ছাই চিয়ান ইয়া
2022-07-11 14:03:45

ছাই চিয়ান ইয়া আবার তানিয়া চুয়া নামেও পরিচিত। তিনি ১৯৭৫ সালের ২৮ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি চীনের তাইওয়ানে বসবাস করেন। তিনি হচ্ছেন চীনা ভাষার একজন বিখ্যাত পপসংগীত শিল্পী, সঙ্গীত প্রযোজক ও গীতিকার।

 

১৯৯৭ সালে তিনি সিঙ্গাপুরে ইংরেজী অ্যালবাম “বিরক্ত” প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজে প্রবেশ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি “তানিয়া ছাই চিয়ান ইয়া” নামে চীনা ভাষার অ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং ১১তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা নতুন শিল্পী পুরষ্কার জিতেন।

 

২০০৩ সালে তিনি “অজ্ঞাত লোক” অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত দ্বিতীয় প্রধান গান হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়। 

 

“ফাঁকা” গানটি তানিয়ার ২০০৭ সালে প্রকাশিত অ্যালবাম “গুডবাই অ্যান্ড হ্যালো”-এ অন্তর্ভূক্ত হয়। কেবল পাঁচ মিনিটে তিনি এর লিরিক্স ও সঙ্গীত রচনা সম্পন্ন করেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে গানটি সৃষ্টি করেন। তিনি গানের শব্দগুলির ওপর আরো বেশি মনোযোগ দিয়েছেন। গানটি রেকর্ড করার সময় বার বার তাঁর দম বন্ধ হয়েছে। এসবই ছিল তাঁর হৃদয়ের একান্ত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। 

 

তানিয়ার “লাল উঁচু হিলের জুতা” গানটি ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। তিনি নিজেই গানের লিরিক্স ও সঙ্গীত সৃষ্টি করেন। গানটি ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া একটি চলচ্চিত্রের থিম সং এবং তাঁর ২০০৯ সালে প্রকাশিত অ্যালবাম “তার সাথে দেখা হলে”-তে অন্তর্ভূক্ত হয়। তানিয়া বলেছিলেন, গানটি তিনি লেখেন ২০০৭ সালের দিকে। তিনি আবিষ্কার করেছেন যে, তিনি লাল রঙের উঁচু হিলের জুতা পছন্দ করেন এবং অনেকে তাঁর মতো একই জিনিস পছন্দ করেন। প্রত্যেক বছর যখন তিনি কেনাকাটা করতে যান, সবার আগে তিনি উঁচু হিলের জুতা দেখেন। সুতরাং একটি গানের মাধ্যমে উঁচু হিলের জুতার সঙ্গে তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করতেই গানটি সৃষ্টি করেছেন। 

“এক লাখ মিলিলিটার চোখের পানি” গানটির সঙ্গীত সৃষ্টির পাশাপাশি এতে কণ্ঠও দিয়েছেন তানিয়া। গানটি তাঁর ২০১৩ সালে প্রকাশিত চীনা ভাষার অ্যালবাম “দেবদূত ও দৈত্যের মধ্যে সংলাপ”-এ অন্তর্ভূক্ত হয়। গানটি পাশাপাশি একটি  চলচ্চিত্রের চীনা ভাষার থিম সং। তানিয়া কারও কাছ থেকে শুনেছিলেন, কেউ যখন কাঁদে, তখন তাঁর চোখ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ মিলিলিটার পানি পড়ে। সত্যিই অনেক গভীর ভালোবাসার মধ্য দিয়ে এতো বেশি চোখের পানি পড়ে? সুতরাং তিনি গানের মাধ্যমে শুধু ভালোবাসা নয়, বরং পরিবারের সদস্য ও বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক, এমনকি চাকরি বা লেখাপড়াতে সংকটাবস্থা প্রকাশ করতে চান। 

 

“কালো মেঘ” গানের সৃষ্টি তানিয়ার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। প্রত্যেক বার যখন তিনি উন্মুক্ত স্থানে পরিবেশন করেন, তখন সেখানে বৃষ্টি হয়। সুতরাং তিনি মনে করেন, এটা খুব মজার একটি ব্যাপার। মনে হয়, কালো মেঘ সব সময় তাঁর মাথার উপরে থাকে। তাঁর সঙ্গে থাকতে পছন্দ করে। তাই তিনি মজার ছলে এ গানটি সৃষ্টি করেন।

 

“ডারউইন” গানটি তানিয়া ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত “গুডবাই অ্যান্ড হ্যালো” অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। ২০০৮ সালে গানটি মিউজিক রেডিও চীনের টপ তালিকায় “হংকং ও তাইওয়ান অঞ্চলে বার্ষিক সেরা সুরকার পুরষ্কার জিতে। আসলে তিনি অন্য একজন গায়কের জন্য গানটি সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু গায়ক গানটি পছন্দ না করার কারণে তানিয়া নিজেই গানটি গান। 

 

 (প্রেমা/এনাম)