জুলাই ২৭: ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর চীন সফর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার গবেষক ত্রিসিয়া উইজায়া বলেন, “এবারের সফর দু’পক্ষের জন্য কল্যাণকর হয়েছে, এবং ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়নের জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ তৈরি করেছে”। গতকাল (মঙ্গলবার) চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর মধ্যকার বৈঠকটি অনেক সুফল বয়ে এনেছে। তা এ গবেষকের কথাই প্রমাণ করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো হচ্ছেন বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজিত হওয়ার পর চীন সফরকারী প্রথম বিদেশি শীর্ষনেতা। চীন হচ্ছে তাঁর পূর্ণ এশিয়া সফরের প্রথম বিরতি। তাতে দু’পক্ষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতিফলন দেখা যায়। এবারের শীর্ষবৈঠকের মাধ্যমে দু’পক্ষ একযোগে দু’দেশের অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার দিক নির্দিষ্ট করাসহ নানা বিষয়ে একমত হয়েছে। রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রবন্ধের মতে, এবারের বৈঠক হচ্ছে ‘জয়-জয়’।
এবারের সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সুফল হচ্ছে একযোগে অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার দিক নির্দিষ্ট করা। অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির মানে হচ্ছে একযোগে কঠোরতা কাটিয়ে পারস্পরিক লক্ষ্যসমূহকে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করা। ইতিহাসে দেখা যায়, চীন ও ইন্দোনেশিয়া একযোগে হাতে হাত রেখে সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করেছে। ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং-এ এশিয়া ও আফ্রিকা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তা এশিয়া ও আফ্রিকার সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করেছে।
কয়েক দশক পর চীন ও ইন্দোনেশিয়া একই উন্নয়নের পর্যায়ে অবস্থান করছে। দু’দেশের অনেক অভিন্ন স্বার্থ ও ভাষা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়েও অনেক অভিন্ন চিন্তাধারা রয়েছে। অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত ও সহযোগিতা জোরদার করার পরিস্থিতি দু’দেশের উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগসুবিধা বয়ে আনবে।
চীন ও ইন্দোনেশিয়া অব্যাহত অভিন্ন উন্নয়নের মডেল সৃষ্টি করবে। এ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হওয়া সুযোগসুবিধা শুধু দু’দেশের জন্য নয়, বরং এশিয়া ও বিশ্বের জন্যও কল্যাণ বয়ে আনবে।
(আকাশ/এনাম/রুবি)