চিন জি ওয়েন
2022-07-25 14:29:24

চিন জি ওয়েন ১৯৮২ সালের ১২ জুলাই চীনের চিলিন প্রদেশের চিলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূভাগের একজন গায়ক ও সুরকার। তিনি চিলিন ইউনিভার্সিটি অফ আর্টস থেকে স্নাতক হন।

 

ছোটবেলা থেকে তিনি গান পছন্দ করেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় তিনি ছিলেন ক্লাসে সাহিত্য ও শিল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিনিধি। মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার সময় তিনি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেননি, বরং  চিলিন ইউনিভার্সিটি অফ আর্টসে গান শিখা শুরু করেন। স্নাতক হবার পর তিনি বারে গান গেয়েছেন। শুরুর দু’বছরে তিনি গিটার বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে গান গেয়েছেন। তখনকার ৫-৬ বছর তিনি অনেক শিখেছেন এবং অভিজ্ঞতা জমা করেছেন। 

 

এতক্ষণ আপনারা যে “উড়ে যাত্তয়া” গানটি শুনেছেন, তা চিন জি ওয়েনের সৃষ্টি। গানটিতে আরো সুন্দর ও সহজ জীবনের প্রতিফলন প্রকাশিত হয়েছে। আসলে ২০০২ সাল থেকে তিনি সঙ্গীত সৃষ্টি শুরু করেন। ২০০৩ সালে তিনি অর্কেস্ট্রেশন মহলে প্রবেশ করুন। ২০০৬ সালে তাঁর রচিত গান ‘এক বিশ্ব এক স্বপ্ন’ অলিম্পিক গানের প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জিতে। ২০০৭ সালে তিনি প্রথম একক অ্যালবাম “ভাই—শিয়াও ওয়েন” প্রকাশ করেন। “আমার বাবা” অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত একটি গান। গানটিতে দূরে যাওয়া বাবার প্রতি বাসায় ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। একটু দুঃখ লাগছে। 

 

২০০৯ সালের মার্চ মাসে চিন জি ওয়েন তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম “ভালবাসা না থেকে ভালবাসা আরো একাকী” প্রকাশ করেন। অ্যালবামে মোট ৮টি গান অন্তর্ভূক্ত হয়। “অকথ্য দুর্বলতা” এবং “চোখের জলে বিদায় জানায়” অ্যালবামের খুব জনপ্রিয় দু’টো গান।

 

চিন জি ওয়েন একটি টিভি অনুষ্ঠান “চীনের ভয়েস, গাও! চীন”-এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। জনসাধারণের কাছে অজানা থেকে বিখ্যাত হবার পর্যন্ত তাঁর বান্ধবী পিছন থেকে তাঁকে সমর্থন দেন। ২০১২ সালে চিন জি ওয়েন “আমাকে বিয়ে কর” নামক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের শিরোনাম গান ঠিক দু’জনের ৮ বছরের ভালোবাসার পর বিয়ের জন্য সৃষ্ট। খুব রোমান্টিক, তাইনা? 

 

“কাঁধে প্রজাপতি” গানটি চিন জি ওয়েন তাঁর ভালো বন্ধু থাং শিয়াও ফেই’র জন্য সৃষ্ট। চিন জি ওয়েন থাং শিয়াও ফেই’র সঙ্গে গানটি গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গানের যন্ত্র, ভোকাল রেকর্ডিং এবং প্রোডাকশন কাজ নিজেই করেছেন। গানটি তাঁর ২০১২ সালে প্রকাশিত একই নামের অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। 

 

 (প্রেমা/এনাম)