ওয়েনথিয়ান মহাকাশ-গবেষণাগারের মূল কাজ কী?
2022-07-26 11:31:47

জুলাই ২৬: বেইজিং সময় ২৫শে জুলাই ভোর ৩টা ১৩ মিনিটে ওয়েনথিয়ান মহাকাশ-গবেষণাগার চীনের মহাকাশকেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে: ওয়েনথিয়ান মহাকাশে কী কাজে ব্যবহার করা হবে? এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?

ওয়েনথিয়ান-কে গোটা মহাকাশকেন্দ্রের ব্যাকআপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি মহাকাশকেন্দ্রের মূল অংশের অরবিট কন্ট্রোল সিস্টেম, এনার্জি সিস্টেম, থার্মাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইনফরমেশন সিস্টেম, এবং ম্যানড এনভায়রনমেন্ট সিস্টেমের ফাংশনের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে। মূল অংশের কোনো সিস্টেম ফাংশন করতে ব্যর্থ হলে, ওয়েনথিয়ান তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

ওয়েনথিয়ান চীনা মহাকাশকেন্দ্রের প্রধান শক্তি-ব্যবস্থা। এর শক্তি উত্পাদন মূল অংশের চেয়ে বেশি। ভবিষ্যতে আরেকটি মহাকাশ-গবেষণাগার ‘মেংথিয়ান’ মহাকাশকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং তখন কেন্দ্রের গঠন পূর্ণাঙ্গ হবে। "ওয়েনথিয়ান" এবং "মেংথিয়ান" হবে মহাকাশকেন্দ্রের দুটি প্রধান বিদ্যুতের উত্স।  মহাকাশকেন্দ্রে তখন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উত্পন্ন হবে এবং মহাকাশচারীদের অন-অরবিট জীবন এতে সহজতর হবে। মহাকাশকেন্দ্রে তখন আরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানো যাবে।

ওয়েনথিয়ান মহাকাশচারীদেরকে মহাকাশে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার এবং নিরাপদে কাজ করার সুযোগ দেবে। এটি হবে মহাকাশচারীদের জন্য একটি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রও। যদি একটি নির্দিষ্ট কেবিনে দুর্ঘটনা ঘটে, তখন নভোচারীরা অন্য কেবিনে যেতে পারবে। দুর্ঘটনাকবলিত কেবিল সম্পূর্ণ সিল করে দিয়ে নভোচারীরা ওয়েনথিয়ানে আশ্রয় নিতে পারবে। মহাকাশকেন্দ্রের এই অংশেও প্রয়োজনীয় পানি, খাদ্য, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিশোধন ব্যবস্থা, ইত্যাদি থাকছে। এতে  কক্ষপথে নভোচারীদের নিরাপত্তা-ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে বলা চলে। দ্বিতীয় মহাকাশ-গবেষণাগারও একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।

উপরন্তু, ওয়েনথিয়ানে বিভিন্ন পরীক্ষা চালাবেন নভোচারীরা। আসলে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজেই একে বেশি ব্যবহার করা হবে। (ইয়াং/আলিম/হাইমান)