এ পর্বে অন্তরঙ্গ আলাপনে শিল্পী মিলি চৌধুরী।
চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য
মাতৃভূমিতে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তনের ২৫তম বার্ষিকীতে মিউজিক ভিডিও
‘উই উইল বি বেটার’ এই স্লোগান সামনে রেখে গেল সপ্তাহে একটি থিম সং প্রকাশ করেছে চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজি। চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিওসহ এ গানটি প্রকাশ করা হয়।
গানটির গীতিকার ও সুরকার বিখ্যাত সংগীতশিল্পী খিত চ্যান সিউ-খেই এবং অ্যালান চেউং খ- শিং। এ গানে হংকংয়ের মানুষের আস্থা এবং প্রত্যাশাকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২৫ বছরে হংকং এর মূল ভূখণ্ডের প্রতি গভীর অনুভূতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, "সমুদ্র", "নদী" এবং "উপসাগরের" মতো গানের কথায় ৩০টিরও বেশি চীনা অক্ষর ব্যবহার করেন চ্যান। যা বৃহত্তর উপসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে। এতে চেউং তার সৃষ্টির মাধ্যমে অধ্যবসায়ের সাথে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন।
মিউজিক ভিডিওটিতে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের নানা দৃশ্য রয়েছে। যার মধ্যে ২০১৮ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের কুইচৌ প্রদেশে দারিদ্র্য-বিমোচন কর্মসূচি শুরুর চিত্রটি ছিল অন্যতম। এতে অভিনয় করেছেন, অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী তু হোই খেম এবং "টাচিং চায়না 2021" এর রোল মডেল চেনিস চ্যান ফুই-ইসহ আরো অনেকে।
১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকং চীনের সার্বভৌমত্বে ফিরে আসার পর থেকে এ দিনটিকে ঘটা করে উদযাপন করে হংকংবাসী। গত পঁচিশ বছর ধরেই, হংকং চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে যৌথ উন্নয়নে পরিপূরক হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে তাই সেখানে চলে মাসব্যাপী বহুমুখী আয়োজন।
অন্তরঙ্গ আলাপন
চট্টগ্রামেও জাতীয় মানের শিল্পী আছেন, নিয়মিত সংস্কৃতি চর্চা হচ্ছে এখানে: মিলি চৌধুরী
শিশুদের জন্য চমৎকার একটি সংগঠন গড়ার স্বপ্ন দেখেন শিল্পী মিলি চৌধুরী
এক. আমি খুব গর্বিত হই যখন আমার নামের পাশে মিলি চৌধুরী, চট্টগ্রাম লেখা হয়। আমি যদি (বিদেশে) বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করি, তখনও আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি- পাশাপাশি চট্টগ্রাম- এ কথাটা বলতে চাই। এটাকে আমি ওন করি, এটাকে আমি ভালোবাসি।
দুই. এখন তো ইন্টারনেটের সময়, গ্লোবালাইজেশনের সময়। এখন আসলে ঢাকা, চট্টগ্রাম বলে কিছু নেই। তবুও একটা বেসিক পার্থক্য তো রয়েই গেছে। চট্টগ্রামের অনেক শিল্পী দ্রুত জাতীয় পরিচিতি পেতে পারতেন। এখান থেকে যারা ঢাকায় গিয়ে কাজ করেছেন আজকে তারা জাতীয় শিল্পী হয়েছেন। চট্টগ্রামে ওই মানের শিল্পী আরও আছেন। সবচেয়ে বড় কথা চট্টগ্রামে নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চা হচ্ছে।
তিন. চট্টগ্রামের আরেকটি দুর্বল দিক আছে- ধরেন ঢাকা থেকে কোনো পারফরমার এলেন, তখন কিন্তু চট্টগ্রামের শিল্পীদের আঞ্চলিক শিল্পী হিসেবে দেখা হচ্ছে- এ দুর্বলতা আমাদের। শুধু আবৃত্তি কেন? আজকে আপনি একুশে পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখেন- চট্টগ্রাম থেকে কতজন একুশে পদক পাচ্ছেন? কতজন স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন? কতজন বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন?
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের আবৃত্তিভাবনা, রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরীর আবৃত্তি তথা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মিল-অমিল নিয়ে বললেন চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী, প্রশিক্ষক ও উপস্থাপক মিলি চৌধুরী। বললেন শিশুদের জন্য চমৎকার একটি সংগঠন গড়বার স্বপ্নের কথা। শুনিয়েছেন অসাধারণ কয়েকটি আবৃত্তি।
সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্ক জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম
প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী।
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।