প্যাশন ফ্রুট শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে সুন্দর জীবন পেয়েছে মিয়াও জাতির বাসিন্দারা
2022-07-16 19:19:21

সেপ্টেম্বর ৮: ৫৯ বছর বয়সী মিয়াও জাতির নারী ইয়াও দং ইং প্রথমবারের মতো প্যাশন ফ্রুট খেয়েছেন।

‘আমি প্রথমে জেনেছি যে, প্যাশন ফ্রুটের রং বেগুনি ও হলুদ; দেখতে সুন্দর, তবে খেতে তারও বেশি সুস্বাদু। বেশি মিষ্টি, খানিকটা টক।’ ইয়াং দং ইং এভাবে বললেন। কিন্তু মাত্র দুই বছর আগে তিনি প্যাশন ফ্রুট সম্পর্কে জানতেন না এবং তিনি একদিন প্যাশন ফ্রুটের কারণে ধনী হবেন—সেটা কল্পনাও করেননি।  

ইয়াও দং ইং কুইচৌ প্রদেশের ছিয়ানদংনান মিয়াও জাতির দং জাতি স্বায়ত্তশাসিত বান্নারের রংজিয়াং জেলার ফিংচিয়াং থানায় থাকেন। জেলাটির লোকসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি মিয়াও ও দং জাতির বাসিন্দা।

২০১৯ সালে রংজিয়াং জেলা ব্যাপকভাবে প্যাশন ফ্রুট শিল্প উন্নয়ন শুরু করে।

ইয়াও দং ইং প্যাশন ফ্রুট কেন্দ্রে কাজ করে একদিন ১৩০ ইউয়ান পান; একমাসের বেতন প্রায় ৪০০০ হাজার ইউয়ান। তিনি বলেন, এর আগে তাঁর মতো সংখ্যালঘু জাতির নারীর কোনো কাছ ছিল না। বর্তমানে তাঁদের জীবনমান অনেক উন্নত হয়েছে।

রংজিয়াং ইয়ানদা চাষাবাদ শিল্প কোম্পানির চেয়ারম্যান ওয়েই আই ছাই বলেন, প্যাশন ফ্রুটসহ বিশেষ শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের জন্মস্থানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। এর মাধ্যমে সংখ্যালঘু জাতির নাগরিকদের আর্থিক সামর্থ্যের অনেক উন্নতি ঘটেছে; তাঁদের জীবন আরও সুন্দর হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগে সংখ্যালঘু জাতির নাগরিকরা ঐতিহ্যগতভাবে কৃষিকাজ করতেন। তবে প্যাশন ফ্রুটসহ বিশেষ শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি তাঁদের ধারণাও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

রংজিয়াং জেলার প্রাকৃতিক, ভৌগোলিক পরিবেশ চমত্কার। সেজন্য এখানে ফসলের মান উচ্চ, বাজারে অনেক জনপ্রিয়। জেলাটির প্যাশন ফ্রুট পরিকল্পনার দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও জেলাটির কমিউনিস্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির উপপরিচালক ইয়াং শেং জুও বলেন, ১০ বছর আগে রংজিয়াংয়ে কোনো কোনো কৃষক প্যাশন ফ্রুট চাষ শুরু করেন। তবে তখন একটি ব্যাপক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল না। সেজন্য শিল্পটি বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি শুরুর দিকে।  

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জেলাটি প্যাশন ফ্রুট শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য প্রায় ৮০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্ট করে। অনুমান অনুযায়ী, চলতি বছরে আরও ৫.৬ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। (ছাই/আলিম)