রোববারের আলাপন-বেইজিং শীত্কালীন প্যারালিম্পিক গেমসের খেলোয়াড়দের গল্প
2022-07-24 18:59:54

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু এনাম ও আকাশ।


এনাম ভাই, এখন আবহাওয়া অনেক গরম। কিন্তু আমার খুব ভাল লাগে। কারণ এ মৌসুমে শরীরচর্চা করা অনেক আরামদায়ক। আমি গ্রীষ্মকাল অনেক পছন্দ করি। আপনি কি বলেন ভাই?

এনাম:...


আকাশ: গরমে ভালো থাকার কয়েকটি পরামর্শ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। প্রখর রোদে খেলাধুলা করবেন না। তাতে আপনার ত্বক এবং চোখের ক্ষতি হতে পারে। রোদে বাইরে যেতে হলে চশমা পরে যাবেন। এসময় বেশি বেশি ফল খাবেন এবং পানি পান করবেন।

  

এনাম ভাই, আপনি কি আর কিছু যোগ করতে চান?

এনাম:...

সংগীত

এনাম ভাই, ‌আমরা অনেক দিন ধরে খেলোয়াড়দের গল্প আমাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি না। আজ আমরা বেইজিং শীত্কালীন প্যারালিম্পিক গেমসের খেলোয়াড়দের গল্প আমাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করব, কেমন?


বেইজিং শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুও ইউ চেই ছিলেন চীনা প্রতিনিধি দলের পতাকাবাহী। এ কারণে অনেকে তাঁর উপর নজর রেখেছেন। তিনি প্রতিযোগিতায় একটি স্বর্ণ পদক অর্জন করেন। তা জয় করতে তাঁকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কঠিন প্রশিক্ষণ নেয়া থেকে শুরু করে জন্মস্থানকে মিস করা, এবং প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণে আহত হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুই তাকে দমাতে পারেনি। 


কুও ইউ চেইয়ের মা ছিউ ফিং বলেন, ‘মেয়েটির তখন ১২ বছরও হয়নি, কিন্তু প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করে সে। তখন থেকেই সে আমাদের ছেড়ে দূরে থাকতে থাকে। এটি আসলে তাঁর এবং আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর ছিল’। 


তিনি বলেন, ‘প্রথম যে দিন আমরা তাকে প্রশিক্ষণের জন্য বাড়ীর বাইরে রেখে আসতে গিয়েছিলাম, সে দিন সে আমাদের বিদায় দেয়ার সাহস পায়নি। নিজের ঘরেই আবদ্ধ ছিল, বাইরে যায়নি, কারণ সে বুঝতে পেরেছিল সেদিনের পর থেকে সে আর আমাদের প্রতিদিন দেখতে পাবে না’। 


আরেকজন বেইজিং শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী হলেন চাও মেং ছিউ। একবার তিনি উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নেয়ার পর অনুভব করেন, তার পা দুটো আর চলছে না। তিনি আর হাঁটতে পারবেন না।


তিনি বলেন, ‘আগেও হাল ছাড়ার কথা কয়েকবার ভেবেছিলাম। তাই তখন আমার বাবা-মাকে টেলিফোন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বাবামাকে উদ্বিগ্ন করতে চাইনি। এ জন্য আমি নিজেই সবকষ্ট সহ্য করেছিলাম’।


তিনি বলেন, তাঁর মায়ের চোখে, তাঁর বাচ্চা অনেক শক্তিশালী। 


এনাম ভাই, গল্প শুনে আপনার কেমন লাগছে?