সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের ‘সুরের ধারায়’ আসরে সবাইকে শুভেচ্ছা। আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা। শা পাও লিয়াং, চীনের বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে একজন অ্যাক্রোব্যাট শিল্পী ছিলেন। এক অপ্রত্যাশিত সুযোগে তিনি গান গাইতে শুরু করেন। তার কণ্ঠস্বর খুব সুন্দর এবং উপস্থাপনাও খুব চমত্কার। আজকের আসরে তার কয়েকটি গান আপনাদের শোনাবো।
শা পাও লিয়াং ১৯৭২ সালের পয়লা জানুয়ারি বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল ভূখণ্ডের একজন পুরুষ পপ গায়ক।
১৯৮০ সালে তিনি অ্যাক্রোবেটিক দলে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ফ্রেঞ্চ ফিউচার অ্যাক্রোব্যাটিক্স উত্সবে অ্যাক্রোব্যাটিক্সে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। ১৯৯৫ সালের শুরুতে, তিনি সঙ্গীতের জগতে প্রবেশ করেন এবং আধুনিক ব্যান্ডের সাথে কাজ করা শুরু করেন। সেই সময় তিনি বেইজিং ফুটবল দল-কুওআন দলের গান "কুওআন ফরএভার ফার্স্ট" গেয়েছেন। ২০০৩ সালে তিনি টিভি সিরিজ "গোল্ডেন ফ্যামিলি"-র থিম সং "অন্ধকারে সুগন্ধ" গাওয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পরে, তিনি রোমানিয়ান আন্তর্জাতিক সঙ্গীত উত্সবে চীনা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বিজয়ী হন। আন্তর্জাতিক পপ গানের প্রতিযোগিতায় গোল্ডেন ডিয়ার পুরস্কার পান। ২০০৫ সালে তিনি সিসিটিভি-এমটিভি মিউজিক ফেস্টিভ্যালে মেইনল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় পুরুষ গায়ক পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০১০ সালে বেইজিং পপ মিউজিক অনুষ্ঠানে তিনি "রিং ফিঙ্গার" অ্যালবামের মাধ্যমে মেনল্যান্ড চায়নার বছরের সেরা পুরুষ গায়কের খেতাব জিতেছিলেন।
একই বছরে তিনি তার প্রথম একক কনসার্ট "ব্যাক টু চিনশা" আয়োজন করেন। ২০১১ সালে তিনি তার নিজ শহর বেইজিংয়ের মাস্টার স্পোর্টস সেন্টারে প্রথমবারের মতো একটি একক কনসার্ট করেন। ২০১৩ সালে তিনি চীনে "প্রাথমিক বিশ্বাস" নামক একক কনসার্ট করেন। একই বছরে তিনি একটি নতুন অ্যালবাম "ম্যান ইজ সো ডিফিকাল্ট" প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালে তিনি সারা দেশে একক কনসার্ট করেন। ২০১৮ সালে একক অ্যালবাম "আই গো ব্যাক টু দ্য প্লেস কলড লাভ" প্রকাশিত হয়।
শা পাও লিয়াং শৈশবে খুব দুষ্টু ছিলেন। তাই ৮ বছর বয়সে তাকে বেইজিং আর্ট স্কুলে পাঠানো হয় এবং তিনি অ্যাক্রোব্যাটিক্স শিখতে শুরু করেন।
তিনি একবার অ্যাক্রোবেটিক ট্রুপের শিশু তারকা হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওয়ার্ল্ড ফিউচার অ্যাক্রোব্যাটিক ফেস্টিভ্যালের "গোল্ড অ্যাওয়ার্ড" জিতেছিলেন। যদিও তিনি অ্যাক্রোবেটিক বৃত্তে সংগ্রাম করেছেন, তারপরও তার প্রিয় সঙ্গীতকে ছাড়তে পারেননি।
১৯৯৩ সালে তিনি বিভিন্ন পানশালায় ব্যাকআপ ড্যান্সার হিসাবে কাজ শুরু করেন। দৈবক্রমে বারের গায়ক কোনো কারণে অনুপস্থিত ছিলেন এবং শা পাও লিয়াং তার পরিবর্তে একটি গান "চেঞ্জ অল দ্য রাংস" গেয়ে শোনান। আর এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার গায়ক ক্যারিয়ার শুরু হয়।
১৯৯৩ সালে তিনি সঙ্গীতের জগতে প্রবেশ করেন এবং আধুনিক ব্যান্ডের সাথে কাজ করা শুরু করেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি খুব চুপচাপ। তিনি তার ব্যক্তিজীবনকে কাজের সাথে যুক্ত করার পক্ষে নন। একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে তিনি সবার কাছে তুলতে ধরতে চান তার গান। প্রেমের ক্ষেত্রে তিনি স্রোতের সাথে যেতে পছন্দ করেন।
শা পাও লিয়াং অবাধে গান করেন এবং একজন শক্তিশালী গায়ক, যিনি বিভিন্ন ধরনের শৈলী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, বিশেষ করে নান্দনিক প্রেমের গানে তিনি খুবই ভালো। তার একটি চৌম্বক কণ্ঠস্বর এবং বিস্তৃত কণ্ঠস্বর রয়েছে, যা স্পষ্ট, গভীর, সমৃদ্ধ ও কমনীয়।
শা পাও লিয়াংকে পাগলা ঘোড়ার মতো মনে হয়। দেখতে পাগলাটে ও অসংযত, কিন্তু তার ব্যক্তিত্ব ও সঙ্গীত স্থিতিশীল ও শান্ত। (স্বর্ণা/আলিম)