সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের ‘সুরের ধারায়’ সবাইকে শুভেচ্ছা। আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা। ছেন ই সুন, ইসেন আমার খুব প্রিয় একজন গায়ক। তার বিভিন্ন সময়ের গানে নিজের বিভিন্ন অনুভূতির কথা প্রকাশিত হয়। আজকের আসরে তার কয়েকটি গান আপনাদের শোনাবো।
"ব্ল্যাক, হোয়াইট অ্যান্ড গ্রে" হল ২০০৩ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত হংকংয়ের গায়ক ইসন চ্যানের একটি ম্যান্ডারিন ভাষার অ্যালবাম। এতে মোট ১০টি গান রয়েছে৷ ২০০৪ সালে, অ্যালবামটি চতুর্থ "চীনা মিউজিক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস" টপ টেন চায়নিজ রেকর্ডস অ্যাওয়ার্ড, আইএফপিআই টপ টেন হায়েস্ট-সেলিং ম্যান্ডারিন রেকর্ডস, চায়না মিউজিশিয়ান এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের টপ টেন অ্যালবাম, ইত্যাদি পুরষ্কার জিতেছে।
অ্যালবামটির নাম "ব্ল্যাক, হোয়াইট অ্যান্ড গ্রে" রাখার কারণ হল, অ্যালবামটি তিনটি ভিন্ন শৈলীর সংগীতশিল্পী, জিম লি, চেন শিয়াও শিয়া এবং এরিক কোকের তত্ত্বাবধানে তৈরী করা হয়। কালো, সাদা ও ধূসর—এই তিনটি রঙ প্রযোজকদের তিনটি গ্রুপের বিভিন্ন সঙ্গীত শৈলীর প্রতিনিধিত্ব করে।
অ্যালবামের তিনটি শৈলীর অভিব্যক্তির মাধ্যমে, প্রত্যেকে নিজের জীবনে "কালো, সাদা ও ধূসর" এলাকা খুঁজে পেতে পারেন।
ইসন চ্যানের অ্যালবাম "ব্ল্যাক, হোয়াইট অ্যান্ড গ্রে"-এর টোন চতুরতার সাথে সেট করা হয়েছে। ত্রিশ বছর বয়সী একজন মানুষের জন্য, কালো ও সাদা এবং ধূসর হল জীবনের প্রধান রঙ। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মেজাজ প্রকাশ ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে অ্যালবামের গানগুলোতে।
"আগুয়াই" গানটি গাওয়া খুব সহজ। এ গানে এক অদ্ভুত ব্যক্তির অদ্ভুত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। গানের ছন্দ অনন্য এবং গায়কী সত্যিই যথেষ্ট মসৃণ। গানে চীনা শাস্ত্রীয় কবিতার ছন্দময় সৌন্দর্যও রয়েছে।
"আমরা সবাই একাকি" গানটি পপ মিউজিক স্টাইল থেকে আলাদা। কারণ, এর সুর সাধারণ পপ সঙ্গীতের মতো নয়, এতে কোরাসের আগে স্পষ্ট লিরিক সঙ্গীতের অংশ রয়েছে এবং একটি শক্তিশালী কোরাস অংশ রয়েছে। এতে পিয়ানোর সুর মূল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এতে গিটার ও ড্রামের ব্যবাহরও লক্ষণীয়। আর পুরো গানের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অংশটি শেষ দিকে। ‘আমরা সবাই একাকি’ শোনার পর আপনি অনেকটা মানসিক চাপমুক্ত হবেন।
“ভাই ও বোন" গানের সুরে জনপ্রিয় সঙ্গীতের উপাদান রয়েছে। গানের কথাগুলো আবেগময় জগতে তথাকথিত "অসিদ্ধ" প্রেমকে বর্ণনা করে। এ প্রেম অসম্পূর্ণ ও ব্যর্থ।
"দশ বছর" গানটি "আগামী বছর আজ" গানের ম্যান্ডারিন সংস্করণ। গানটি আবেগে পূর্ণ। গানে বিচ্ছেদের পরের দশ বছর এবং সম্পর্কের আগের দশ বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে। গানটি শোনার সময় একজন শ্রোতা বিচ্ছেদ ও ক্ষতি থেকে প্রাপ্ত মানসিক অশান্তি থেকে খানিকটা হলেও মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যায়। গানে বলা হয়েছে, ভালোবাসার জগতে সুখ-দুঃখের পাশাপাশি একধাপ পিছিয়ে আকাশ খোলার জায়গা এখনও আছে।
"শেষ আদেশ" গানটি ধীরলয়ের। "হ্যাপি ফেরিস হুইল"-এর স্রষ্টা এরিক কোকের রচনায় এটি একটি মনোরম সুরের গান।
সুপ্রিয় শ্রোতা, আশা করি আজকের ‘সুরের ধারায়’ আপনাদের ভাল লেগেছে। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আবার কথা হবে। (স্বর্ণা/আলিম)