুধু আমি নয়, প্রত্যেক চীনা বাচ্চা সাইক্লিং শিখে এবং পছন্দ করে। 

এনাম:... 

আকাশ: এখনও আমার মনে আছে, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে একটি ইংরেজি স্কুলে কাজ করতাম। প্রথম মাসের বেতন পাওয়ার সময় আমি একটি ভাল সাইকেল কিনেছিলাম। তখন অনেক খুশি হয়েছিলাম।

এনাম:...

আকাশ: আচ্ছা, অনেক মজার গল্প। তাহলে আমরা আজ সাইকেল নিয়ে আমাদের বন্ধুদের সাথে গল্প করব, কেমন?

আকাশ: সকাল ৮টার দিকে বেইজিংবাসী ম্যাডাম চাও একটি বাইক-শেয়ারিং থেকে সাইকেল নিয়ে অফিসে যাত্রা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, “আমার অফিস সি হুইতে অবস্থিত। এখন আমি সাইকেলে করে অফিসে যাই প্রতিদিন। অফিসে যাওয়ার পাশাপাশি এতে আমার শরীরচর্চাও হয়ে যায়”। 

এনাম:... 

আকাশ: গত পাঁচ বছরে অনেক বেইজিংবাসী সাইকেল বেছে নিচ্ছেন। তারা সাইকেলে করে অফিসে যান, কেনাকাটা করেন। ২০২১ সালে বেইজিংয়ের প্রাণকেন্দ্রে সাইকেল চলাচলের পরিমাণ ১০ বছরের একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এটি মোট পরিবহনের ৪৭.৮ শতাংশে পৌঁছেছে। তা ২০১৭ সালের চেয়ে ৬.৯ শতাংশ বেশি। গত বছর সারা শহরে বাইক-শেয়ারিং থেকে মোট ৯৫০ মিলিয়ন বার সাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে। অধিবাসীদের সাইকেলে চলার আগ্রহ ক্রমশ বেড়েই চলছে। 

২০১৯ সালে বেইজিংয়ে প্রথম ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ সাইকেল সড়ক নির্মাণ করা হয়। এটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসে চলাচলের চেয়ে যথাক্রমে ৩২ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ সময় হ্রাস করে। ফলে এ পথে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার লোক সাইকেল চালান। তাতে এ পর্যন্ত মোট দেড় হাজার টনের বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস পেয়েছে।