চীন, লাওস ও থাইল্যান্ডকে এক সুতোয় গেথেছে রেলপথ
2022-07-14 19:01:55

সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: দক্ষিণ চীন সাগড় পাড়ের তিন দেশ চীন, লাওস ও থাইল্যান্ডকে যোগাযোগের এক সুতোয় গেথেছে রেলপথ। এই অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে যোগাযোগের এই প্রকল্প বিশাল ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে চীন। বিশেষ করে চীনের বিশ্বাস, এই সংযোগ তিন দেশের মধ্যে পণ্য ও মালামাল এবং সাধারণ মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে নজিরবিহীন ভূমিকা পালন করবে।

দ্রুত গতি, তিন দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের সবচেয়ে সহজ পথ। এর মাধ্যমে লাওসের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেলপথে চীনের শহরগুলোর একটি সহজ যোগাযোগ তৈরি হবে। বিশেষ করে চীন-ইউরোপ রেলওয়ে পরিবহন নেটওয়ার্কের সঙ্গেও সংযোগ তৈরি হবে এর মাধ্যমে। আর দক্ষিণে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তৈরি হবে যোগাযোগ পরিবহন ব্যবস্থা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে এ প্রকল্প।

ছাও লিচিয়ান, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র

“আঞ্চলিক যোগাযোগের গতি বাড়িয়ে দেবে চীন-লাওস রেলওয়ে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এ রেলপথ। পুরো অঞ্চলের দেশগুলো এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। চীন ও আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে উন্নত মানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ এই রেলপথ। পাশাপাশি বৈশ্বিক উন্নয়নে নেওয়া যৌথ উদ্যোগের এক শক্তিশালী নজিরও এই রেল সংযোগ।“

সম্প্রতি চীন-লাওস রেলপথের ভিয়েনতিয়েনের দক্ষিণ স্টেশন উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের এ মুখপাত্র।

করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সংগ্রাম করছে। এ জন্য দরকার বিপুল অংকের বিনিয়োগ। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আর্থিক সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন বিপুল অর্থ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন-লাওস রেলওয়ের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে এই অঞ্চলের দেশগুলোর যে সংযোগ তৈরি হচ্ছে তাতে বিনিয়োগ খরা কাটবে।

“লাওসসহ লেংক্যান-মেকং সহযোগিতার অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে চীন কাজ করে যেতে চায়। বিশেষ করে সবার জন্য লাভজনক সহযোগিতা, উন্নয়ন এবং বিআরআই এর অধীন উন্নত মানের অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ নিশ্চিত করতে চীন।“

গেল বছরের ৩০ জুন চালু হয় চীন-লাওস রেলপথ। এখন পর্যন্ত এ পথে কয়েক লাখ যাত্রী এবং ৫০ লাখ টন পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌছানো হয়েছে ৮ লাখ টন পণ্য। পাশাপাশি ২০টি চীনা প্রদেশের সঙ্গে ফলমূল, সোলার ও ইলেক্ট্রনিক পণ্য পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।