‘ইতিহাস ভুললে চলবে না, চীনকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে’
2022-07-07 15:36:35

জুলাই ৭: ৭ই জুলাই "জাতীয় জাপানী আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধের ৮৫তম বার্ষিকী"। আজ থেকে ৮৫ বছর আগে, একজন সৈনিক "নিখোঁজ" হওয়ার অজুহাতে জাপানি সেনাবাহিনী জোরপূর্বক অনুসন্ধানের জন্য ওয়ানপিং জেলায় প্রবেশ করেছিল। চীনা রক্ষীদের কঠোর বাধা পেয়ে, জাপানি সেনাবাহিনী নির্লজ্জভাবে লুগোব্রিজ এবং ওয়ানপিং জেলায় সহিংস আক্রমণ শুরু করে। লুগোব্রিজে আর্টিলারি ফায়ার চীনা জাতির ব্যাপক প্রতিরোধযুদ্ধের সূচনা করে।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় প্রচেষ্টায়, কুওমিনতাং এবং কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে জাপানী আগ্রাসনবিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়। ১৯৪৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, ১৪ বছরের কঠিন সংগ্রামের পর, চীনা জনগণ জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধে একটি মহান বিজয় লাভ করে এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধও সফলভাবে শেষ হয়। এখন, যুদ্ধের ধোঁয়া আর নেই। কিন্তু চীনা জাতি যেকষ্টের সম্মুখীন হয়েছিলো তা ভোলা যাবে না, ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

জাপানি আগ্রাসনবিরোধী জাতীয় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ৮৫ বছর হয়ে গেছে। ১৯৩৭ সালের ৭ই জুলাই রাতে, জাপানি হানাদার বাহিনী নির্লজ্জভাবে লুগোব্রিজ ঘটনার সূত্রপাত করে। স্থানীয় চীনা বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সমগ্র জাতি প্রতিরোধের যুদ্ধে নেমে যায়।

লুগোব্রিজ ঘটনার দ্বিতীয় দিনে সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটি সারা দেশে এই মর্মে আহ্বান জানায়: “সংকটে বেইজিং ও থিয়েনচিন! সংকটে উত্তর চীন! সংকটে চীনা জাতি! সমগ্র জাতি প্রতিরোধযুদ্ধে নামলেই আমাদের মুক্তি!”

এখন লুগোব্রিজ একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থান। ইতিহাসের সন্ধান এবং শহীদদের স্মৃতি স্মরণের পাশাপাশি মানুষ রাজধানী বেইজিংয়ের পরিবেশগত সভ্যতা নির্মাণেরসাফল্যও অনুভব করতে পারে।

১৬৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়ানপিং টাউনটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৬৪০ মিটার দীর্ঘ এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ৩২০ মিটার চওড়া। এটি চীনের উত্তরাঞ্চলে একমাত্র ভালভাবে সংরক্ষিত দুই দরজার অ্যাক্রোপলিস। ওয়ানপিং টাউনে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে শহরের মূল ভবনটি, যা জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধযুদ্ধের মেমোরিয়াল হল। এটি  সাবেক ওয়ানপিং টাউন সরকারের ভবন ছিলো। বর্গক্ষেত্রের কেন্দ্রে অবস্থিত ভাস্কর্যটিকে "লুগোজাগ্রতসিংহ" বলা হয়, যা চীনা জাতির মহান জাগরণের প্রতীক। প্রাচীন টাউনের প্রধান রাস্তায় হাঁটলে দুপাশের প্রাচীন দালানগুলো দেখতে বিচিত্র লাগে। আর ভেতরে গেলে বিভিন্ন ধরনের আবাসিক ভবন চোখে পড়ে। শহরের অনেক বাসিন্দা কয়েক প্রজন্ম ধরে এখানে বসবাস করে আসছেন।

সম্প্রতি, শানতুং-এর অনেক জায়গায় জাপানী আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধের ৮৫তম বার্ষিকী স্মরণে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শানতুং প্রদেশের হ্যজ্য শহরের দিংথাও জেলায় বিপ্লবী শহীদদের স্মৃতিসৌধে, নাগরিক এবং ছাত্ররা জাপানবিরোধী যুদ্ধের সামগ্রী এবং পুরানো ছবি দেখেছেন, জাপানবিরোধী যুদ্ধের গল্প শুনেছেন, শহীদদের রেখে যাওয়া মূল্যবান ধ্বংসাবশেষ দেখেছেন এবং জাপানি হানাদারদের বিরুদ্ধে চীনা জাতির প্রতিরোধে জীবন উতসর্গ সম্পর্কে আরও শিখেছেন। পরিদর্শন এবং অধ্যয়নের সময়, সবাই চীনা জাতির অদম্য শক্তি অনুভব করেছেন এবং নতুন প্রজন্মের ঐতিহাসিক মিশনকে মনে রেখেছেন। (ইয়াং/আলিম/ছাই)