‘শরত্কালের বাতাসকে জিজ্ঞেস করি’
2022-07-19 15:14:43

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছি ছিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনাবো।

 

ছি ছিন ১৯৬০ সালে ১২ জানুয়ারি চীনের তাইওয়ান প্রদেশের তাইচুং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন চীনা সঙ্গীতমহলের খুব মর্যাদাপূর্ণ একজন কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা।

 

১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ছি ছিন রেস্তোরাঁয় গান গাইতেন এবং নিজে গান রচনা করতেন। ১৯৮১ সালে ছি ছিনের প্রথম অ্যালবাম ‘আবার তাকে দেখেছি’ প্রকাশিত হয়। তারপর একই বছর ছি ছিন নৌবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে তিনি তিন বছর কাজ করেন।

 

১৯৮৫ সালে ছি ছিনের ‘নেকড়ের অ্যালবাম’ বাজারে আসে। ১৯৮৬ সালে ছি ছিন প্রেমের চলচ্চিত্র ‘সুন্দর সবুজ ঘাস’-এ অভিনয় করেন।

 

বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ছিনের কণ্ঠে ‘তোমার চেহারা’ নামে গানটি। গানের কথায় বলা হয়, কার কণ্ঠ আমার কানে আসছে। যেন ছোট নদী কাঁদছে। কে আমার কাছ্ থেকে চলে যাচ্ছে। বাতাস তোমার চেহারা তৈরি করেছে। যেন এটি নিষ্ঠুর বিশ্ব। অপরিবর্তিত তুমি, এই ব্যস্ততা দুনিয়ায় দাঁড়িয়ে আছো। বুদ্ধিমান শিশু, হাতে লন্ঠন নিয়ে আছে।

আচ্ছা, শুনুন গানটি।

 

প্রিয় বন্ধুরা, এবারে শুনুন ছি ছিনের গান ‘শরত্কালের বাতাসকে জিজ্ঞেস করি’। গানের কথায় বলা হয়, শরত্কালের বাতাসকে জিজ্ঞেস করি, কেন বৃষ্টি পড়ে। তোমাকে জিজ্ঞেস করি, কে ভুল, কে ঠিক। অতীতকে জিজ্ঞেস করি, কে এসেছিল। তবে সবসময় নীরব। একটি পাতার ধার নেই, একবার বৃষ্টির সময় ধার নেই, একটি লাল চোখ ধার নেই।

আচ্ছা, শুনুন গানটি।

 

প্রিয় বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ছিনের গান ‘নেকড়ে’। গানের কথাগুলো এমন: আমি উত্তরাঞ্চল থেকে আসা একটি নেকড়ে। অসীম মালভূমিতে চলি। দুর্দশাগ্রস্ত বাতাস বইছে। হলুদ বালি মুখে পড়ছে। আমি শুধুই জিদ ধরে থাকি। শুধুই রূপকথায় সুন্দর তৃণভূমির জন্য।

আচ্ছা, শুনুন এই গানটি।

 

বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ছিনের গান ‘ম্যাচের স্বর্গ’। গানের কথাগুলো এমন: ঠান্ডা তুষারে হাঁটছি। ম্যাচ বিক্রি করে স্বপ্নকে উষ্ণ করি। এই বিশ্ব এত ঠান্ডা, আমার হাতও হিমায়িত হয়। একটি ম্যাচ আমার হৃদয়কে উষ্ণ করছে। কে আমার ম্যাচ কিনবে। কে এক একটি আশাকে জ্বালাবে। প্রত্যেকবার ম্যাচ জ্বালিয়ে দেই, অল্প আলোয় আশা দেখা যায়, স্বপ্ন দেখা যায়।

আচ্ছা, শুনুন গানটি।

 

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছি ছিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।

(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)