জুলাই ২৩: মার্কিন সিনেটে সম্প্রতি চিপবিষয়ক বিলে প্রক্রিয়াগত ভোটদান হয়েছে, যা সিনেট ও প্রতিনিধি কক্ষে এ বিল পেশ করার পথকে সুগম করেছে। মার্কিন গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, এ বিলে ৫,০০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থবরাদ্দ করে মার্কিন সেমিকন্ডাক্টরের উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট করের মুনাফার জন্য ভর্তুকি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বিলে নির্ধারিত হয়েছে যে, সে ভর্তুকি পাওয়া কোম্পানির চীনে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ হবে। দেখা যায় যে, এ বিল স্পষ্টই চীন বিরোধী। হোয়াইট হাউসের সচিব ক্যারিন জিন পিয়ের প্রকাশ্যে বলেন যে, উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যবস্থার লক্ষ্য চীনে নয়, যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি সেমিকন্ডাক্টরের বিনিয়োগ সৃষ্টি করা। নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চীনে বিনিয়োগের বৃদ্ধি শিথিল হবে, যার কারণে বিলে এ নিষেধাজ্ঞা এতো গুরুত্বপূর্ণ। চীনকে দমনের কথা এতো প্রকাশ্যে বলা হয়েছে, তাতে মার্কিন আধিপত্যবাদের চিন্তাধারা গভীরে খোদাই করা হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ৪০ শতাংশ চিপ উত্পাদন করে। বর্তমানে এ হার কমে ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দু’বছর ধরে চিপের অভাবে দেশটির বেশ কয়েকটি গাড়ি কোম্পানির উত্পাদন বন্ধ রয়েছে এবং কিছু কিছু ইলেক্ট্রনিক পণ্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এ সমস্যা বিভাবে সমাধান করা যায়? আসলে সঠিক উপায় হচ্ছে বাজারের নিয়মকানুন মেনে চলা। মার্কিন রাজনীতিকদের আধিপত্যবাদী আচরণের মধ্য দিয়ে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ-বিপক্ষে দাঁড়াতে বাধ্য করা উচিত নয় ।
চিপ শিল্পে রয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বিশ্বায়ন। যার দরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমন্বয়। জানা গেছে, একটি অগ্রসর চিপে রয়েছে ১,০০০টিরও বেশি প্রক্রিয়া এবং ৭০ বারের মতো আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা। মার্কিন রাজনীতিকরা এ সহযোগিতা চেইনকে বিভক্ত করতে বাজারের নিয়মকানুন মানছেন না এবং বিশ্বের শিল্প চেইনের স্থিতিশীলতা লঙ্ঘন করছেন।
(রুবি/এনাম/শিশির)