জুন ৩০: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যে সম্প্রতি একটি ‘অভিবাসী ট্রাক’ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সান অ্যান্টোনিও শহরের এক পরিত্যক্ত ট্রাকের ভিতরে অনেক অভিবাসীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিবাসী মৃত্যুর ঘটনা।
আন্তর্জাতিক সমাজ এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এটি সান অ্যান্টোনিও শহরে প্রথমবার সৃষ্ট কোনো দুর্যোগ নয়। ২০১৭ সালে দশজন অভিবাসী এই শহরের একটি ট্রাকে আটকে পড়ায় মারা গিয়েছিল। ২০০৩ সালে ১৯জন অভিবাসীর মৃতদেহ শহরের ওই ট্রাকে পাওয়া যায়।
সিএমজি সম্পাদকীয় মনে করে- যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসী সমস্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যমেয়াদী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অভিবাসী সমস্যা দুই পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে- অভিবাসী আইনের সার্বিক সংশোধন করা হবে। তবে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে তা সম্ভব হয় নি।
এবারের অভিবাসী ট্রাক দুর্ঘটনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত করার কথা জানিয়েছে। তবে, মার্কিন রাজনীতিকরা প্রকৃতপক্ষে লাতিন আমেরিকার মানুষকে গুরুত্ব দিলে তার প্রমাণ দিতে হবে। ওয়াশিংটনের উচিত কার্যকরভাবে অভিবাসী ও শরণার্থীদের মানবাধিকার রক্ষা করা।
(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)