আপন আলোয়-৭৭
2022-07-14 17:45:50

 

আপন আলোয়-৭৭

 

 

চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য

৫৬ মাঝি দিয়ে চলছে ড্রাগন আকৃতির বিশাল এক নৌবহর

দূর থেকে দেখে মনে হবে বিশালাকৃতির কোন ড্রাগন ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। নানা কসরতে খেলছে পানিতে।

দূর থেকে ড্রাগন মনে হলেও এটি আদতে ড্রাগন সদৃশ নৌবহর। বিশালাকার এই নৌবহরটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা দেখে অবাক হবেন যে কেউ।

ড্রাগনের আকৃতির সঙ্গে মিল সাজানো হয় বিশালাকার এক নৌবহর। অভিনব এই আয়োজন করা হয় চীনের কুয়াংসি চুয়াং স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের ইয়াংশৌ কাউন্টিতে।

মোট ৫৬টি নৌকার সমন্বয়ে তৈরি করা হয় বিশাল এই নৌবহর। সুসজ্জিত এই নৌকা চালান মোট ৫৬ জন মাঝি। এই ৫৬ জন মাঝি এসেছেন চীনের ৫৬ জাতিগোষ্ঠী থেকে।

 

ইয়ুলং নদীর তীরে জাতীয় পর্যটন রিসোর্টে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। ঘন্টাব্যাপী চলে ৭১০ মিটার দীর্ঘ এই নৌবহরের শৈল্পিক মহড়া।

 

 

মূলত আসন্ন গ্রীষ্মকালীন পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তাতে সাড়াও মিলেছে ব্যাপক। নৌবহরের অপরূপ এই প্রদর্শনী দেখে বিমোহিত পর্যটকরাও।

মুহুর্তেই চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও। সর্বত্রই দারুণ প্রশংসা কুঁড়িয়েছে এ উদ্যোগ।

 

 

অন্তরঙ্গ আলাপন

শিল্প-সাধনায় স্থান নয়, যোগ্যতা-সততা-দায়বদ্ধতাই বিবেচ্য: রাশেদ হাসান

ছবি: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিটিভির বিশেষ অনুষ্ঠানে আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান।

এক.

আমরা একটা ওয়ান সিটি-কান্ট্রিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছি বলে মনে হয়। সেই ওয়ান সিটি-কান্ট্রির জায়গা থেকে আমাদের বেরুতে হবে। আমরা মানসিকভাবে ধরেই রেখেছি যে, যে কোনো কাজে ঢাকা এক নম্বর; তারপরে দুই নম্বর, তিন নম্বর, চার নম্বর- আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করে ফেলি। আমরা যে কোনো কিছুতেই বলে ফেলি যে, প্রথমে তো ঢাকা; তারপরে আপনারা খুব ভালো কাজ করছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, ঢাকা হোক, যেই হোক- এই যে প্রথম বিষয়টির দাবিদার হয়ে উঠলেন- তার বিচারক কারা?

তবে উল্টো দিকেও আমরা বলতে পারি। যেমন একজন হাসান আজিজুল হক যখন একজন জাতীয় মানুষ হয়ে ওঠেন সেই সুদূর রাজশাহী থেকে- তিনি যদি পারেন, আরেকজন মানুষ কেন তা পারবে না?

আমি মনে করি যে, কারও যদি সেই যোগ্যতা থাকে, কারও যদি সেই মান থাকে, কারও যদি সততা থাকে কাজের প্রতি- তাহলে তিনি সকল বাধাকে অতিক্রম করে জাতীয় পর্যায়ের মানুষ হয়ে উঠতে পারেন। তখন স্থানটা বেশি বিবেচনায় থাকে বলে আমার মনে হয় না।

দুই.

একজন শিল্পী সবচেয়ে বড় যে গুণটি থাকতে হয় সেটি হচ্ছে তার পরিমিতি বোধ। পরিমিতি বোধ আপনার কীভাবে তৈরি হয়? যে মানুষটি নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারেন সে মানুষটি কিন্তু অনেক বেশি পরিমিতিবোধ ধারন করতে পারেন। এখন আমি যদি না বুঝি যে আমার সীমাবদ্ধতা কোন জায়গায় কতটুকু আছে- তাহলে আমি কী করবো? আমার যে দুর্বল জায়গাগুলো আছে তা বারবার মানুষের সামনে তুলে ধরে মানুষকে হাসাবো। নিজেকে মঞ্চে দাঁড় করিয়ে আমি যখন লোক হাসাবো তখন সেটা এক ধরনের মূর্খতা, অজ্ঞতা!

তিন.

আমি মনে করিনা আবৃত্তিশিল্পকে আমি অনেক কিছু দিয়েছি। আমার মনে হয় আবৃত্তিশিল্পের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত শুধু নিয়েই গেছি, দিতে পারিনি কিছুই। আজকের এই যে আমি, এই আমিটা হয়েছি আমি আবৃত্তির কারণে। এই যে মানুষ আমাকে ভালোবাসে, বা যতটুকুই চেনে সেটি আমার আবৃত্তির কারণেই চেনে। অর্থাৎ আমি আবৃত্তি থেকে নিয়েই গেছি।

কিন্তু আমি আসলে আবৃত্তিশিল্পে সেভাবে নতুন কি কোনো মাত্রা যোগ করতে পেরেছি- নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেছি। এবং সেখানে গিয়ে কোথায় যেন একটা শূন্যতা দেখতে পাই। মনে হয় যে না- হয়তো চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ চেষ্টাটাই করো যাবো নতুন কিছু, অন্য কিছু যদি করতে পারি!

 

 

 

 

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের আবৃত্তিভাবনা ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বললেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী, প্রশিক্ষক ও সংগঠক রাশেদ হাসান। চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিত্ব, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ মনে করেন না শিল্পচর্চার জন্য স্থান বড় বিবেচ্য বিষয়। যোগ্যতা, সততা ও দায়বদ্ধতাকে এগিয়ে রাখেন তিনি। বললেন আবৃত্তিতে নতুন কিছু করার স্বপ্নের কথা। শুনিয়েছে দুর্দান্ত কয়েকটি আবৃত্তি!

 

সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্ক জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।

পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।

 

অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম

অডিও সম্পাদনা ও প্রতিবেদন: তানজিদ বসুনিয়া।