জুলাই ১৮: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল (রোববার) মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করে ওয়াশিংটনে ফিরে গেছেন। তবে তাঁর এবারের সফর তেমন সফল হয়নি। মার্কিন গণমাধ্যম ‘দি নিউইয়র্কার’-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বাইডেনের চার দিনব্যাপী মধ্যপ্রাচ্য সফরে তাঁর এ অঞ্চলের নীতির ব্যর্থতা প্রতিফলিত হয়েছে।
জ্বালানিসম্পদ ছিল বাইডেনের এবারের সফরের প্রধান বিষয়। তবে, সৌদি আরব তেল উত্পাদন প্রবৃদ্ধির স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সৌদি আরবের তেল উত্পাদন বৃদ্ধির ক্ষমতা সীমিত। এ ছাড়া, সৌদি আরব ওপেক-এর আওতায় রাশিয়ার সঙ্গে তেল উত্পাদনের চুক্তিতে আবদ্ধ। সৌদি আরব অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে স্বাক্ষরিত জ্বালানিসম্পদের চুক্তি ও নিজের কূটনীতি লঙ্ঘন করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিত্রতা জোরদার’ করার উদ্দেশ্যও পূরণ হয়নি এই সফরে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা কাদেমী বলেছেন, ইরাক আগে কোনো সামরিক জোটে অংশ নেয়নি, ভবিষ্যতেো নেবে না। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, উপসাগর-ইসরাইল প্রতিরক্ষা জোটসম্পর্কিত আলোচনা সম্পর্কে তাঁর জানা নেই; সৌদি আরব এ ধরণের কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না।
বাইডেন জেদ্দা শীর্ষ সম্মেলনে চীন ও রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে মধ্যপ্রাচ্যকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে, সৌদি আরবের প্রতিরক্ষমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, চীন হলো সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার, জ্বালানিসম্পদ বাজার, ও বিনিয়োগকারী।
আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আস্থা হরিয়েছে অনেক আগেই। বিশ্বের কাঠামো ইতোমধ্যেই বদলে গেছে। মার্কিন রাজনীতিবিদদের মধ্যপ্রাচ্যকে ভূ-রাজনৈতিক খেলার গুটি এবং রাজনৈতিক স্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। (ছাই/আলিম)