সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের ‘সুরের ধারা’ আসরে সবাইকে শুভেচ্ছা। আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা। লিন চিউন চিয়ে-জেজে লিনের সাথে এর আগের অনুষ্ঠানেও আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। তবে আজকের আসরে তাঁর একটি বিশিষ্ট অ্যালবামের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো।
জেজেলিন ২৭শে মার্চ, ১৯৮১ সালে সিঙ্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন চীনা পপগায়ক, সঙ্গীতশিল্পী এবং ফ্যাশন ব্র্যান্ড ম্যানেজার। ২০০৩ সালে, তিনি তার প্রথম সৃজনশীল অ্যালবাম "মিউজিকওয়াকার" প্রকাশ করেন এবং পরের বছর অ্যালবামের জন্য ১৫তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডস জিতে নেন, নবাগত ক্যাটাগরিতে।
(From M.E. To Myself) হল তার ১২তম অ্যালবাম, যা ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তার প্রথম পরীক্ষামূলক অ্যালবামও বটে। এতে ১৩টি গান এবং ৬টি ইন্ট্রোসহ মোট ১৯টি ট্র্যাক রয়েছে। অ্যালবামটি পপ সঙ্গীতজগতে একটি নজির স্থাপন করে। এতে "হেডরেকর্ডিং" প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এবং একটি "থ্রিডি সুপার থ্রি-ডাইমেনশনাল সার্উন্ড" সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের অনুভূতি তৈরি করা হয়।
"হিউম্যানহেডরেকর্ডিং" হল রেকর্ডিং মোডে একজন মানুষের বাম এবং ডান কান অনুসরণ করা, বাস্তব স্থানে একটি শব্দক্ষেত্র তৈরি করা এবং উপস্থিতির অনুভূতি তৈরি করার প্রযুক্তি। চালানোর সময়, একটি ডামি মাথায় মাইক্রোফোন ইনস্টল করা হয় যেটি আসল কানের পর্দার কাঠামোর কাছাকাছি। বাস্তবতা তৈরি করার জন্য, "মানুষের মাথা"-এর উপাদান এবং গঠনটিও খুব বিশেষ। এবার জেজেলিন তার নিজের "মানুষের মাথা" ডিজাইন করেন এবং এমনকি এটির নাম দিয়েছেন "M.E." - "মেটাএনিগমা", যার চীনা ভাষায় অর্থ হল "রহস্যময় স্বত্মা"।
অ্যালবাম তৈরির শুরুতে, জেজেলিন পপসঙ্গীতের বোঝা খুলে ফেলার এবং নিজেকেও সঙ্গীতকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার জন্য তার মন তৈরি করেছিলেন। তিনি সঙ্গীত উৎপাদন-প্রক্রিয়ার সময় যেদিকে তিনি এখনো চেষ্টা করেননি তার সৃষ্টি ঘটান এবং নিজেকে বার বার জিজ্ঞাসা করার পরে, তিনি অ্যালবামের ধারণাটি কল্পনা করতে শুরু করেন। লিন আশা করেন যে, এই অ্যালবামের মাধ্যমে, তিনি সঙ্গীতের দ্বারা তার হৃদয়ের অনেক অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন, নিজের সাথে একটি গুরুতর সংলাপ করতে পারেন এবং নিজেকে খুঁজে পেতে পারেন।
পুরো অ্যালবামটি একটি চমৎকার যাত্রার মতো। ইন্ট্রো থেকে শুরু করে বিভিন্ন যন্ত্রের সুর, টেস্টসাউন্ড এবং মিউজিশিয়ানদের কণ্ঠে শুরু হয় প্রত্যাশায় ভরপুর যাত্রা। পিয়ানোর আওয়াজ যখন খসখসে ভাবে ভেসে যায়, এটি রাজকীয় শিরোনাম গানে প্রবেশ করে "সংসফরনোওয়ান", অর্থাত “অন্যের জন্য গান নয়”। এটি বিশ্বের জন্য জেজেলিনের আন্তরিক এবং উষ্ণ অনুভূতি। তিনি যখন এসপ্ল্যানেডের কনসার্ট হলে, শ্রোতাদের মনে হয় "কীওয়ার্ড" শেষ না হওয়া পর্যন্ত অডিটোরিয়ামে এই বিশেষ শব্দক্ষেত্রের প্রতিধ্বনি অনুভব করুন।
এটিও একটি অ্যালবাম যা, অবশ্যই হেডফোনের সাথে শুনতে হবে। এই ডিজাইনের মাধ্যমে, জেজেলিন শ্রোতাদের সঙ্গীতজগতে নিমগ্ন করেন এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে তিনি বারবার তার অন্তরের সাথে কথা বলেন। এবং এটি কেবল শ্রোতা এবং নিজের মধ্যে সংলাপের একটি প্রক্রিয়া নয়, স্রষ্টা হিসাবে, জেজেলিনও তার হৃদয় খুলেছিলেন, নিজের সাথে তার হৃদয় গভীর আড্ডায় মেতেছিল এবং নিজের সাথে শান্তি স্থাপন করেছিলেন। এই অ্যালবামে, জেজেলিন প্রেমীদের মধ্যে কোমলতার কথা বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্ব খুঁজে পেয়েছেন, প্রেমের অনুশোচনার মুখোমুখি হয়েছেন, সঙ্গীতের স্বপ্ন পূরণ করেছেন এবং বিশ্বের চলমান কথা লিখেছেন।
সুপ্রিয় শ্রোতা, আশা করি আজকের ‘সুরের ধারা’ আসর আপনাদের ভাল লেগেছে। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আবার কথা হবে। (স্বর্ণা/আলিম)