বৃটেনের হংকংয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিলাষ হাস্যকর: সিএমজি সম্পাদকীয়
2022-07-03 16:10:37

জুলাই ৩: মাতৃভূমিতে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তনের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং পররাষ্ট্র ও উন্নয়নমন্ত্রী লিজ ট্রাস পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।

 

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘চীন-বৃটেন যৌথ বিবৃতি অনুসারে হংকংয়ের নাগরিকদের প্রতি বৃটেনের ঐতিহাসিক দায়িত্ব রয়েছে, তাই হংকংকে ছেড়ে যাবে না বৃটেন। এমন হাস্যকর রাজনৈতিক অভিলাষ আগেকার উপনিবেশের দুর্বল হওয়ার বাস্তবতা অস্বীকার করার প্রতিফলন। দেশটি হংকং ছেড়ে না যাওয়া এবং চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের দিবাস্বপ্ন দেখছে।  আজ (রোববার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

 

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে চীন ও বৃটেন সরকার ‘চীন-বৃটেন’ যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষর করেছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে মাতৃভূমিতে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তনের সমস্যা সমাধান করা এবং মূল বিষয় হচ্ছে চীনের অধীনে হংকংকে ফেরানো। সেই বিবৃতি অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের পয়লা জুলাই মাতৃভূমিতে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে অঞ্চলটিতে বৃটেনের সার্বভৌমত্বের অধিকার, প্রশাসনের অধিকার এবং তত্ত্বাবধানের অধিকার আর অবশিষ্ট নেই। যার মানে এখন হংকংয়ের ব্যাপারে বৃটেনের হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই।

 

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, হংকংয়ের উন্নয়ন কেমন? এটা বাস্তবতা প্রমাণ করছে। বিশ্বের সবচেয়ে স্বাধীন অর্থনৈতিক সত্তা, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক নৌ পরিবহন কেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হংকং। মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের ২৫ বছরে হংকং দৃষ্টিকাড়া উন্নয়ন করেছে এবং ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ হংকংয়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সাফল্য অর্জন করেছে।  বর্তমানে হংকং সমাজে দেশপ্রেম ও হংকংপ্রেম প্রধান স্রোতে পরিণত হয়েছে। আগেকার উপনিবেশিকদের এখানে মন্দ কাজ করার সুযোগ আর নেই।

 

অন্যদিকে, স্কটল্যান্ড স্বাধীনতার প্রশ্নে আবারো গণভোট আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তর আয়ারল্যান্ডে বৃটেন থেকে সরে যাওয়ার দাবি জোড়ালো হচ্ছে। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী যে হংকংয়ে ছাড়বেন না বলে ঘোষণা করেছেন, তার লক্ষ্য হচ্ছে বাইরে শক্তি দেখানোর ভান করে আন্তর্জাতিক সমাজে অস্তিত্ব দেখানো এবং দেশীয় সংঘাত থেকে অন্যদের দৃষ্টি সরানো। তবে তাঁর এ কর্মকান্ড কেবল আত্নপ্রবঞ্চনা বৈ আর কিছুই নয়।

 

(রুবি/এনাম/শিশির)